কাশ্মীর থেকে রাশিয়া—একটা সুড়ঙ্গ সত্যিই আছে?
একটা গুহা, যার ভিতর ঢুকে কেউ কেউ আর ফেরেনি।
কাশ্মীরের লোকজন আজও রাতে আলো নিভিয়ে ফিসফিস করে বলে—
“ওই গুহার একটা মুখ রাশিয়ায় নিয়ে যায়…”
অবাক হচ্ছেন? কিন্তু কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার লোলাব উপত্যকায় এমন এক গুহা সত্যিই আছে, যার নাম “কালারুশ”।
এই নামের মানেই শুনে থমকে যাবেন—“Qila-e-Roos”, অর্থাৎ “রাশিয়ার দুর্গ”।
গ্রামবাসীদের ভাষায় একে আবার বলা হয় “সাথ বারনো”—মানে সাত দরজা।
কারণ? এই গুহার রয়েছে সাতটি প্রবেশপথ।
শোনা যায়, তার একটিই সোজা চলে গেছে রাশিয়ার দিকে!
স্থানীয়দের বিশ্বাস—এই গুহার পথ এক সময় পাণ্ডবরা ব্যবহার করত।
অন্যদের মতে, এখানে গুপ্তচররা যাতায়াত করত বহু শতাব্দী আগে।
আর কেউ কেউ বলে—এই গুহার মধ্যেই এখনো রয়েছে প্রাচীন কোনো গোপন সভ্যতার ছায়া।
২০১৮ সালে মার্কিন দম্পতি অ্যাম্বার ও এরিক ফায়েস একদল অভিযাত্রী নিয়ে এই গুহায় নেমে পড়েন।
তাঁদের দাবি—এই গুহার ভিতরে ছিল প্রাচীন চলাচলের চিহ্ন, লবণের স্তর, এমনকি এমন খনিজ পদার্থ যা আজও বৈজ্ঞানিকদের কাছে রহস্য।
তবে সবচেয়ে ভয়ের কথা—তাদের এক প্রবেশপথের সামনে থমকে যেতে হয়, কারণ সেনাবাহিনী সেই মুখ সিল করে দিয়েছে।
কেন?
বলা হয়, ওই পথেই লুকিয়ে আছে সেই রহস্যময় সুড়ঙ্গ, যার শেষ কোথায় কেউ জানে না।
ভেতর থেকে মাঝে মাঝে জল পড়ার শব্দ আসে।
ভেতরে আলো ফেলে দেখা যায়—নিচে নামা, শুধু নামা… শেষ নেই।
স্থানীয়রা বলে, গুহার গভীরে আগে হিংস্র ভাল্লুক আর বানরদের দেখা যেত। তারা একসময় গ্রামের মধ্যে হানা দিত।
তাই সেনাবাহিনী সেটি বন্ধ করে দেয় সুরক্ষার জন্য।
কিন্তু… যদি সুরক্ষা ছাড়াও অন্য কিছু লুকিয়ে থাকে?
কেউ বলে গুহার এক দেয়ালে চীনা ভাষায় লেখা কিছু রহস্যময় চিহ্ন এখনো আছে।
আবার কেউ কেউ দেখে এসেছে এক দরজা—"সাত্রি গেট", যার পেছনে নাকি আছে বহু দেশের দিকে যাওয়ার লুকনো পথ।
তাহলে সত্যি কি কাশ্মীরের বুকে লুকিয়ে আছে এমন এক সুড়ঙ্গ যা রাশিয়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারে?
নাকি এই সবই লোককথা, অলীক বিশ্বাস?
আজও কালারুশ গুহা সেই উত্তর দেয়নি।
শুধু দাঁড়িয়ে আছে—অন্ধকার, গভীর আর নীরব এক রহস্য হয়ে…
যার ভিতর পা দিলেই আপনি হারিয়ে যেতে পারেন ইতিহাস আর কল্পনার মাঝখানে…