দৃষ্টি নেই, কিন্তু ভালোবাসার বাঁধনে তারা একে অপরের চেয়ে একটুও কম নয়। মা-বাবা দুজনেই অন্ধ। পৃথিবীর রঙ, আলো, ছায়া—কিছুই তারা দেখতে পান না।
তবু তাদের জীবনে আছে একটামাত্র আলোর ঝলক...একটা ছোট্ট শিশু — যাকে তারা ভালোবাসার দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন, যেন সে কোথাও হারিয়ে না যায়। সেই দড়িটা শুধু দেহকে বেঁধে রাখে না, সেটা হৃদয়ের বন্ধন, মায়ের উদ্বেগ, বাবার নির্ভরতাও ধারণ করে।
একটু ভালো করে দেখুন সেই স্নেহের দড়িটা —দৃশ্যমান হলেও সেটা আসলে অদৃশ্য এক ভালোবাসার প্রতীক।
আমাদের জন্য বড় এক বার্তা :
➤ প্রতিবন্ধীরা অসহায় নয়।
➤ আমাদের দায়িত্ব, এমন মানুষদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া।
➤ তারা আমাদের সমাজেরই অংশ — সম্মান ও সহযোগিতা পাওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখে।
যখন লাশ নিজেই কবর খুঁজে নেয়…
বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন! ঘুমের আগে একটু গা ছমছমে গল্প শোনান যাক।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় ব্লগ mamasa-online-এ কিছু ভৌতিক ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বহুদিন ধরে অবহেলিত এক প্রাচীন রীতির – "লাশ হাঁটানো" – দৃশ্য। ছবিতে দেখা যায়, একজন মৃত নারীকে একজন লোক রাস্তা ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সামনেই অপেক্ষা করছে খোলা কফিন।
এই রীতিটি Tara Toraja নামক গ্রামে প্রচলিত ছিল। তাদের বিশ্বাস ছিল, কেউ মারা গেলে তার আত্মাকে অবশ্যই নিজ গ্রামের কবরস্থানে ফিরিয়ে দিতে হয়, তবেই সে শান্তিতে পরকাল যাত্রা সম্পন্ন করতে পারে।
তবে পরিবারের ওপর লাশ বহনের ভার না দিয়ে, অভিজ্ঞ কোনো কালো জাদুকর সেই মৃতদেহকে সাময়িকভাবে জাগিয়ে তুলত। এরপর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে নিয়ে মৃতদেহটি নিজে নিজেই হাঁটতে হাঁটতে গ্রামের কবরস্থানের দিকে যাত্রা করত।
এই যাত্রার সময় মৃতদেহকে কখনোই সরাসরি কিছু বলা যেত না। যদি কেউ কিছু বলত, তবে সঙ্গে সঙ্গে লাশটা আবার অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ত। এজন্যই সাধারণত নির্জন পথ বেছে নেওয়া হতো, যাতে অন্য কেউ রীতিটি দেখে বিভ্রান্ত না হয়।
যখন কবরস্থানে পৌঁছাত, তখন লাশটি নিজ ইচ্ছায় কফিনে উঠে যেত – এভাবেই শেষ হতো তার পারলৌকিক যাত্রা।
আপনি এই corpse-walking রীতিতে বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, এটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি ও বিশ্বাস নিঃসন্দেহে Tara Toraja-র এক রহস্যময় ও আকর্ষণীয় অধ্যায়।