২. ইখলাস
ইখলাস অর্জন করতে হলে, প্রথমে নিজেকে চিনতে হবে। নাফস সম্পর্কে জানতে হবে। প্রবৃত্তির ঝোঁক-আসক্তি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। তারপর জানতে হবে,
ক. কোনও জিনিস নয় তাঁর অনুরূপ (لَیۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَیۡءࣱۖ) শুরা ১১।
খ. দৃষ্টিসমূহ তাঁকে ধরতে পারে না (لا تُدْرِكُهُ الأَبصارُ)। আন‘আম ১০৩।
গ. অসম্ভব নয় (দয়াময়ের পুত্র আছে, একথা বলা)-র কারণে আকাশ ফেটে যাবে, ভূমি বিদীর্ণ হবে এবং পাহাড় ভেঙে-চুরে পড়বে-মারয়াম ৯০।
تكادُ السمواتُ يتفطَّرنَ منه وتنشقُ الأَرضُ وتخِرُّ الجبالُ هدّاً
এ-বিষয়গুলো ভাল করে আত্মস্থ করে নিলে, আল্লাহর বড়ত্ব বোঝা সহজ হবে। আল্লাহর প্রতি আমার আনুগত্যে নিষ্ঠা সৃষ্টি হবে। ইবাদত-বন্দেগীতে বিশুদ্ধ ইখলাস ফয়দা হবে।
ইয়া আল্লাহ, আমাদের পরিপূর্ণ ইখলাস দান করুন। আমাদের তাওফীক দান করুন। যাবতীয় বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করুন। ভাল কাজে দ্রুত ধাবিত হওয়ার জ¦লন্ত উৎসাহ দান করুন। আমীন।
৪. আস্তাগফিরুল্লাহ (أَستغفرُ الله)
আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বান্দা যখন কায়মনোবাক্যে ইস্তেগফার করে, রহমতের শীতল বাতাস তার কলবের উপর দিয়ে বয়ে যায়। ইস্তেগফার বান্দার মনে আল্লাহর ক্ষমা, অনুগ্রহ, করুণা সম্মান ও প্রভূত কল্যাণের প্রবল আশা জাগিয়ে তোলে। যার জন্য আল্লাহর মাগফিরাতের দরজা খুলে যায়, দুনিয়ার আখেরাতের সীমাহীন কল্যাণ লাভ হয়। আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলিষ্ঠ সাহায্য (نصراً عزيزاً) দান করেন।
শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী (হাফিযাহুল্লাহ)।
হযরত সত্যিকারের মহব্বত আর দরদ দিয়ে ‘ইনশাদ’ করেছেন।
প্রথম বয়েস আর শেষবয়েসে গাওয়া হামত/নাতগুলো সাধারণত দিলকাশ হয়। প্রথম বয়েসে থাকে নিষ্পাপ গলা। শেষবয়েসে থাকে আল্লাহর তাকওয়ামাখা ভীতকম্পিত গলা।
.
রাব্বে কারীম হযরতকে হায়াতে তাইয়িবাহ তবীলাহ সহীহা দান করুন। আমাদেরও। আমীন।