Ковер Казах https://artadi.gallery/product/kover-kazah-3/
Ковер Казах https://artadi.gallery/product/kover-kazah-3/
Sandleford Vista A4 Rear Letterbox in Australia
Sandleford Vista A4 Rear :- Sandleford Vista A4 Rear Letterbox with black steel front and brick insert. Durable, stylish, and easy to install. Buy online at Rippaprices Australia.
Visit Us :- https://www.rippaprices.com.au..../products/sandleford
CONTACT US
Call Us Now: +61 421 225 005
Send Mail Us: rippaprices@gmail.com
Address: Melbourne, VIC, Australia, Victoria
To Read More: https://cardinalcarports.wordp....ress.com/2025/09/15/
নখের সমান ক্ষুদ্র এই মাছটি হাতির থেকেও জোরে শব্দ করতে পারে!
Danionella cerebrum নামের এক ক্ষুদ্র মাছ মাত্র আধ ইঞ্চি লম্বা হলেও ১৪০ ডেসিবেলেরও বেশি আওয়াজ তৈরি করতে পারে, যা বিমান বা হাতির চেঁচামেচির মতোই জোরে। এই মাছটি মিয়ানমারের Bআগে Yoma পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে। স্বচ্ছ দেহ আর মাথার খুলি না থাকায় এটি স্নায়ুবিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার জন্য আকর্ষণীয় একটি প্রাণী, কারণ এর মস্তিষ্ক পৃথিবীর কশেরুকপ্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
জার্মানির একদল বিজ্ঞানী এই মাছের উচ্চ আওয়াজের রহস্য বোঝার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা তিন-চারটি মাছকে একসাথে একটি ট্যাংকে রাখেন এবং হাই-স্পিড ভিডিওতে মাছের আচরণ রেকর্ড করেন। গবেষণায় দেখা যায়, মাছটি একটি বিশেষ পেশির মাধ্যমে পাঁজরকে এক টুকরো কার্টিলেজের সাথে টেনে রাখে, এবং পাঁজরটি ছেড়ে দিলে তা সাঁতার থলির সাথে ধাক্কা খেয়ে জোরে ড্রাম বাজানোর মতো আওয়াজ তোলে। এই অনন্য শব্দ উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণে Danionella cerebrum শুধুমাত্র স্নায়ুবিজ্ঞান নয়, শব্দ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
পুরুষ মাছের পাঁজরের হাড় স্ত্রী মাছের তুলনায় বড় আর শক্ত, তাই তারা এই আওয়াজ করতে পারে। অন্য মাছরাও সাঁতার থলির সাহায্যে জোরে আওয়াজ করতে পারে, যেমন প্রজননের সময় ব্ল্যাক ড্রাম মাছ, যা কখনও কখনও কারও রাতের ঘুম ভাঙিয়ে দিতে পারার জন্য যথেষ্ট। আর পুরুষ মিডশিপম্যান মাছ প্রজননের সময় ১৩০ ডেসিবেলের ড্রোনিং আওয়াজ করে।
কিন্তু D. cerebrum মাছের ১৪০ ডেসিবেলের আওয়াজ তাদের ছোট আকারের জন্য অন্য সব কশেরুকপ্রাণীর তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে জোরেই বটে। জার্মানির Senckenberg Research Institute and Natural History Museum-এর এক বিবৃতি অনুযায়ী, হাতির চিঁচিঁ আওয়াজও ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত যায়।
যদিও গবেষকরা বুঝতে পেরেছেন এই ছোট মাছ এত জোরে আওয়াজ কীভাবে করে, কিন্তু কেন করে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানেন না। তাদের ধারণা, মাছগুলো হয়তো কাদাযুক্ত পানিতে একে অপরকে খুঁজতে এই আওয়াজ করে। অথবা, যেহেতু শুধু পুরুষরা আওয়াজ করে, তাই হয়তো এরা সঙ্গীকে আকর্ষণ করতে বা অন্য পুরুষদের সতর্ক করতে এই আওয়াজ ব্যবহার করে।
২০২১ সালে, ল্যাবরেটরিতে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা যখন এই মাছ নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন বুঝতে পারেন যে তাঁরা একটি অজানা ও অশনাক্ত প্রজাতির সাথে কাজ করছেন। তখন তাঁরা এটির নাম দেন—যা স্নায়ুবিজ্ঞান ক্ষেত্রে এই মাছের গুরুত্বকে বোঝায়।
প্রজাতির নাম “cerebrum” এসেছে মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশের নাম থেকে। বাহ্যিকভাবে, এই মাছগুলো Danionella প্রজাতির অন্য মাছের মতোই দেখতে, আর কেবল কঙ্কাল পরীক্ষা করে বোঝা গেছে যে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা আসলে নতুন এক প্রজাতির সাথে কাজ করছিলেন, যা আগে বর্ণনা করা হয়নি।
উইলিয়াম কামকওয়াম্বা: যে ছেলেটি বাতাসকে বন্ধু বানিয়েছিল
জীবনের সব দরজা যখন বন্ধ, তখনও কিছু মানুষ নিজের মেধা ও দৃঢ়তা দিয়ে নতুন একটি দরজা তৈরি করে। এমনই এক বাস্তব গল্প উইলিয়াম কামকওয়াম্বার; মালাউইর এক দরিদ্র গ্রাম থেকে উঠে আসা এক বিস্ময়বালকের, যে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল।
দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হারায় উইলিয়াম। তবে হাল ছাড়েনি। স্থানীয় একটি ছোট্ট লাইব্রেরিতে গিয়ে পুরনো বিজ্ঞানের বই পড়ে নিজে নিজে ইঞ্জিনিয়ারিং শিখতে শুরু করে সে।
বাইক ভেঙে পাওয়া অংশ, পুরনো ব্যাটারি, লোহা-টিনের টুকরো- এসব জিনিস দিয়ে সে তৈরি করে এক আশ্চর্য উইন্ডমিল, যা দিয়ে নিজের বাড়িতে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ নিয়ে আসে উইলিয়াম! তার এই অসাধারণ কাহিনি পরে বই ও সিনেমা হয়ে দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। উইলিয়াম হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্মের প্রেরণাদায়ী প্রতীক।
ছবিটির দিকে তাকিয়ে দেখুন, শেখার আছে অনেক কিছু। বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে গত পরশু সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একজন ছাত্রী বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ওই ছাত্রীর বক্তব্য চলাকালীন হটাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে পাশে থাকা একজন প্রফেসর দৌঁড়ে গিয়ে একটা ছাতা নিয়ে এসে সে ছাত্রীর মাথার উপর ধরেন। পুরো বক্তব্য চলাকালীন তিনি ছাতাটা ছাত্রীর মাথার উপর ধরে রেখেছিলেন। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, ওই প্রফেসর একইসাথে ডিপার্টমেন্টের প্রধান এবং শিক্ষকদের লিডারও।
আপনি কল্পনা করতে পারেন, বাংলাদেশের কোনো ভার্সিটি কনভোকেশন অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্য?
কখনো নয়। এ ধরনের মানবিক এবং নৈতিক চর্চা আমাদের দেশের শিক্ষকদের মধ্যে গড়ে উঠেনি এবং উঠবেও না। এর অন্যতম কারণ, ইগো। কোনো শিক্ষক এমন মহৎ কাজ করতে যাবে না তার ভেতর প্রচন্ড ইগোর কারণে, তার মধ্যে
সবসময় এই চিন্তা কাজ করে যে, আমি শিক্ষক হয়ে কেন শিক্ষার্থীদের মাথায় ছাতা ধরতে যাব। হোক না বৃষ্টি, তাতে কী!
অথচ দেখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা ভার্সিটিগুলির একটি ভার্সিটির প্রফেসর তার ইগো ঠেলে কনভোকেশনে বক্তব্য দেওয়া কালে বৃষ্টি আসলে অনায়সে একজন ছাত্রীী মাথায় ছাতা ধরে রেখে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন, একইসাথে অন্যদের নৈতিকতাও শিক্ষা দিলেন।
শিক্ষকতা হলো ঠিক এমনই মহৎ পেশা। শ্রেষ্ঠ মানুষজনই এই পেশায় আসবেন, এটাই স্বাভাবিক রীতি। এই শিক্ষকের কর্মেই তার প্রমাণ মেলে। যে শিক্ষক পাবলিকলি মানুষ হিসেবে ভালো মনের অধিকারী এবং অনুকরণীয় হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন মানবিক কর্মের মাধ্যমে, নিশ্চয়ই সেই শিক্ষক ক্লাসরুমেও শিক্ষার্থীদের কাছে সেরা হবেন। তার জন্য সম্মান এবং শ্রদ্ধা।