আইওএসেও বার্তা সম্পাদনার কার্যকারিতা পরখ করছে হোয়াটসঅ্যাপ
***********************************************************************
মনের ভুলে কোনো বার্তা পাঠালে সেটি ফেরত আনা যায় হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু এতে প্রাপক জানতে পারেন, আপনি বার্তাটি ফেরত এনেছেন। ফলে অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন থেকেই পাঠানো বার্তা সম্পাদনার সুযোগ চালুর জন্য কাজ করছে বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপটি। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের পর এবার আইওএস অ্যাপেও বার্তা সম্পাদনা সুবিধার কার্যকারিতা পরখ শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
বার্তা সম্পাদনা সুবিধা চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপে ‘এডিট’ বাটন যুক্ত করা হবে। বাটনটিতে ক্লিক করে পাঠানো বার্তার তথ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি বানান ঠিক করা যাবে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের ডিলিট ফর এভরিওয়ান সুবিধার মাধ্যমে পুরো বার্তা মুছে ফেলে নতুন করে বার্তা পাঠাতে হবে না।
অ্যান্ড্রয়েডের পর আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে বার্তা সম্পাদনার কার্যকারিতা পরখ শুরু করায় শিগগিরই এ সুবিধা উন্মুক্ত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ এ সুবিধা চালু হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Source: প্রথম আলো
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সফটওয়্যারের বিকল্প নেই
***********************************************************************
এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কাজেই আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সফটওয়্যারের বিকল্প নেই। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ মেলার উদ্বোধন করে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সফটওয়্যার নির্ভরশীলতা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। জাতীয় সংসদে যত আলোচনা হয়, তা সব সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এটি বেসিসের সদস্যরাই তৈরি করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের ভালো মানের সফটওয়্যারও তৈরি করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তির এগিয়ে চলা শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। সরকার প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। সফটওয়্যারের কপিরাইটের ক্ষেত্রে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে না পারলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য সরকার ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলোর সুফল দেশের জনগণ আজ পাচ্ছে। দেশের ৮ হাজার ৩৬৩টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বর্তমান ১৩ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশেই বর্তমানে স্মার্ট চিপ তৈরি হচ্ছে। সরকার ব্যবসা করতে চায় না, কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে চায়।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এবারের এক্সপোর মাধ্যমে সফটওয়্যার খাতকে একটি ঝাঁকুনি দিতে চাই। একই সঙ্গে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সফটওয়্যারে আমাদের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতেও চাই। সরকার সহযোগিতা না করলে সফটওয়ার খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বেসিস সদস্যরা যেমন কাজ করেছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্যও কাজ করবে।’
‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগান নিয়ে চার দিনের বেসিস সফটএক্সপো চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় ২০৪টি প্রতিষ্ঠান সফওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদর্শন করছে। মেলার অংশ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা, উদ্ভাবন এবং নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ১৮টি গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ও অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় প্রতিদিনই থাকছে একাধিক সেমিনার। আজ ‘পলিসি ডায়ালগ: হাউ আইসিটি সেক্টর ক্যান সেভ ফরেইন কারেন্সি’, ‘গেম পাবলিশিং: অ্যান আনট্যাপড পটেনশিয়াল ফর বাংলাদেশ’, ‘সফটওয়্যার কিউএ অ্যান্ড টেস্টিং: প্রসপেক্টস ইন আউটসোর্সিং অ্যান্ড অপশোরিং’ এবং ‘ইমপ্যাক্ট এরিয়াস অব ফোরআইআর ইন এসডিজিস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে সেমিনার রয়েছে।
বেসিস সফটএক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা বেসিস সফটএক্সপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (https://softexpo.com.bd/) থেকে বিনা মূল্যে নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে যেতে পারবেন।
Source: প্রথম আলো
ফোনে স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধা চালু করবেন যেভাবে
***********************************************************************
কম্পিউটার ও ল্যাপটপের পর্দা বড় থাকায় সহজেই একই পর্দায় একাধিক ট্যাব বা সফটওয়্যারের কাজ করা যায়। তবে ফোনের পর্দা ছোট থাকার কারণে একটি অ্যাপ বন্ধ করে নতুন অ্যাপ চালু করেন অনেকেই। তবে চাইলেই ফোনের স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধা কাজে লাগিয়ে একই পর্দায় আলাদাভাবে দুটি অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
স্প্লিট স্ক্রিন সুবিধায় মূলত ফোনের পর্দা দুই বা তার বেশি ভাগে বিভক্ত করে কাজ করা যায়। পর্দার আকারগুলো চাইলে ইচ্ছেমতো ছোট বা বড় করার সুযোগ থাকায় সহজেই কাজ করা সম্ভব। এ সুবিধা চালুর জন্য যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করবেন, তা চালু করতে হবে। এরপর রিসেন্ট অ্যাপ দেখার জন্য স্মার্টফোনের নিচে থাকা তিনটি ডট বা চারকোনা বক্সে ক্লিক করলেই সম্প্রতি চালু হওয়া অ্যাপগুলো দেখা যাবে। রিসেন্ট অ্যাপ দেখা অবস্থায় প্রথম অ্যাপটির আইকনের অংশে ট্যাপ করে ওপেন ইট স্প্লিট স্ক্রিন ভিউ নির্বাচন করলেই অ্যাপটি পর্দার অর্ধেক অংশজুড়ে চালু হবে। এবার নিচে থাকা অ্যাপ তালিকা থেকে অন্য অ্যাপ নির্বাচন করলে সেটিও পর্দায় দেখা যাবে। অর্থাৎ দুটি অ্যাপই আলাদাভাবে পর্দায় দেখা যাবে। পর্দা স্প্লিট অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যেকোনো অ্যাপ নিচের থেকে সোয়াইপ করতে হবে।
Source: প্রথম আলো
যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তায় লেখা জমা নেওয়া বন্ধ করল মার্কিন ম্যাগাজিন ক্লার্কসওয়ার্ল্ড
***********************************************************************
গত বছরের নভেম্বরে বাজারে আসা ওপেন এআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি যেকোনো বার্তার উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে দিতে পারে। নিজ থেকে বার্তা, গল্প, নিবন্ধ বা কবিতাও লিখে থাকে। নির্ভুল শব্দচয়ন এবং ভাষা ব্যবহার করায় চ্যাটজিপিটির লেখা মানুষের মতোই হয়ে থাকে। ফলে এরই মধ্যে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে লেখার প্রবণতা বেড়েছে। এআই প্রযুক্তিতে লেখার সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে নিজেদের সাময়িকীর জন্য লেখকদের কাছ থেকে লেখা জমা নেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে জনপ্রিয় মার্কিন ম্যাগাজিন ক্লার্কসওয়ার্ল্ড।
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ও ফ্যান্টাসিনির্ভর সাময়িকীটির সম্পাদক নিল ক্লার্ক এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন লেখকের জমা দেওয়া গল্পগুলোর মধ্যে ৫০০টির বেশি লেখায় চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এআই প্রযুক্তিতে লেখার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেখা জমা নেওয়ার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্লার্কসওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে যেকোনো ব্যক্তি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ও ফ্যান্টাসিনির্ভর ছোটগল্প জমা দিতে পারেন। লেখা প্রকাশের পর শব্দপ্রতি ১২ সেন্ট হিসেবে লেখকদের সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ ডলার পর্যন্ত সম্মানী দিয়ে থাকে ম্যাগাজিনটি। ফলে লেখকদের আয়ের পরিমাণ বেশ ভালোই হয়। কিন্তু চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে এই প্রযুক্তিতে লেখা জমা দিতে থাকেন অনেক নতুন লেখক।
ক্লার্কের তথ্যমতে, আগেও এআই প্রযুক্তির সাহায্যে লিখিত কিছু গল্প জমা হতো ক্লার্কসওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনে। ২০২২ সালে এআই প্রযুক্তিতে লেখা জমা বা অন্যের লেখা নকলের অভিযোগে গড়ে প্রতি মাসে ১০ জন লেখককে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর এ বছরের জানুয়ারি মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০। আর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২০ দিনেই এ সংখ্যা ৫০০ অতিক্রম করেছে।
ক্লার্ক জানিয়েছেন, আমরা পত্রিকা বন্ধ করছি না। জমা নেওয়া বন্ধ করার অর্থ হলো, আমরা এই সময়ে লেখকদের গল্প বিবেচনা করছি না। আমরা আবার লেখা জমা নেব, তবে তারিখ নির্ধারণ করিনি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
Source: প্রথম আলো
চ্যাটজিপিটিকে নিজের মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন ব্যবহারকারী
***********************************************************************
ব্যবহারকারী চাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে (কাস্টমাইজ) পারবেন। চ্যাটবটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষপাত–সম্পর্কিত উদ্বেগ সমাধানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি এর হালনাগাদ করছে। ফলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী নিজের মতো একে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক স্টার্টআপ ওপেনএআই মাইক্রোসফটের বিনিয়োগে সর্বশেষ এই প্রযুক্তি বাজারে আনে। ওপেনএআই বলেছে, তারা চ্যাটবটটির রাজনৈতিক ও অন্যান্য পক্ষপাতমূলক আচরণ কমাতে কাজ করেছে। তবে চ্যাটবটটিতে আরও বৈচিত্র্য আনতে চায় ওপেনএআই।
কাস্টমাইজেশনকে (নিজের চাহিদা অনুযায়ী সাজিয়ে বা বানিয়ে নেওয়া) সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ উল্লেখ করে এক ব্লগ বার্তায় ওপেনএআই বলে, এর অর্থ হলো এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা, যেখানে অন্য মানুষ (আমরা নিজেরাসহ) দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করতে পারবে। তারপরও এই ব্যবস্থায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে।
গত বছরের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হয়। প্রযুক্তি–দুনিয়ায় এই চ্যাটবট ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দেয়। এখন চ্যাটবটটির হালনাগাদের খবর এমন সময় এল, যখন কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ওপেনএআই পরিচালিত মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিংয়ের উত্তর ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক’ এবং এই সময়ের জন্য প্রযুক্তিটি হয়তো প্রস্তুত নয়।
আবার মাইক্রোসফট বলেছে, ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া বড় পরিসরে চালু করার আগে বিংয়ের উন্নয়নে সাহায্য করেছে। উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই চ্যাটবটটিকে উত্তর দেওয়ার জন্য ‘উসকানি’ দেওয়া যায়। যদিও এমনটি করতে এটি তৈরি করা হয়নি।
এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআই বলেছে, ইন্টারনেটে থাকা বড় লিখিত তথ্যভান্ডার থেকে তথ্য নিয়ে যাতে চ্যাটজিপিটি উত্তর দিতে পারে, প্রথমে প্রোগ্রামটিকে সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে, মানুষ একটি ছোট পরিমাণ তথ্য যাচাই করে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তার নির্দেশ দেয়। যেমন কোনো ব্যবহারকারী প্রাপ্তবয়স্ক, সহিংস বা ঘৃণামূলক বক্তব্য আছে, এমন কনটেন্ট চাইলে যিনি যাচাইকারী থাকবেন, তার উচিত চ্যাটজিপিটিকে নির্দেশ দেওয়া যেন সে বলে, ‘আমি এর উত্তর দিতে পারব না।’
আর বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, যাচাইকারী চ্যাটজিপিটিকে উত্তর দিয়ে দেবে।
সূত্র: এনডিটিভি
Source: প্রথম আলো
অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
***********************************************************************
ফ্লোরে বসে আছেন ভারতের জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা বিশাল রেড্ডি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হঠাৎই ফ্লোরের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ল একটি ট্রাক। শেষ মুহূর্তে সরে গিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচালেন বিশাল রেড্ডি। না, এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়, বরং সিনেমার শুটিং সেটে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বর্ণনা। দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন অভিনেতা বিশাল রেড্ডি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দুর্ঘটনার ভিডিও ঘুরছে। ভিডিওতে দেখা যায় শুটিং সেটে শট দিচ্ছেন বিশাল। চারদিকে শুটিং ইউনিটের শতাধিক লোক দাঁড়িয়ে। এমন সময় একটি ট্রাক ঢুকে পড়ে সেটে। সবাই এদিক-ওদিক সরে গেলেও বিশাল বসে আছেন সেটে। পেছন থেকে ট্রাক আসায় তিনি দেখতে পাননি। ট্রাকটি তাঁর কাছে চলে এলে একজন ব্যক্তি দ্রুত টেনে সরিয়ে নেন অভিনেতাকে।
এই ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেন অভিনেতা নিজেই। জানান সেই সময়ের অনুভূতি। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক সেকেন্ড ও কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে মৃত্যুকে দেখলাম। সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে চেন্নাইয়ের একটি ফিল্ম সিটিতে। কিছুদিন আগেও ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার শুটিং সেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়েছিল গাড়ি। এতে আহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী পল্লবী যোশী।
বিশাল রেড্ডি এখন ‘মার্ক অ্যান্টোনি’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। এই সিনেমার শুটিং সেটেই এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশাল। এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি, টুইট করে জানিয়েছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা। অধিক রবিচন্দ্রন পরিচালিত এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন এসজে সুরিয়া, সুনীল, ঋতু ভার্মা প্রমুখ। শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পেতে প্রস্তুত।
Source: প্রথম আলো
কিয়ারা, স্বরার পর বিয়ে করলেন আরেক বলিউড অভিনেত্রী
***********************************************************************
বলিউডে যেন চলছে বিয়ের মৌসুম। চলতি মাসের ৭ তারিখ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। এরপর বিয়ের কথা প্রকাশ করেন স্বরা ভাস্কর। এবার জানা গেল বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ মানবী গারগু ও কুমার বরুণের বিয়ের খবর। গত মাসেই বাগদান সারেন দুজন। আজই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা।
বিয়ের ছবি প্রকাশ করে বরুণ ও মানবী ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আজ আমাদের যৌথ জীবনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। আমাদের এই যাত্রায় সবার আশীর্বাদ কামনা করি।’ তাঁদের পোস্টের নিচে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন বলিউড সহকর্মী ও ভক্তরা। অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মা লিখেছেন, ‘দুজনকেই অভিনন্দন’। মৌনি রায় লিখেছেন, ‘সামনের যাত্রা দুজনের জন্যই সবচেয়ে সুখের হোক।’
গত মাসেই নিজের বাগদানের কথা প্রকাশ করেন মানবী। তবে কার সঙ্গে তাঁর বাগদান হয়েছে, সেটা অবশ্য তখন জানাননি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে অভিনেত্রী জানান, কুমার বরুণের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই দিলেন বিয়ের ঘোষণা।
কুমার বরুণ এআইবির হয়ে কমেডির জন্য পরিচিত। এ ছাড়া তাঁকে দেখা গেছে প্রাইম ভিডিওর একটি ওয়েব সিরিজেও। অভিনয় ছাড়া উপস্থাপনাও করেন বরুণ।
অন্যদিকে ‘পিচার্স’, ‘ট্রিপলিং’, ‘ফোর মোর শটস প্লিজ’-এর মতো সিরিজের জন্য জনপ্রিয় মানবী গারগু। সিরিজ ছাড়াও তাঁকে দেখা গেছে ‘উড়জা চামন’, ‘শুভ মঙ্গল জায়দা সাবধান’-এর মতো সিনেমায়।
Source: প্রথম আলো
কানাডায় দুর্ঘটনা: চলমান তদন্ত নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ কুমার বিশ্বজিতের পরিবারের
***********************************************************************
সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র সন্তান নিবিড় কুমার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কানাডায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সন্তানের দুর্ঘটনার খবর শুনে স্ত্রী নাঈমা সুলতানাকে নিয়ে দ্রুত কানাডার উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি। একই দুর্ঘটনায় নিহত হন নিবিড় কুমারের তিন বন্ধু শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ ও আরিয়ান দীপ্ত।
এদিকে সন্তানকে নিয়ে যখন কুমার বিশ্বজিতের পরিবার সংকটকাল পার করছে, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটে—নিবিড়ের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না। তাঁর কোনো লাইসেন্স ছিল না। কেউ কেউ অভিযোগের তির কুমার বিশ্বজিতের দিকেও তাক করেন। কোমায় থাকা নিবিড়কে নিয়ে এ ধরনের আলোচনা কুমার বিশ্বজিতের পরিবার পর্যন্ত পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নিবিড়ের চাচা অভিজিৎ দে। তিনি জানিয়েছেন, নিবিড়ের গাড়ির চালানোর লাইসেন্স ছিল এবং সেটার মেয়াদও ছিল।
নিবিড় কুমারের বিষয়ে তাঁর চাচা অভিজিৎ দে একটি ফেসবুক পোস্টও দিয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বললেন, ‘জীবনের এই ভয়ংকর মুহূর্ত পার করছি। এই সময়টায় আমাদের পরিবারের সাথে কী ঘটছে, তা নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। আমাদের নিবিড় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে তার জীবনের জন্য লড়াই করছে। আমরা নিবিড়ের তিনজন সেরা বন্ধুকে হারিয়েছি। ওরা আমারও ভীষণ আদরের ছিল। তাদের হারিয়ে এবং নিবিড়কে এভাবে হাসপাতালের বিছানায় দেখে এই সময়টায় আমাদের সব পরিবারই ভীষণ কষ্টের সময় পার করছি। এরই মধ্যে নিবিড়ের বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে, যা আমাদের হতবাক করেছে। আমরা শুনেছি, তার দুর্ঘটনার পরই ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নিবন্ধন এবং গাড়ির বিমার বিষয় নিয়ে কেউ কেউ কথা বলছে। বুধবার আমরা অন্টারিও প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা মার্কের সঙ্গে একটি মিটিং করেছি—তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, নিবিড়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স, নিবন্ধন এবং বিমা বৈধ।’
সবার উদ্দেশে অভিজিৎ দে বলেন, ‘যেখানে অন্টারিও প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা এমন কথা বলেছেন আমাদের, সেখানে আপনারা সবাই কেন চলমান তদন্তে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছেন। যাঁরা ইতিমধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন, তাঁদের সকলের জানা উচিত যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কাউকে রাস্তায় চলতে দেওয়া যাবে না। সবাইকে অনুরোধ করছি, অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশের তদন্তে চূড়ান্ত কোনো রায় না জেনে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াবেন না। এই ভয়ংকর মুহূর্তে আমাদের পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি।’
কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার। পড়াশোনার জন্য তিনি থাকেন কানাডায়। সেখানেই তিনি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছেন গুরুতর আহত। ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় নিবিড় চালকের আসনে ছিলেন। অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ (ওপিপি) জানায়, টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর ডানডাস স্ট্রিট ওয়েস্টে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন আরোহী ছিলেন।
Source: প্রথম আলো
সেরের উপর সোয়া সের
***********************************************************************
‘চারিদিকে হেরফের, সেরের উপর সোয়া সের’—অরিজিনাল সিরিজ ‘ওভারট্রাম্প’-এর পোস্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে লিখেছে চরকি। সিরিজটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক বাশার জর্জিস। অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরীসহ একঝাঁক তারকা শিল্পী।
সিরিজটি নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘সিরিজের গল্পটা কোভিডের সময়ে লেখা। এই সময়ে সবাই থ্রিলার, রোমান্স করছে, কিন্তু কেউ ডার্ক কমেডি করছে না। যা কমেডি হয়েছে, সেটা ভিন্নমাত্রার, যেটা টিভিতে দেখা যায়। তবে ওটিটির জন্য তো একটু ভিন্ন ধরনের ডার্ক হওয়া উচিত। ওই জায়গা থেকে “ওভারট্রাম্প”-এর কাজের প্রতি আগ্রহ হয়।’
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চরকি জানিয়েছে, এই সিরিজের প্রত্যেক চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন একটা গল্প আছে, রং আছে, ধরন আছে। চঞ্চল চৌধুরীকে ‘পেট কাটা ষ’-এর মিষ্টি দোকানি কিংবা ‘দুই দিনের দুনিয়া’র ট্রাক ডাইভার চরিত্রে চরকির পর্দায় পাওয়া গেছে। এবার একদম ভিন্ন লুকে ও ভিন্ন পটে হাজির হবেন তিনি।
চঞ্চল বলেন, ‘আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনা, বিশেষ করে আমাদের নগরজীবনে ঘটছে অহরহ। এ গল্পে যেমন অন্ধকার দিকের কথা আছে, তেমন কিছু শিক্ষণীয় দিকও আছে। এ সিরিজে আমার চরিত্রে এক চমক থাকবে, আপাতত এইটুকুই বলতে চাই।’
পরিচালক ও সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে চঞ্চল বলেন, ‘আমি পুরোনো মানুষ। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ২০-২৫ বছর কাজ করছি। পরিচালক বাশার আমার প্রায় ২০ বছরের পুরোনো বন্ধু। তবে তার পরিচালনায় এই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। সেই সাথে যাদের সঙ্গে এই সিরিজে অভিনয় করেছি, তাদের সঙ্গেও বেশ সুসম্পর্ক আগে থেকেই। সব মিলিয়ে কাজটাও বেশ ভালো হয়েছে।’
৬ পর্বের এই সিরিজের মধ্য দিয়ে চরকিতে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হবেন এফ এস নাঈম, আশনা হাবিব ভাবনা ও সামিরা খান মাহি।
ভাবনা বলেন, ‘সিরিজে আমার চরিত্রের নাম রমা। রমার সঙ্গে ভাবনার কোনো মিল নেই। আগের কাজ থেকে এই চরিত্র সম্পন্ন ভিন্ন। আমি নিজেও প্রতিটি কাজে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই। আমি খুব চিন্তায় ছিলাম যে রমা চরিত্রটা কীভাবে ডিজাইন করব। আমি চেষ্টা করেছি, বাকিটা দর্শকদের ওপর।’
এফ এস নাইম বলেন, ‘জর্জিস ভাই ও পুরো টিমের সবাই দারুণ ছিল। আমি ওই চরিত্রে এক মাস থেকেছি। আশা করি, আমার চরিত্র সবাই পছন্দ করবেন।’
এই সিরিজের বেশ কিছু মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মোস্তফা মন্ওয়ার, শরীফ সিরাজ, মীর নওফেল আশরাফী জিসানসহ অনেককেই।
সিরিজটি এ বছর মুক্তি পাবে। চলতি বছরের শুরুতে চরকির সিরিজ ‘গুটি’ ও সিনেমা ‘উনিশ২০’ আলোচিত হয়েছে। এ বছর আসবে আফরান নিশোর প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’, ‘সিন্ডিকেট’-এর স্পিন অফ সিরিজ ‘মাই অ্যালেনশেলফ স্বপন’ ও গৌতম কৈরি নির্মিত সিনেমা ‘আন্তঃনগর’।
Source: প্রথম আলো