যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পাচ্ছে ‘শনিবার বিকেল’
***********************************************************************
বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডে প্রায় চার বছর ধরে আটকে থাকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাচ্ছে উত্তর আমেরিকায়। রিয়ালেন্স এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে ১০ মার্চ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি দেবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান কন্টিনেন্টাল এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। খবর ভ্যারাইটির।
সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনার মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি সিনেমাটি দেখেছে সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটি। আপিল কমিটির সদস্যদের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে আসে, সিনেমাটি মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। তবে তার দুই সপ্তাহের মাথায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়, এখনই সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না সিনেমাটি, ছবিটি আবার দেখবে আপিল কমিটি। কার্যত পেন্ডুলামের মতো সিনেমাটির ভাগ্য ঝুলে রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শনের পর সিনেমাটি জনসাধারণের মাঝে প্রদর্শনের উপযোগী নয় বলে মত দিয়েছিলেন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা।
সেন্সর ছাড়পত্র না পেলে বাংলাদেশের সিনেমা হলে কোনো সিনেমা প্রদর্শন করা যায় না, তবে দেশের বাইরে প্রদর্শনে কোনো বাধা নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর দ্বিতীয় দফায় আরও কয়েকটি দেশের সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এর আগে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ ভারতে পরিবেশন করেছে কন্টিনেন্টাল এন্টারটেইনমেন্ট পিটিই লিমিটেড (সিইপিএল)।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভ্যারাইটিকে বলেন, ‘সিনেমাটি অবশেষে দর্শকের সামনে আসছে। সিনেমাটি আমাদের দেশের মানুষের দেখাটা খুব দরকারি। আমি আশা করেছিলাম, সিনেমাটি সবার আগে বাংলাদেশে মুক্তি পাবে; কিন্তু তা না হওয়ায় বিশ্বের দর্শকের সামনে সিনেমাটি নিয়ে আসছি। উত্তর আমেরিকার দর্শকের সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
‘দীর্ঘ চার বছর ধরে অপেক্ষার পর আমরা সিনেমাটি বিশ্বের দর্শকের সামনে আনতে পারছি বলে আমরা খুবই আনন্দিত।’, বলেন সিইপিএলের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী শ্রেয়সী সেনগুপ্ত।
ঢাকার জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়ালের সঙ্গে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে জার্মান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টানডেম প্রোডাকশন। এতে নুসরাত ইমরোজ তিশা, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
Source: প্রথম আলো
Md Parvaj Mollick
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?