Linkeei Linkeei
    #ai #best #tructiepbongda #bongdatructuyen #software
    Advanced Search
  • Login
  • Create a new account or Register

  • Night mode
  • © 2025 Linkeei
    About • Directory • Contact Us • Developers • Privacy Policy • Terms of Use • Refund • Linkeei App install

    Select Language

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Watch

Watch Reels Movies

Events

Browse Events My events

Blog

Browse articles

Market

Latest Products

Pages

My Pages Liked Pages

More

Forum Explore Popular Posts Games Jobs Offers
Reels Watch Events Market Blog My Pages See all

Discover posts

Posts

Users

Pages

Group

Blog

Market

Events

Games

Forum

Movies

Jobs

Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha  
29 w

"সেদিন ছিল আমাদের বিবাহিত জীবনের এক কালো অধ্যায়। প্রথমবার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছিলাম। সে শুধু চুপচাপ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। ঠোঁটের কোণে রক্তের বিন্দু জমে উঠেছিল—কিন্তু একটাও শব্দ করেনি। চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল, অথচ কোনো প্রতিবাদ করেনি।

আমি কি গলে গিয়েছিলাম? না, বরং আরও কঠোর হয়ে উঠেছিলাম।
তারপর থেকে দেখি—ঘরের সব কাজ নিখুঁতভাবে করে, কোনো প্রশ্ন নেই, কোনো জবাব নেই। মনে মনে ভাবলাম, হ্যাঁ! নারীদের মাথায় তুলে রাখলে তারা বিগড়ে যায়, পায়ের নিচে রাখতে হয়। তাই সামান্য কারণ পেলেই তাকে শাস্তি দিতাম।
সময় গড়াল।

স্ত্রী যেন ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে গেল—
চঞ্চলতা হারাল, হাসি ভুলে গেল, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না, কোনো আবেগ প্রকাশ করে না। সবকিছু নিঃশব্দে করে ফেলে।
একসময় মনে হলো, যেন একটা রোবট নিয়ে বাস করছি।
এক রাতে ঘুম ভেঙে দেখি, পাশে নেই সে।

ভাবলাম হয়তো ওয়াশরুমে গেছে। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও না ফেরায় উঠলাম খুঁজতে। দেখি, বারান্দায় জায়নামাজ বিছানো। রাত ৩:২৫ বাজে—তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়ানো সে।
আড়াল থেকে দেখি, সেজদায় পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে…
এই কান্না ছিল অন্যরকম। বুক চিরে ঢুকে যায়। এমন কান্না আগে কখনো ছুঁয়ে যায়নি আমাকে।
ঘরে ফিরে আসলাম—মন অস্থির। মাথায় শুধু ঘুরছে,

আল্লাহর দরবারে কী চাইছে সে এত কান্না নিয়ে?
পরদিন সন্ধ্যায় দেখি বারান্দায় বসে আকাশের দিকে চেয়ে আছে।
আমি গিয়ে চুপচাপ পাশে বসলাম।
আমাকে দেখে উঠে যেতে চাইলে বললাম,
— “যেও না… একটু বসো।”

সে কিছু না বলে বাধ্য ছায়ার মতো বসে পড়ল আমার পাশে।
আমি নরম গলায় বললাম,
— “তোমার কি আমার প্রতি কোনো অভিযোগ আছে?”
সে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
— “মানুষের কাছে এখন আর কোনো অভিযোগ করি না। সব অভিযোগ এখন আল্লাহর কাছে। তিনি চাইলে ঠিক করবেন, আর না চাইলে বদলে দিবেন।”

আমি কাঁপা কণ্ঠে বললাম,
— “কাল রাতে নামাজে এমন কী চাইছিলে যে এত কাঁদছিলে?”
সে তাকিয়ে বলল,
— “এক সময় ছিল, যখন আল্লাহর কাছে তোমাকে নিয়ে সুন্দর একটা সংসার গড়ার জন্য কাঁদতাম…
আর এখন ঠিক তেমন করেই কাঁদি—তোমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।”
তার এই কথাগুলো যেন কলিজা ছিঁড়ে দিল আমার।
এই পৃথিবীতে এমন বেদনাদায়ক কথা আমি আর শুনিনি।

তখনই বুঝে গেলাম—
নারীকে কখনোই কঠোরভাবে আয়ত্তে আনা যায় না।
ভালোবাসা আর সম্মানই পারে একজন নারীকে সবচেয়ে বেশি আপন করে তুলতে।

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

"সেদিন ছিল আমাদের বিবাহিত জীবনের এক কালো অধ্যায়। প্রথমবার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছিলাম। সে শুধু চুপচাপ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। ঠোঁটের কোণে রক্তের বিন্দু জমে উঠেছিল—কিন্তু একটাও শব্দ করেনি। চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল, অথচ কোনো প্রতিবাদ করেনি।

আমি কি গলে গিয়েছিলাম? না, বরং আরও কঠোর হয়ে উঠেছিলাম।
তারপর থেকে দেখি—ঘরের সব কাজ নিখুঁতভাবে করে, কোনো প্রশ্ন নেই, কোনো জবাব নেই। মনে মনে ভাবলাম, হ্যাঁ! নারীদের মাথায় তুলে রাখলে তারা বিগড়ে যায়, পায়ের নিচে রাখতে হয়। তাই সামান্য কারণ পেলেই তাকে শাস্তি দিতাম।
সময় গড়াল।

স্ত্রী যেন ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে গেল—
চঞ্চলতা হারাল, হাসি ভুলে গেল, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না, কোনো আবেগ প্রকাশ করে না। সবকিছু নিঃশব্দে করে ফেলে।
একসময় মনে হলো, যেন একটা রোবট নিয়ে বাস করছি।
এক রাতে ঘুম ভেঙে দেখি, পাশে নেই সে।

ভাবলাম হয়তো ওয়াশরুমে গেছে। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও না ফেরায় উঠলাম খুঁজতে। দেখি, বারান্দায় জায়নামাজ বিছানো। রাত ৩:২৫ বাজে—তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়ানো সে।
আড়াল থেকে দেখি, সেজদায় পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে…
এই কান্না ছিল অন্যরকম। বুক চিরে ঢুকে যায়। এমন কান্না আগে কখনো ছুঁয়ে যায়নি আমাকে।
ঘরে ফিরে আসলাম—মন অস্থির। মাথায় শুধু ঘুরছে,

আল্লাহর দরবারে কী চাইছে সে এত কান্না নিয়ে?
পরদিন সন্ধ্যায় দেখি বারান্দায় বসে আকাশের দিকে চেয়ে আছে।
আমি গিয়ে চুপচাপ পাশে বসলাম।
আমাকে দেখে উঠে যেতে চাইলে বললাম,
— “যেও না… একটু বসো।”

সে কিছু না বলে বাধ্য ছায়ার মতো বসে পড়ল আমার পাশে।
আমি নরম গলায় বললাম,
— “তোমার কি আমার প্রতি কোনো অভিযোগ আছে?”
সে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
— “মানুষের কাছে এখন আর কোনো অভিযোগ করি না। সব অভিযোগ এখন আল্লাহর কাছে। তিনি চাইলে ঠিক করবেন, আর না চাইলে বদলে দিবেন।”

আমি কাঁপা কণ্ঠে বললাম,
— “কাল রাতে নামাজে এমন কী চাইছিলে যে এত কাঁদছিলে?”
সে তাকিয়ে বলল,
— “এক সময় ছিল, যখন আল্লাহর কাছে তোমাকে নিয়ে সুন্দর একটা সংসার গড়ার জন্য কাঁদতাম…
আর এখন ঠিক তেমন করেই কাঁদি—তোমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।”
তার এই কথাগুলো যেন কলিজা ছিঁড়ে দিল আমার।
এই পৃথিবীতে এমন বেদনাদায়ক কথা আমি আর শুনিনি।

তখনই বুঝে গেলাম—
নারীকে কখনোই কঠোরভাবে আয়ত্তে আনা যায় না।
ভালোবাসা আর সম্মানই পারে একজন নারীকে সবচেয়ে বেশি আপন করে তুলতে।

image
Like
Comment
Share
Lookout Australia
Lookout Australia  changed his profile picture
29 w

image
Like
Comment
Share
Lookout Australia
Lookout Australia  changed his profile picture
29 w

image
Like
Comment
Share
Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha  
29 w

♦️সার্বিয়ার এক সুন্দরী তরুণী, নাম মারিয়া আব্রামোভিচ, ১৯৭৪ সালে এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল পৃথিবীকে, একটি এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে। ওই এক্সপেরিমেন্টের নাম ছিল রিদম জিরো। লোকজনে ভর্তি একটি রুমের ভেতর মারিয়া স্ট্যাচুর মতোন দাঁড়িয়ে ছিল। সামনে টেবিলে রাখা অপ্রাসঙ্গিক, অগুরুত্বপূর্ণ, একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন বাহাত্তরটি জিনিস। লিপস্টিক, কেক, ছুরি, কাঁচি, গোলাপ, পিস্তল সহ আরো অনেক কিছু। বলা হয়েছিল, রাত আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে মারিয়ার সঙ্গে। অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর ছিল মারিয়ার। প্রথম আড়াই ঘণ্টা মারিয়াকে ফুল দিয়েছিল মানুষ। চুল আঁচড়ে দিয়েছিল, ভালোবেসেছিল।

♦️সময় যতই গড়াল, লোকজন ততই হিংস্র হয়ে উঠল। শেষ দুই ঘণ্টায় মারিয়াকে থাপ্পড় মারা হয়, পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে নগ্ন করে ফেলা হয়, ছুরি দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়, এমনকি শেষদিকে একজন পিস্তল নিয়ে মারিয়ার গলা চেপে ধরে ট্রিগার টানতে যাচ্ছিল প্রায়!

♦️মারিয়া কি ওদের কোনো ক্ষতি করেছিল? ওদের কারোর জায়গা জমি নিজের বলে দাবি করেছিল? ওদের কাউকে মারধর করেছিল? কারো সাথে প্রতারণা করেছিল? সে তো কাউকে চিনতও না। কিন্তু ওরা মারিয়াকে থাপ্পড় মেরেছিল, গায়ে থুথু ছিটিয়েছিল, পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিল, একের পর এক আঘাতে করেছিল ক্ষতবিক্ষত! এক্সপেরিমেন্ট শেষে মারিয়া যখন হেঁটে চলে যাচ্ছিল, তখন তাকে অপমান করা একটি লোকও চোখের দিকে তাকাতে পারছিল না তার, লজ্জায়।

♦️ ১৯৯৮ সালে জার্মানিতে চৌদ্দজন লোককে স্বেচ্ছায় টাকার বিনিময়ে একটি সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয় যার নাম ছিল দাস এক্সপেরিমেন্ট। এরপর ওই লোকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ওদের কাছে সময় পনের দিন। এই পনের দিন ওদের একভাগ কারাগারের কয়েদি হিসেবে অভিনয় করবে, বাকিরা থাকবে কারাগারের গার্ড। সবার অজান্তে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। শর্ত ছিল, কোনো গার্ড কোনো কয়েদিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবে না। অর্থাৎ কোনরকম ভায়োলেন্স অ্যালাউড না। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ২ দিন পার হওয়ার আগেই গার্ডরা কয়েদিদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। শেষদিকে তো পুরো এক্সপেরিমেন্টেরই বারোটা বেজে যায়।

♦️লক্ষ্য করুন, ওরা জানে ওরা কেউই আসল গার্ড নয়। যারা কারাগারে বন্দি, তারাও সত্যিকারের কয়েদি নয়। ওদের শুধু অভিনয় করতে বলা হয়েছে কয়েকটা দিনের জন্য। অথচ বাহাত্তর ঘন্টা পার হওয়ার আগেই শুধুমাত্র বন্দিদের ওপর নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য ওরা কারাগারের লাইট অফ করে, গ্যাস ছেড়ে, কয়েদিদের জামাকাপড় খুলে উলঙ্গ করে শোয়ার একমাত্র বিছানাটাও বের করে নেয় যাতে কেউ ঘুমাতে না পারে। শুধু তাই নয়, সময় গড়ানোর সাথে সাথে গার্ডের দল কয়েদিদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে, তাদের মুখের ওপর প্রস্রাব করে, এক নারী কয়েদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এমনকি একজনকে মেরে ফেলেছিল প্রায়!

♦️মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করলে আপনি জানতে পারবেন, মানুষ অন্যকে ঘৃণা করে, অপছন্দ করে, হত্যা করে নানা কারণে। ওর বুদ্ধি বেশি, আমার কম কেন? ওর টাকা বেশি, আমার কম কেন? ওর সম্মান বেশি, আমার কম কেন?

♦️রিদম জিরো এবং দাস এক্সপেরিমেন্ট আপনাকে শেখাবে, একটা মানুষের কাউকে ঘৃণা, অপছন্দ বা অত্যাচার করতে আসলে কোনো কারণ লাগে না। একজন মানুষ কোনোরকম কারণ ছাড়াই আরেকজনকে হিংসা করে, ক্ষতি করে, তার বদনাম রটায়, কেননা মানুষের স্বভাবই অমন। মানুষ কোনোদিনই শান্তিকামী ছিল না, নয় এবং থাকবেও না। সে সবসময়ই হিংস্র, লোভী, বর্বর এবং ভণ্ড। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই দুনিয়ায় কি ভালো মানুষ বলে কেউ নেই? হ্যাঁ, আছে হাতেগোনা দুচারজন। বাকিরা সুযোগের অভাবে ভালো।

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
29 w

♦️সার্বিয়ার এক সুন্দরী তরুণী, নাম মারিয়া আব্রামোভিচ, ১৯৭৪ সালে এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল পৃথিবীকে, একটি এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে। ওই এক্সপেরিমেন্টের নাম ছিল রিদম জিরো। লোকজনে ভর্তি একটি রুমের ভেতর মারিয়া স্ট্যাচুর মতোন দাঁড়িয়ে ছিল। সামনে টেবিলে রাখা অপ্রাসঙ্গিক, অগুরুত্বপূর্ণ, একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কহীন বাহাত্তরটি জিনিস। লিপস্টিক, কেক, ছুরি, কাঁচি, গোলাপ, পিস্তল সহ আরো অনেক কিছু। বলা হয়েছিল, রাত আটটা থেকে দুইটা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে মারিয়ার সঙ্গে। অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর ছিল মারিয়ার। প্রথম আড়াই ঘণ্টা মারিয়াকে ফুল দিয়েছিল মানুষ। চুল আঁচড়ে দিয়েছিল, ভালোবেসেছিল।

♦️সময় যতই গড়াল, লোকজন ততই হিংস্র হয়ে উঠল। শেষ দুই ঘণ্টায় মারিয়াকে থাপ্পড় মারা হয়, পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে নগ্ন করে ফেলা হয়, ছুরি দিয়ে শরীরে আঘাত করা হয়, এমনকি শেষদিকে একজন পিস্তল নিয়ে মারিয়ার গলা চেপে ধরে ট্রিগার টানতে যাচ্ছিল প্রায়!

♦️মারিয়া কি ওদের কোনো ক্ষতি করেছিল? ওদের কারোর জায়গা জমি নিজের বলে দাবি করেছিল? ওদের কাউকে মারধর করেছিল? কারো সাথে প্রতারণা করেছিল? সে তো কাউকে চিনতও না। কিন্তু ওরা মারিয়াকে থাপ্পড় মেরেছিল, গায়ে থুথু ছিটিয়েছিল, পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিল, একের পর এক আঘাতে করেছিল ক্ষতবিক্ষত! এক্সপেরিমেন্ট শেষে মারিয়া যখন হেঁটে চলে যাচ্ছিল, তখন তাকে অপমান করা একটি লোকও চোখের দিকে তাকাতে পারছিল না তার, লজ্জায়।

♦️ ১৯৯৮ সালে জার্মানিতে চৌদ্দজন লোককে স্বেচ্ছায় টাকার বিনিময়ে একটি সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয় যার নাম ছিল দাস এক্সপেরিমেন্ট। এরপর ওই লোকগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ওদের কাছে সময় পনের দিন। এই পনের দিন ওদের একভাগ কারাগারের কয়েদি হিসেবে অভিনয় করবে, বাকিরা থাকবে কারাগারের গার্ড। সবার অজান্তে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। শর্ত ছিল, কোনো গার্ড কোনো কয়েদিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবে না। অর্থাৎ কোনরকম ভায়োলেন্স অ্যালাউড না। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ২ দিন পার হওয়ার আগেই গার্ডরা কয়েদিদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। শেষদিকে তো পুরো এক্সপেরিমেন্টেরই বারোটা বেজে যায়।

♦️লক্ষ্য করুন, ওরা জানে ওরা কেউই আসল গার্ড নয়। যারা কারাগারে বন্দি, তারাও সত্যিকারের কয়েদি নয়। ওদের শুধু অভিনয় করতে বলা হয়েছে কয়েকটা দিনের জন্য। অথচ বাহাত্তর ঘন্টা পার হওয়ার আগেই শুধুমাত্র বন্দিদের ওপর নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার জন্য ওরা কারাগারের লাইট অফ করে, গ্যাস ছেড়ে, কয়েদিদের জামাকাপড় খুলে উলঙ্গ করে শোয়ার একমাত্র বিছানাটাও বের করে নেয় যাতে কেউ ঘুমাতে না পারে। শুধু তাই নয়, সময় গড়ানোর সাথে সাথে গার্ডের দল কয়েদিদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন করে, তাদের মুখের ওপর প্রস্রাব করে, এক নারী কয়েদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং এমনকি একজনকে মেরে ফেলেছিল প্রায়!

♦️মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করলে আপনি জানতে পারবেন, মানুষ অন্যকে ঘৃণা করে, অপছন্দ করে, হত্যা করে নানা কারণে। ওর বুদ্ধি বেশি, আমার কম কেন? ওর টাকা বেশি, আমার কম কেন? ওর সম্মান বেশি, আমার কম কেন?

♦️রিদম জিরো এবং দাস এক্সপেরিমেন্ট আপনাকে শেখাবে, একটা মানুষের কাউকে ঘৃণা, অপছন্দ বা অত্যাচার করতে আসলে কোনো কারণ লাগে না। একজন মানুষ কোনোরকম কারণ ছাড়াই আরেকজনকে হিংসা করে, ক্ষতি করে, তার বদনাম রটায়, কেননা মানুষের স্বভাবই অমন। মানুষ কোনোদিনই শান্তিকামী ছিল না, নয় এবং থাকবেও না। সে সবসময়ই হিংস্র, লোভী, বর্বর এবং ভণ্ড। তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই দুনিয়ায় কি ভালো মানুষ বলে কেউ নেই? হ্যাঁ, আছে হাতেগোনা দুচারজন। বাকিরা সুযোগের অভাবে ভালো।

ছবি,লেখা সংগৃহীত।

image
Like
Comment
Share
Showing 3419 out of 19793
  • 3415
  • 3416
  • 3417
  • 3418
  • 3419
  • 3420
  • 3421
  • 3422
  • 3423
  • 3424
  • 3425
  • 3426
  • 3427
  • 3428
  • 3429
  • 3430
  • 3431
  • 3432
  • 3433
  • 3434

Edit Offer

Add tier








Select an image
Delete your tier
Are you sure you want to delete this tier?

Reviews

In order to sell your content and posts, start by creating a few packages. Monetization

Pay By Wallet

Payment Alert

You are about to purchase the items, do you want to proceed?

Request a Refund