কাঠঠোকরার জিহবা সৃষ্টিকর্তার এক অবিশ্বাস্য সৃষ্টি। এর জিভ শুধু লম্বাই নয়, বরং এতটাই লম্বা যে তা ঠোঁট ছাড়িয়ে মাথার ভেতর ঢুকে, খুলি ঘুরে, এমনকি চোখের পাশ দিয়ে ঘুরে আবার বের হয়। এই অদ্ভুত গঠন শুধু গাছের গভীরে লুকিয়ে থাকা পোকা খুঁজে বের করার জন্য নয়, এটা কাঠঠোকরার জন্য একধরনের প্রাকৃতিক শক-অ্যাবজর্বার হিসেবেও কাজ করে।
কাঠঠোকরা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ বার গাছের গায়ে ঠোকরায়। এই ভয়ংকর ধাক্কা মাথায় গিয়ে লাগার কথা, কিন্তু তার জিভের বিশেষ গঠন, যাকে বলা হয় হায়োইড অ্যাপারাটাস, এই ধাক্কা মাথায় সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেয়, ফলে তার মস্তিষ্ক রক্ষা পায়। মানুষ এমন ঠোকর খেলে মস্তিষ্কে ভয়ানক আঘাত পেত, কিন্তু কাঠঠোকরা এই অভাবনীয় উপায়ে নিজের মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে।
কাঠঠোকরার জিহবা সৃষ্টিকর্তার এক অবিশ্বাস্য সৃষ্টি। এর জিভ শুধু লম্বাই নয়, বরং এতটাই লম্বা যে তা ঠোঁট ছাড়িয়ে মাথার ভেতর ঢুকে, খুলি ঘুরে, এমনকি চোখের পাশ দিয়ে ঘুরে আবার বের হয়। এই অদ্ভুত গঠন শুধু গাছের গভীরে লুকিয়ে থাকা পোকা খুঁজে বের করার জন্য নয়, এটা কাঠঠোকরার জন্য একধরনের প্রাকৃতিক শক-অ্যাবজর্বার হিসেবেও কাজ করে।
কাঠঠোকরা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ বার গাছের গায়ে ঠোকরায়। এই ভয়ংকর ধাক্কা মাথায় গিয়ে লাগার কথা, কিন্তু তার জিভের বিশেষ গঠন, যাকে বলা হয় হায়োইড অ্যাপারাটাস, এই ধাক্কা মাথায় সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেয়, ফলে তার মস্তিষ্ক রক্ষা পায়। মানুষ এমন ঠোকর খেলে মস্তিষ্কে ভয়ানক আঘাত পেত, কিন্তু কাঠঠোকরা এই অভাবনীয় উপায়ে নিজের মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে।
অস্ট্রিয়ার ক্রিপ্টে প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষের স্তূপে চাপা পড়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ শিশুমমির আবিষ্কারে হতবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। রেনেসাঁ যুগের অভিজাতদের মাঝে, সযত্নে রেশমের জামায় জড়ানো এক বছরের শিশুর মৃতদেহ, কাঠের কফিনে শায়িত, ছিল নিঃশব্দ এক উপস্থিতি—যেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রশ্ন করে এসেছে: “আমি কে?”
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, সিটিস্ক্যান ও তারিখ নির্ধারণ পরীক্ষায় উঠে আসে শিশুটির রহস্যময় মৃত্যুর কারণ। শারীরিক গঠন থেকে জানা যায়, সে ছিল পুষ্টিসম্পন্ন; অর্থাৎ ক্ষুধার কারণে নয়, বরং এক ধরণের দুর্ভাগ্যজনিত অসুখই ছিল তার মৃত্যুর কারণ।
হাড়ের গঠনে দেখা যায় রিকেটসের লক্ষণ—একটি রোগ, যা ভিটামিন ডি-র অভাবে হয় এবং যার উৎস প্রধানত সূর্যালোক। অথচ তখনকার সমাজে, বিশেষ করে অভিজাত পরিবারের শিশুরা ঘরের ভিতরেই বড় হতো, কারণ ফর্সা ত্বক ছিল সম্পদের ও মর্যাদার প্রতীক।
বাহ্যিক সৌন্দর্যের এই সংস্কৃতি শিশুটির শরীরে সূর্যের ছোঁয়া পৌঁছাতে দেয়নি; প্রাকৃতিক আলো থেকে বঞ্চিত সে শিশুর হাড় ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল অজান্তেই। গবেষকদের মতে, ফুসফুসে পাওয়া তথ্য বলছে, শিশুটি সম্ভবত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারায়—অপরিচর্য ও আধুনিক চিকিৎসাবিহীন এক মৃত্যুর পথে তাকে ঠেলে দেয় সমাজের সৌন্দর্যপিপাসু রীতি।
এই শিশুটি সম্ভবত ছিলেন রাইখার্ড ভিলহেল্ম, এক ক্ষমতাধর কাউন্টের জ্যেষ্ঠ সন্তান—যার পরিচয় বহুকাল ধরেই ছিল অজানা। অন্যসব অভিজাতদের মতো ধাতব কফিনে নয়, বরং কাঠের এক নির্ভেজাল কফিনে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল, যেন নিভৃত এক প্রস্থান, অথচ ভালোবাসায় ঘেরা। এই প্রাচীন নিঃসঙ্গ শয়ন যেন এক নিরব কাব্য—যেখানে ইতিহাস, বিজ্ঞান ও ভালোবাসা এসে মিশে যায় এক শিশুর ক্ষণজন্মা জীবনের সন্ধানে।
শিশুটির নিঃশব্দ মৃত্যু এবং শতাব্দী পেরিয়ে আসা তার দেহাবশেষ আজ যেন প্রশ্ন তোলে—কোনটা ছিল প্রকৃত আর কোনটা আরোপিত? সৌন্দর্যের নামে সূর্যকে বর্জন করে যদি প্রাণ যায়, তবে ঐতিহ্য আর মর্যাদার নামে কতো শিশুই তো হারিয়ে গেছে—নিঃশব্দে, নিঃশ্বাসে। এই শিশুর কফিনে ঘুমিয়ে আছে শুধু এক অব্যক্ত যন্ত্রণা নয়, বরং এক নিঃশব্দ প্রতিবাদও—অন্যায় সৌন্দর্যের মানদণ্ড আর সামাজিক শৃঙ্খলের এক অদৃশ্য কারাগারের বিরুদ্ধে।
অস্ট্রিয়ার ক্রিপ্টে প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষের স্তূপে চাপা পড়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ শিশুমমির আবিষ্কারে হতবাক হয়ে যান বিজ্ঞানীরা। রেনেসাঁ যুগের অভিজাতদের মাঝে, সযত্নে রেশমের জামায় জড়ানো এক বছরের শিশুর মৃতদেহ, কাঠের কফিনে শায়িত, ছিল নিঃশব্দ এক উপস্থিতি—যেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রশ্ন করে এসেছে: “আমি কে?”
আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে, সিটিস্ক্যান ও তারিখ নির্ধারণ পরীক্ষায় উঠে আসে শিশুটির রহস্যময় মৃত্যুর কারণ। শারীরিক গঠন থেকে জানা যায়, সে ছিল পুষ্টিসম্পন্ন; অর্থাৎ ক্ষুধার কারণে নয়, বরং এক ধরণের দুর্ভাগ্যজনিত অসুখই ছিল তার মৃত্যুর কারণ।
হাড়ের গঠনে দেখা যায় রিকেটসের লক্ষণ—একটি রোগ, যা ভিটামিন ডি-র অভাবে হয় এবং যার উৎস প্রধানত সূর্যালোক। অথচ তখনকার সমাজে, বিশেষ করে অভিজাত পরিবারের শিশুরা ঘরের ভিতরেই বড় হতো, কারণ ফর্সা ত্বক ছিল সম্পদের ও মর্যাদার প্রতীক।
বাহ্যিক সৌন্দর্যের এই সংস্কৃতি শিশুটির শরীরে সূর্যের ছোঁয়া পৌঁছাতে দেয়নি; প্রাকৃতিক আলো থেকে বঞ্চিত সে শিশুর হাড় ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল অজান্তেই। গবেষকদের মতে, ফুসফুসে পাওয়া তথ্য বলছে, শিশুটি সম্ভবত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারায়—অপরিচর্য ও আধুনিক চিকিৎসাবিহীন এক মৃত্যুর পথে তাকে ঠেলে দেয় সমাজের সৌন্দর্যপিপাসু রীতি।
এই শিশুটি সম্ভবত ছিলেন রাইখার্ড ভিলহেল্ম, এক ক্ষমতাধর কাউন্টের জ্যেষ্ঠ সন্তান—যার পরিচয় বহুকাল ধরেই ছিল অজানা। অন্যসব অভিজাতদের মতো ধাতব কফিনে নয়, বরং কাঠের এক নির্ভেজাল কফিনে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল, যেন নিভৃত এক প্রস্থান, অথচ ভালোবাসায় ঘেরা। এই প্রাচীন নিঃসঙ্গ শয়ন যেন এক নিরব কাব্য—যেখানে ইতিহাস, বিজ্ঞান ও ভালোবাসা এসে মিশে যায় এক শিশুর ক্ষণজন্মা জীবনের সন্ধানে।
শিশুটির নিঃশব্দ মৃত্যু এবং শতাব্দী পেরিয়ে আসা তার দেহাবশেষ আজ যেন প্রশ্ন তোলে—কোনটা ছিল প্রকৃত আর কোনটা আরোপিত? সৌন্দর্যের নামে সূর্যকে বর্জন করে যদি প্রাণ যায়, তবে ঐতিহ্য আর মর্যাদার নামে কতো শিশুই তো হারিয়ে গেছে—নিঃশব্দে, নিঃশ্বাসে। এই শিশুর কফিনে ঘুমিয়ে আছে শুধু এক অব্যক্ত যন্ত্রণা নয়, বরং এক নিঃশব্দ প্রতিবাদও—অন্যায় সৌন্দর্যের মানদণ্ড আর সামাজিক শৃঙ্খলের এক অদৃশ্য কারাগারের বিরুদ্ধে।