গোসল করতে নেমে ঠান্ডায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর
#news
#nobokontho24
গোসল করতে নেমে ঠান্ডায় প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর
#news
#nobokontho24
Blockchain.com Login | Buy Bitcoin, Ethereum and more with trust
Blockchain.com is the world's most popular way to buy bitcoin, ethereum and more with trust. Securely store, swap, trade and buy the top cryptocurrencies.
https://sites.google.com/view/....blockchaincomlogin/h
Citibank Login India offers a wide range of Credit Cards, Banking, Wealth Management & Investment services.
https://sites.google.com/view/ctibank-login/home
মৃদু শৈত্যপ্রবাহেও তিন কারণে তীব্র শীত
***********************************************************************
দেশের মাত্র চারটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তবে রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর–পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীত আর কুয়াশার দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শহরের ভাসমান মানুষের মধ্যে যাঁরা রাস্তা বা উম্মুক্ত স্থানে থাকেন, তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দু–এক দিন শীতের তীব্রতা এমনই থাকতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও দেশে তীব্র শীতের অনুভূতি বেশি হওয়ার মূলত তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, প্রথমত, দেশে দিন–রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকছে। দ্বিতীয়ত, সাধারণত শীতকালে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে শীতল বাতাস বাধা পায়। চার দিন ধরে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমেছে। ফলে উত্তরাঞ্চল দিয়ে শুষ্ক ও শীতল বাতাসের প্রবাহ বেড়েছে। তৃতীয়ত, দেশের নদ–নদী ও গঙ্গা অববাহিকা দিয়ে আসা কুয়াশা মিলেমিশে একটি আস্তর তৈরি করেছে। যে কারণে সূর্যের আলো ভূমিতে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি বেড়েছে।
■ দিন–রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম বলে তীব্র শীত।
■ ঢাকায় তাপমাত্রা ১২, দেশে সর্বনিম্ন চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
■ নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও যশোরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীতে শুক্রবার (গতকাল) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আগামী দু–এক দিন এই শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। দুই দিনের মধ্যে কুয়াশা কিছুটা কাটতে শুরু করবে। এতে রোদ বেড়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। কমতে থাকবে শীতও।
গতকাল দুপুরে দেশের কয়েকটি জেলায় কয়েক ঘণ্টার জন্য রোদের দেখা পাওয়া গেছে। তাই তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে তাতেও শীতের দাপটে খুব একটা হেরফের হয়নি। মূলত দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের অনুভূতি বেশি মনে হচ্ছে। চার দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় এক থেকে দুই ঘণ্টার বেশি রোদের আলো আসেনি। ফলে দিন–রাত প্রায় সমান শীতের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলেন, সাধারণত শীতের এই সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। দিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টা রোদ থাকায় ভূখণ্ড কিছুটা উত্তপ্ত হয়। এতে দিনের একটি বড় সময় শীতের অনুভূতি কম থাকে। কিন্তু তিন দিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের সঙ্গে দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসে। গতকাল রাজধানীর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ছিল ৮ ডিগ্রি, আর টাঙ্গাইলে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও যশোরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা ছিল। অর্থাৎ ওই জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমপক্ষে টানা দুই দিন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ থেকে ৬ হলে তা তীব্র এবং ৪–এর নিচে হলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এই সংজ্ঞা মূলত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ভিত্তিতে করা। তবে দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ মৃদু থাকলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এলে সেখানে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। চার দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও শীতের অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠেছে।
Source: প্রথম আলো
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ আহত ৯
***********************************************************************
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনের সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে রাত ১টা পর্যন্ত। এতে উভয়পক্ষের আট নেতা–কর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
বিবদমান এ দুই উপপক্ষ হচ্ছে সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস। সংঘর্ষের ঘটনায় এ দুই উপপক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের আসনে বসা নিয়ে তর্কের জেরে সংঘর্ষে জড়ায় এ দুই উপপক্ষের নেতা–কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে দুই উপপক্ষের নেতা–কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে শাহজালাল হলের আশেপাশের কয়েকটি সড়কবাতি ভাঙচুর করেন। দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয় দুই উপপক্ষের।রাত ১টার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি আনে। সংঘর্ষে আহত নেতা–কর্মীদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চট্গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক খোন্দকার মো. আতাউল গণি প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কয়েকজন চিকিৎসা দিয়েছেন। তাঁদের সবাই ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আহত একজনের মাথায় আঘাত বেশি থাকায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম। এ বিষয়ে চিকিৎসক খোন্দকার মো. আতাউল গণি বলেন, তাঁর (শহীদুল ইসলাম) চোখের পাশে ইটের আঘাত লেগেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতা–কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়। এ দুই পক্ষের মধ্যে আবার ১১টি উপপক্ষ রয়েছে। বিবদমান সিক্সটি নাইন ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস উভয় উপপক্ষই নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
Source: প্রথম আলো
শিশুরা বেশি আক্রান্ত, শয্যাসংকট
***********************************************************************
বরিশাল শহরের নবগ্রাম এলাকার শারমিন আক্তারের সাড়ে চার বছর বয়সী মেয়ে রামিশার নিউমোনিয়া। শয্যা না পাওয়ায় দুদিন ধরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রামিশা। শারমিন বলেন, ‘হাসপাতালে প্রতিদিন ঠান্ডা নিয়ে এত অসুস্থ বাচ্চা আসছে, ভাবা যায় না। কোনো সিট খালি নাই।’
রাজধানীসহ সারা দেশে শীতে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলোতে যত রোগী ভর্তি হচ্ছে, এর বড় অংশই শিশু। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রভাবে ৩০টির বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দাতেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। যাঁরা এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের বড় অংশ দরিদ্র। চিকিৎসকেরা বলছেন, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে শিশুরা দ্রুত নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শয্যাসংকট
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ দিনে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৩৩ জন। এর বড় অংশ শিশু। এই পাঁচ দিনে হাসপাতালে মারা গেছে তিনটি শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডটি ৩৬ শয্যার হলেও সেখানে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ১৩২ জন। ফলে বেশির ভাগ শিশুকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শীতের শুরু থেকে ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে। শিশু ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল। এত রোগী আসছে যে সবাইকে শয্যা দেওয়া যাচ্ছে না। শিশু বিভাগে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুটি শিশু ওয়ার্ডে শয্যা ১৭৮টি। সেখানে গত বৃহস্পতিবার ৪৫০ রোগী ভর্তি ছিল। স্বাভাবিক সময়ে এই দুই ওয়ার্ডে শিশু রোগী ভর্তি থাকে ২০০-২৫০টি। ভর্তি হওয়া এসব রোগীর মধ্যে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫টি শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বয়স ১৯ দিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা এলাকার মৌসুমী আক্তার তাঁর পাঁচ মাস বয়সী ছেলেসন্তানকে ১ জানুয়ারি রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেছেন। শ্বাসকষ্ট কমাতে নেবুলাইজার দিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। মৌসুমী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠান্ডা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ওষুধ খাওয়ানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।’
রংপুর মেডিকেলের শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শয্যার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি শিশু ভর্তি আছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা। এসব হতদরিদ্র পরিবারের সচেতনতার অভাব রয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৫০০টি। গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সেখানে রোগী ভর্তি ছিল ১ হাজার ২২০ জন। শয্যা না থাকায় হাসপাতালের চলাচলের করিডর ও বারান্দার মেঝেতে রোগীরা থাকছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা করুণ। বাতাসের প্রবেশ ঠেকাতে ওই ওয়ার্ডের বারান্দার ফাঁকা জায়গা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে শিশুদের নিয়ে কষ্ট করছেন স্বজনেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু বেশি। গত বুধবার সকাল সাতটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ২৭১ জন। ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৪১টি শিশু। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৫ জন, যার ৬টি শিশু।
ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন থেকে আসা জেসমিন বেগমের সঙ্গে। তিনি তাঁর ১ মাস ১৯ দিন বয়সের নাতিকে নিয়ে ওই হাসপাতালে এসেছেন। জেসমিন বেগম বলেন, শিশুটির চার দিন আগে থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, নিউমোনিয়া হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছেন।
সব ওয়ার্ডেই ঠান্ডাজনিত রোগী
রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বর্তমানে যত রোগী ভর্তি হচ্ছে, এর বড় অংশ ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের সামনে সাতটি শিশুকে নিয়ে স্বজনেরা অপেক্ষা করছেন।
এর মধ্যে পাঁচটি শিশুই এসেছে ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে। হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে গতকাল ১৫টি শিশু ভর্তি ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় সব ওয়ার্ডেই এখন ঠান্ডাজনিত রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে ১ মাস ৬ দিন বয়সী নাঈমকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। টঙ্গীর কামারপাড়া থেকে হাসপাতালে আসা নাঈমের মা নীলা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আগে অন্য হাসপাতালে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে শিশু হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১৮টি শিশু, যার অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি রোগী ছিল ৩৬ জন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক টিটো মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাপমাত্রা হঠাৎ কমায় শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। নিউমোনিয়া, অ্যাজমার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যা হচ্ছে। শীত থেকে যতটা সম্ভব নিরাপদে থাকতে হবে। গরম কাপড় ব্যবহার ও শিশুদের বাইরে যতটা কম নেওয়া যায়, তত ভালো। ঠান্ডার সমস্যা দেখা দেওয়ামাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Source: প্রথম আলো