ভাবতেই ভুলে বসছি শেষ কবে তোমার সাথে বসে শেষ পরশ টুকু হয়েছিল। তবুও জানো আমি জানি তুমি কি করছ ঠিক এই মুহুর্ত। আমি জানি তুমি কেমন করে কাঁদো। আমি এও জানি, তুমি এখনো বিশ্বাস করো আমি তোমারই। তবুও অভিমানের আত্নহংকারে আমরা দু’প্রান্তে অটল।
ভাবছ, আমি তোমার ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকের আপডেট দেখি।
না, একদম না। বরং আমি সেই মানুষটি, যে জানে কল্পনায় তোমায় নিয়ে মধুমাসে ভাসতে। এর যে কি দারুণ সুখ তা যদি তুমি জানতে।
ভাবছ, মিথ্যে বলছি।
না, আমি যে মিথ্যুক না তা তুমি বরাবরই জেনেছিলে। তুমি জানো তুমি চাইলেই আমি হাজির।
তবুও তুমি চাইবেনা কারণ, তুই আমি ধর্মের নীতিতে অটল।
জানিস! মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমিই শেষ প্রেমিক! যার কিনা হৃদয় আছে। এখনো সবাই জানে এই মানুষটির মাঝে কৃতজ্ঞতা স্বীকার আছে। তাইতো ভালোবাসিস।
এরচেয়ে সুখের কি হতে পারে, যখন এই ভূখণ্ডের মাঝে কিছু কিছু মানুষ অতি গোপনে আমায় নিয়ে ভাবে।
যা বলছিলাম, এই অনুভূতি প্রকাশ এখন আর পরশে হবেনা বলে আমি বিচলিত। সবই যে মেটাভার্স নাকি কি! তা নিবে কেড়ে।
#সৃষ্টি
#premdevota
বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় বেসিসের মেলা
***********************************************************************
‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগানে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে সফটওয়্যার মেলার আয়োজন
করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। চার দিনের এ মেলায় দেশে তৈরি সফটওয়্যারের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও উদ্ভাবন তুলে ধরা হবে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বেসিসের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করা যাবে। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি আলোচনার সুযোগ দিতে মেলা প্রাঙ্গণে বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) বৈঠকের আয়োজন করা হবে। এ আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন।
মেলার আহ্বায়ক ও বেসিসের সহসভাপতি আবু দাউদ খান বলেন, ‘এবারের আয়োজনে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ২০টি সেমিনার ও প্রযুক্তি অধিবেশনের পাশাপাশি বিজনেস লিডারস মিট, অ্যাম্বাসেডর নাইট, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট প্রদর্শনী, চাকরি মেলা, ক্যারিয়ার ক্যাম্প, ফ্রিল্যান্সিং সম্মেলন, স্টার্টআপ সম্মেলন, ডেভেলপার্স সম্মেলন, প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে অনুষ্ঠানসহ জাপান ডে আয়োজন করা হবে
মেলার আহ্বায়ক ও বেসিসের সহসভাপতি আবু দাউদ খান বলেন, ‘এবারের আয়োজনে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ২০টি সেমিনার ও প্রযুক্তি অধিবেশনের পাশাপাশি বিজনেস লিডারস মিট, অ্যাম্বাসেডর নাইট, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট প্রদর্শনী, চাকরি মেলা, ক্যারিয়ার ক্যাম্প, ফ্রিল্যান্সিং সম্মেলন, স্টার্টআপ সম্মেলন, ডেভেলপার্স সম্মেলন, প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে অনুষ্ঠানসহ জাপান ডে আয়োজন করা হবে
উল্লেখ, এবারের মেলায় ২০৪টি তথ্যপ্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান তাঁদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি দুই শতাধিক দেশি–বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ মেলায় অংশগ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন প্রকল্পও প্রদর্শন করা হবে।
Source: প্রথম আলো
ফেসবুক স্টোরিজ থেকে ছবি বা ভিডিও মুছে ফেলা যায় যেভাবে
***********************************************************************
ফেসবুকের জনপ্রিয় একটির ফিচার হলো ফেসবুক স্টোরিজ। ফেসবুক স্টোরিজের মাধ্যমে ছবি, গান ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রকাশ করা যায়। একটি স্টোরিজ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মুছে যায়। ছবি বা ভিডিওর স্টোরিজ সাধারণত পুরো পর্দাজুড়ে দেখা যায় এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের হয়। এটিই এর বৈশিষ্ট্য। মুঠোফোনের ক্যামেরা দিয়ে কোনো তাৎক্ষণিক মুহূর্তও স্টোরি হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে অনেক সময় ভুলবশত কোনো ছবি বা ভিডিও স্টোরি হিসেবে পোস্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের অপশনের মাধ্যমে সেই স্টোরি মুছে ফেলার সুযোগও রয়েছে।
প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নিউজফিডের একেবারে ওপরে অবস্থান করা স্টোরিজ সেকশনে যেতে হবে। স্টোরিতে ক্লিক করতে হবে। স্টোরির ডান দিকে ওপরে তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। ডিলিট ফটো বা ভিডিও অপশনে ক্লিক করতে হবে। ফেসবুক অ্যাপ থেকে স্টোরির ছবি বা ভিডিও মুছে ফেললে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেঞ্জার অ্যাপ থেকেও মুছে যাবে। স্টোরিতে কোনো পরিবর্তন আনলে সেটি ফেসবুক অ্যাপ ও মেসেঞ্জার দুই প্ল্যাটফর্মের জন্যই প্রযোজ্য হয়।
সূত্র: গ্যাজেটস নাউ
Source: প্রথম আলো
ব্যবসায়ের জন্য ফেসবুক পেজ খোলা যায় যেভাবে
***********************************************************************
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন সেবার মধ্যে বিজনেস পেজ একটি। এর মাধ্যমে গ্রাহক ও ব্যবসায়ী উভয়ই উপকৃত হয়ে থাকেন। কোনো ওয়েবসাইট ছাড়াই শুধু ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গ্রাহকের সামনে তুলে ধরা যায়।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কখন চালু হয় বা বন্ধ হয়, ঠিকানা ও অবস্থান, ফোন নম্বরসহ পণ্যের ধরনও দেওয়া যায় ফেসবুক পেজে। এ ছাড়া পণ্য বা সেবাসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যের ঘোষণা দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে সংযোগ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে ফেসবুকের বিজনেস পেজ। দেখে নেওয়া যাক ফেসবুকে কীভাবে একটি বিজনেস পেজ চালু করা যায়।
ফেসবুকে লগ-ইন
ফেসবুকে বিজনেস পেজ বা সাধারণ পেজ খোলার জন্য প্রথমেই নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে যেতে হবে। লগ-ইন করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রবেশের পর কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
একটি পেজ তৈরি
ফেসবুকের হোমপেজ থেকে পেজ তৈরির দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমত, স্মার্টফোনে ফেসবুকের হোমপেজের প্রোফাইল আইকনে গিয়ে নিচের মেনু থেকে পেজে ট্যাপ করতে হবে। এরপর ক্রিয়েট নির্বাচন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কম্পিউটার থেকে হোমপেজের বাঁ দিকে থাকা পেজে ক্লিক করে ক্রিয়েট নির্বাচন করতে হবে। ‘ক্রিয়েট আ নিউ পেজ’ দিয়ে পেজ তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
ব্যবসায়িক তথ্য প্রদান
‘ক্রিয়েট আ নিউ পেজ’-এ ক্লিক করার পর ব্যবসা-সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে প্রদর্শিত অপশনগুলো পূরণ করতে হবে। যেমন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম, ধরন, ব্যবসা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসব দিতে হবে। নির্ভুলভাবে সব তথ্য দেওয়ার পর একবার সব তথ্য যাচাই করে নিয়ে নিচে ক্রিয়েট পেজ বাটনে ক্লিক করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পেজের নামটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামেই পূরণ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রূপ
ফেসবুক পেজ চালু হয়ে গেলেও এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে আরও কিছু তথ্য দিতে হবে। প্রোফাইল ও কভার ছবি যোগ করতে হবে। কোনো ইভেন্ট থাকলে সেটি যোগ করতে হবে। ঠিকানা, ফোন নম্বর, খোলা ও বন্ধের সময় যোগ করতে হবে। পেজ ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যাডমিন, এডিটর, মডারেটর নির্বাচন করা যাবে। পণ্য ও সেবা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে পোস্ট দিতে হবে।
সূত্র: ম্যাশেবল
Source: প্রথম আলো
১০ পয়সায় ১ কিলোমিটার চলবে যে বাইক
***********************************************************************
৬ থেকে ৮ ঘণ্টা চার্জে এই বাইকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দেওয়া যাবে। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে মাত্র ১০ পয়সা। এমন একটি বাইক বাজারে নিয়ে এসেছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইকের নাম তাকিওন লিও। এর ৩টি সংস্করণ এসেছে বাজারে। সম্প্রতি এই বাইক বাজারে আনার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, তাকিওন বিআরটিএ অনুমোদিত বৈদ্যুতিক বাইক। বর্তমানে ২ মডেলে ৪ রকমের ওয়ালটন ই-বাইক পাওয়া যাচ্ছে। ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই ওয়ালটনের ই-বাইকে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে। শব্দ ও পরিবেশদূষণমুক্ত এই বাইকে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম, চালানো সহজ ও নিরাপদ।
নতুন আসা তাকিওন লিও ১২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এন্ট্রি লেভেল সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। একবার চার্জে বাইকটি ৪০ কিলোমিটার চলবে। এর দাম ৪৯ হাজার ৮৫০ টাকা।
তাকিওন লিও ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে এক চার্জে ৭০ কিলোমিটার যাওয়া যাবে। বাইকটির দাম ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
তাকিওন লিওতে ২৩ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি প্যাকে ৮০ কিলোমিটার চলা যাবে একবার চার্জ করে। দাম ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা।
তাকিওন ১.০০ মডেলের ই-বাইকটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী। লাল, নীল ও ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫০ টাকা।
Source: প্রথম আলো
হ্যাকারের হাত থেকে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার ৫ কৌশল
***********************************************************************
রোজকার জীবনে স্মার্টফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বন্ধু, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি তোলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট বিনিময়, ওয়েবসাইট দেখা, ব্যাংক হিসাবে প্রবেশ, অনলাইন লেনদেনসহ নানা কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ স্মার্টফোনে আপনার ব্যক্তিগত কথোপকথন, পাসওয়ার্ড, ব্যাংকের বিস্তারিত ও ব্রাউজিং ইতিহাস থাকে। আর এই স্মার্টফোনের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি কেবল হ্যাকিংয়েই সীমাবদ্ধ নয়, ফোনটি চুরি হয়ে গেলেও সেখান থেকে তথ্য চুরি করে তার অপব্যবহার হতে পারে। স্মার্টফোন নিরাপদ রাখুন এই পাঁচ উপায়ে।
১. সফটওয়্যার ও সুরক্ষা ব্যবস্থার হালনাগাদ
স্মার্টফোন, তা অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন, যা-ই হোক না কেন, প্রথম কাজ হলো সেটআপ করা। সেটআপের সময় অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ ইনস্টল করা উচিত। এটি সম্ভাব্য সাইবার হামলা থেকে স্মার্টফোনকে সুরক্ষা দেবে। অনেক ক্ষেত্রে এটি খুব সহজ। কারণ, স্মার্টফোন নিজেই হালনাগাদের কথা জানিয়ে দেয়। এ ছাড়া স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সব অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। এতে অ্যাপও অনেকদিন ব্যবহার করা যাবে এবং অপ্রত্যাশিত যেকোনো বিষয় থেকে সুরক্ষা দেবে।
২. পাসওয়ার্ড, পিন বা বায়োমেট্রিক সুরক্ষা ব্যবহার করা
ই-মেইলের সুরক্ষার জন্য পাসওয়ার্ড ও অনলাইন লেনদেন তথ্যের সুরক্ষার জন্য পিন ব্যবহার করুন। এই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তরের সুরক্ষা ব্যবহার করা উচিত। যদিও অনেকে স্মার্টফোনে থাকা তথ্যের সুরক্ষায় সবচেয়ে মৌলিক সুরক্ষার ব্যবস্থাই ব্যবহার করেন না। আপনি হয়তো ভাবছেন, বন্ধুরা আপনার স্মার্টফোনে কী আছে, তা দেখায় কোনো উদ্বেগ নেই। তবে ফোন চুরি হলে তাতে পিন বা যাচাইকরণ ব্যবস্থা না থাকলে যে কেউ সব তথ্য দেখতে পাবে। পাসওয়ার্ড, পিন বা বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা সচল থাকলে ফোনটি ভুল মানুষের হাতে পড়লেও তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবে না। পাসওয়ার্ড হতে হবে স্বতন্ত্র এবং ফোনের লক করায় যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, সেটি যেন অ্যাপে ব্যবহার করা না হয়।
৩. বহুমাত্রিক যাচাইকরণের ব্যবস্থা
সাইবার অপরাধীদের কাছে পাসওয়ার্ড হলো সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়। আর পাসওয়ার্ড পেলে অপরাধীরা ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করেন। আপনার মোবাইলের অ্যাপে যদি ব্যাংকের বিস্তারিত থাকে, তবে তারও অপব্যবহার করবেন হ্যাকাররা। পাসওয়ার্ড দুর্বল বা শক্তিশালী, যা-ই হোক না কেন, হ্যাকাররা তা পাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই স্মার্টফোনের বহুমাত্রিক যাচাইকরণের (মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে। এতে আক্রমণকারী পাসওয়ার্ড পেলেও সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন না। কারণ, আপনার কাছে তার নোটিফিকেশন চলে আসবে। আরও বেশি সুরক্ষিত করতে চাইলে বাড়তি যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
৪. অ্যাপের উৎস
যেকোনো ধরনের স্মার্টফোনের জন্য অনেক অ্যাপ নামাতে হয়। আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করেন, তাহলে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ নামিয়ে নিন। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ নামিয়ে নিন। অধিকাংশ অ্যাপই বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু অ্যাপের গ্রাহক হতে হয়। ফি দিতে হয়, এমন অ্যাপের বিনা মূল্যের সংস্করণ নামাতে চেষ্টা করেন অনেকে। মনে রাখতে হবে, ফ্রি বা বিনা মূল্যের কোনো সংস্করণ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যায় না। এটি ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতারক ও সাইবার অপরাধীরা এই সুযোগ নিয়ে তৃতীয় পক্ষের ভুয়া সাইটের লিংক পাঠায়। লিংক দেখে মনে হতে পারে, প্রয়োজনীয় অ্যাপ, এটি থেকে নামানো যাবে। ওই সাইটে ক্লিক করলেই বিপদ। এ ছাড়া ভুয়া ই-মেইল দিয়েও প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেন হ্যাকাররা।
৫. নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সতর্কতা, ভিপিএন ব্যবহার
অনেকে মোবাইল ফোন সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কিন্তু তা অনেকের চাহিদার বিপরীতে যথেষ্ট নয়। তাই সুযোগ পেলেই গণ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের চেষ্টা করেন। অনেক পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগ বৈধ। তবে সেটি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকিমুক্ত নয়। যে কেউ সেই সংযোগ ব্যবহার করতে পারেন। আর সেটিতে তথ্য স্থানান্তর নিরাপদ নয়। আবার ব্যস্ত এলাকায় প্রতারকেরাও বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু করে রাখতে পারেন। আর নেটওয়ার্কে সংযোগ যুক্ত হলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত সব তথ্য চুরি হতে পারে। নিতান্তই যদি ওই রকম সংযোগ ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সেখানে স্পর্শকাতর অ্যাকাউন্টগুলো (ব্যাংক, অনলাইন ওয়ালেট বা যেকোনো ধরনের লেনদেন) লগইন করা যাবে না। এ ছাড়া তথ্যের সুরক্ষায় মোবাইল ভিপিএন ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: জেডডিনেট
Source: প্রথম আলো