নিচের ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হাতি। কিন্তু এটি যতই খুঁজুন, খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটি বিশেষ উপায়েই খোঁজ মিলবে হাতিটার।
অপটিক্যাল ইলিউশন চোখের পাশাপাশি মনের পরীক্ষাও নেয়। কার চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারণা কেমন তা বলে দিতে পারে অপটিক্যাল ইলিউশন। তাই এই ধরনের ইলিউশন বিভিন্ন পার্সোনালিটি টেস্ট বা ব্যক্তিত্ব পরীক্ষার কাজে দরকার পড়ে। সম্প্রতি এমনই একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি গভীর বন। সেখানে একজন শিকারি হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে কোনও এক প্রাণীকে। কাকে? এক হাতিকে। হাতিটি নাকি এই বনের মধ্যেই লুকিয়ে। আপনি দেখতে পেলেন? এটাই আজকের চ্যালেঞ্জ।
সময় মাত্র ৫ সেকেন্ড
জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হাতিকে খুঁজে বার করার জন্য মাত্র পাঁচ সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যাঁরা খুঁজে পাবেন, তারা আদতে জিনিয়াস অর্থাৎ প্রচণ্ড বুদ্ধিমান। তাদের আইকিউ ১০০ এর কাছাকাছি। কিন্তু খুঁজে না পেলে? তাতেও বিশেষ চিন্তার কোনও কারণ নেই। বলা হয়েছে যদি ৫ সেকেন্ডের বদলে ১০ সেকেন্ড লাগে, তাহলেও আইকিউ নেহাত কম নয়। কত সেই ক্ষেত্রে? বলা হচ্ছে ৮০-এর কাছাকাছি আইকিউ ওই ব্যক্তির।
অপটিক্যাল ইলিউশনের ভালোমন্দ
অপটিক্যাল ইলিউশন নেট দুনিয়ায় সময় কাটানোর বেশ ভালো একটি ব্রেনের এক্সারসাইজ। পাশাপাশি এই ধরনের ইলিউশন মনের পরীক্ষা করে, ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা করে। পরের ছবিতে দাগিয়ে দেওয়া হল সঠিক উত্তর কোনটা। দেখে নিন সঠিক উত্তর।
অপটিক্যাল ইলিউশন কার মন মানসিকতা কেমন, তা পরখ করে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে উত্তর যে সঠিক হবে, তাও কিন্তু নয়। অনেক সময়ই ব্যাপারটি আপেক্ষিক হতে পারে। তাই সবসময় এটি বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন - রঙিন পাখির ভিড়ে লুকিয়ে একটি ছোট্ট প্রজাপতি, খুঁজে পেলেই জানা যাবে কার কী শখ
উপরের ছবিতে রইল আসল উত্তর। আসলে ছবিটির কারিকুরিতেই ছিল আসল রহস্য। ছবিটি বর্তমানে যেভাবে রয়েছে, তা স্রেফ উল্টে দিতে হবে। অর্থাৎ উপরটা আসবে নিচে, নিচটা যাবে উপরে। এমনটা করলেই দেখা যাবে আসল ছবিটা। উপরে সেই ছবিটি ওভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হল। এবার দেখুন, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাতিটা!
🐍 অজগর সাপ ও ভালোবাসার মুখোশ: একটি সতর্কতার গল্প........
এক মহিলা পোষ মানিয়েছিলেন এক বিশাল অজগর সাপকে।
সাপটি ছিল প্রায় ৪ মিটার লম্বা, মসৃণ ত্বক, শক্তিশালী গঠন, এবং বছরখানেক ধরে তার ঘরেরই একজন সদস্যের মতো ছিল।
মহিলা তাকে যত্ন করতেন, সময় দিতেন, এমনকি রাতে নিজের বিছানাতেও জায়গা দিতেন।
কিন্তু হঠাৎ একদিন অজগরটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
একদিন নয়, দু’দিন নয় সোজা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাপটি কিছুই খাচ্ছিল না।
মহিলা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন।
"এত যত্নের পরেও আমার সাপটা এমন করছে কেন?" এই চিন্তায় দিন কেটে যেতে লাগল।
শেষমেশ তিনি এক অভিজ্ঞ প্রাণীচিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডাক্তার সব শুনে খুব মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন করেন,
👉 “সাপটি কি রাতে আপনার সঙ্গে ঘুমায়?”
মহিলা একটু হেসে বলেন, “হ্যাঁ, প্রায়ই। ও খুব শান্ত থাকে আমার পাশে।”
ডাক্তার আবার জিজ্ঞেস করেন,
👉 “সে কি ধীরে ধীরে আপনার শরীর বরাবর পেঁচিয়ে থাকে, আপনাকে ঘিরে ফেলে?”
মহিলা একটু অবাক হয়ে বলেন, “হ্যাঁ, কিন্তু আমি ভাবতাম এটা আদরের মতো!”
তখনই ডাক্তার গভীরভাবে বলেন,
🔴 “ম্যাডাম, এই সাপটি এখন আপনাকে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ও খাওয়া বন্ধ করেছে যাতে শরীরের ভিতরে আপনার জন্য যথেষ্ট জায়গা তৈরি হয়।
ও যখন আপনাকে পেঁচিয়ে ধরে, তখন আসলে মাপছে আপনার শরীরটা ওর হজমে কতটা সময় লাগবে।”
মহিলাটি স্তব্ধ হয়ে যান।
🎭 গল্পের বার্তা:
এই অজগরের মতো, আমাদের আশপাশেও কিছু মানুষ থাকে
তারা আমাদের জীবনেও জায়গা করে নেয় ধীরে ধীরে…
তাদের আচরণ অনেকসময় ভালোবাসার মতো মনে হয়,
তারা পাশে ঘুমায়, হাসে, সময় দেয়…
কিন্তু বাস্তবে তারা মেপে নিচ্ছে আপনাকে কীভাবে ধ্বংস করবে, কবে ধ্বংস করবে।
তাদের উদ্দেশ্য ভালোবাসা নয়,
👉 বরং আপনার আস্থা অর্জন করে, ধীরে ধীরে আপনার জীবনটাকেই গ্রাস করে নেওয়া।
🔸 তারা উপকারের মুখোশ পরে ক্ষতি করে,
🔸 তারা আশ্রয়ের ছায়ায় রাখে কিন্তু ভিতর থেকে শুষে নেয় শক্তি,
🔸 তারা বোঝায় ‘তোমার জন্য আমি আছি’, কিন্তু বাস্তবে তারা নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী চাল চালছে।
🚨তাই প্রশ্ন করুন নিজেকে
✅ আপনি কি কারও এমন আচরণ মেনে নিচ্ছেন, যেটা সত্যিই ক্ষতিকর?
✅ আপনি কি কারও পাশে আছেন শুধু এই ভেবে যে, “সে তো কখনো সরাসরি ক্ষতি করেনি”?
✅ আপনি কি নিজেই নিজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জায়গা তৈরি করছেন “ভালোবাসা”র নাম করে?
সব সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মতো হয় না।
সব সঙ্গীই বন্ধু হয় না।
সব ভালোবাসা নিরাপদও নয়।
এই ছবির নাম কেউ দিতে পারেনি।
না পাঠক, কেউই পারেনি। এমনকি ছবির চিত্রগ্রাহকও—যিনি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো’র একজন খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার—আজীবন নিরব থেকেছেন এই ছবির নাম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে। কারণ, এ ছবির নাম দেয়া যেন শব্দকে অপমান করা।
ছবিতে দুইজন মানুষ। একজন মা—সোমায়েহ্ মেহরি, মাত্র ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী। আরেকজন তাঁর মেয়ে—মাত্র ৩ বছর বয়সী রানা আফগানিপোর। তাঁরা থাকেন দক্ষিণ ইরানের ব্যাম শহরে।
কিন্তু এক ভয়াল রাতে, তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি—সোমায়েহ্'র স্বামী, রানা'র পিতা—অ্যাসিড ছুঁড়ে দিল স্ত্রীর ও সন্তানের শরীরে। ভয়াবহ সেই হামলায় হারিয়ে গেল দুজনের চিরচেনা চেহারা। চিরতরে।
বহু অস্ত্রোপচার, অসংখ্য যন্ত্রণার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে ও তাঁর শিশুকে ফিরিয়ে আনলেন মৃত্যুর মুখ থেকে। এরপরই, হাসপাতালের এক নিস্তব্ধ ঘরে, ঘটে এই দৃশ্য—মা ও মেয়ের প্রথম সাক্ষাৎ।
কী অনুভব করেছিলেন সোমায়েহ্, মেয়ের চোখে নিজের নতুন রূপ দেখে?
ফেটে গিয়েছিল কি ছোট্ট রানা’র হৃদয়, নিজের মায়ের এমন এক রূপ দেখে, যাকে সে চিনতে পারছে না?
ফটোগ্রাফার তাঁর ঝাপসা চোখে তুলে নিলেন মুহূর্তটি ক্যামেরায়। চারপাশ তখন নিশ্চুপ কান্নায় ভেসে যাচ্ছিল।
সেই সময়, কোনো ভয় কিংবা দ্বিধা ছাড়াই ছোট্ট রানা ছুটে গেল তাঁর মায়ের দিকে।
সোমায়েহ্ তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন বুকের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে।
আর ঠিক সেই মুহূর্তেই, জন্ম নিল এক চুমু—যা হয়তো মানব ইতিহাসে আর কখনও কেউ দিতে পারেনি।
এ ছিল মমতার চুমু। দুঃখের চুমু। অস্তিত্বকে ছুঁয়ে যাওয়ার চুমু।
এই দৃশ্যের কী নাম দেবেন আপনি?
তবুও, মানুষ বেঁচে থাকবে। আরও বিলিয়ন বছর।
তবুও, কোনো একদিন একজন পিতা তাঁর মেয়েকে বুকে জড়িয়ে বলবেন—
"আছি তো মা! আছি তো!"
একজন স্ত্রী আর কখনো ভয়ে কুঁকড়ে দাঁড়াবেন না তাঁর স্বামীর সামনে।
মানবজাতিকে কত বিলিয়ন বছর লাগবে এমন দিন দেখতে?
এই ছবিতে একটি মা—অ্যাসিডে দগ্ধ মুখে—তাঁর মেয়েকে ঘুমের ভেতরে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন।
"ভয় লাগে মা?"
পৃথিবী, তুই কী করে উত্তর দিবি?
আর না হোক এমন দৃশ্য।
আর না আসুক এমন সকাল যেখানে ভালোবাসার বদলে এসিড ছুঁড়ে দেয় প্রিয়জন।
মানুষ মানুষকে ভালোবাসুক।
রানা, তুমি ভালো থেকো তোমার মায়ের বুকে।
রূপে কী আসে যায়?
এই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর চুমু।
টয়োটা সিইও তাদের ওয়াটার ইঞ্জিন উন্মোচন করেছেন এবং এটি ব্যাপক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত, যা ইভি শিল্পকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে কল্পনা করুন এমন একটি ভবিষ্যতের কথা যেখানে আপনার গাড়ি কেবল জল ব্যবহার করে চলে, যা সামান্য ক্ষতিকারক বাষ্প নির্গত করে।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর মতো শোনাচ্ছে, তাই না? তবুও, গ্যাসের দাম বাড়তে থাকায় এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি এখনও উচ্চ খরচ এবং দীর্ঘ চার্জিং সময়ে জর্জরিত, এই ভবিষ্যত দৃষ্টি খুব শীঘ্রই বাস্তবে রূপ নিতে পারে। একটি ব্র্যান্ড এই ধারণার সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত হচ্ছে। সেটি আর কেউ নয়, টয়োটা, যার সিইও তাদের ওয়াটার ইঞ্জিন উন্মোচন করেছেন এবং এটি ব্যাপক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত, যা ইভি শিল্পকে নাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।
এই বিপ্লবী প্রযুক্তি, যা ইলেক্ট্রোলিসিসের প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি, আমাদের যানবাহন কীভাবে শক্তি যোগাবে তা মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে। অটো শিল্পে এমন একটি গুজব ঘুরছে যা খেলাটিকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে পারে। আপনি বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো চেনেন, তাই না? সেই শান্ত, শীতল গাড়িগুলো, যা সবাই ভবিষ্যতের কথা বলে? মনে হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম তেমন দীর্ঘ নাও হতে পারে। টয়োটা সিইও ঘোষণা করেছেন যে জাপানি কোম্পানিটি জল-চালিত ইঞ্জিন তৈরি করতে চলেছে।
এখন, আপনি চোখ ঘোরাবার আগে এবং ভাবার আগে, “হ্যাঁ, অবশ্যই, যেন আমরা ঝর্ণা থেকে আমাদের গাড়ি ভরব”, আমার সাথে থাকুন। এটা কোনো বাড়ির উঠোনে তৈরি করা বন্য ধারণা নয়। অবশ্যই, এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিভাবে একটি জল-চালিত ইঞ্জিন কাজ করবে? এটি কি গ্যাসোলিন বা বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের মতো দক্ষ এবং শক্তিশালী হবে? এটা কি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর বিষয়, নাকি ড্রাইভিংয়ের এক নতুন যুগের সূচনা? আসুন, আমরা এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করি।