জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের কয়েকটি আমল উল্লেখ করা হলো।
# সুন্নাহ অনুসরণ করে আল্লাহর যিকির বা স্মরণ করা। সকল কাজের মাসনূন দুয়া বা বিসমিল্লাহ বলাও আল্লাহর যিকিরের অন্তর্ভুক্ত.
# বেশি বেশি নেক আমল করা (কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, ১ম ৯ দিন নফল রোজা, দান-সদকা ইত্যাদি)
# গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা
# হজ্জ করা (যাদের উপর হজ্জ ফরজ)
# কুরবানি আদায় করা (যাদের নিসাব পরিমান সম্পদ আছে)। নবীজি (সা) বলেছেন "যার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি দিল না সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে"। (ইবনে মাজাহ ৩১২৩)
# যারা কুরবানির নিয়ত করেছে তাদের জন্য জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে ঈদের দিন পশু কুরবানির আগ পর্যন্ত চুল-নখ ও অন্যান্য পশম না কাটা মুস্তাহাব।
জিলহজ্জের চাঁদ দেখা যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় চুল-নখ কেটে পরিচ্ছন্ন হয়ে নেয়া উচিত। আর কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর আবার প্রয়োজনীয় চুল-নখ কাটা। অনেক আলেমের মতে যারা কুরবানি করবেন না তারাও যদি উক্ত আমলটি করেন, তাহলে তারাও সওয়াবের অংশীদার হবেন ইনশাআল্লাহ।
# জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনই বেশি বেশি তাকবির-তাহমিদ-তাহলিল পাঠ করা (اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ، لَاإِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الحَمْدُ)। চলতে ফিরতে বা অবসর সময়ে পুরুষের জন্য সম্ভব হলে উচ্চস্বরে আর নারীরা নিচু স্বরে এটা পাঠ করবে।
আইয়ামে তাশরিকের দিনগুলোর (৯ জিলহজ্জ থেকে ১৩ জিলহজ্জ) ফরজ নামাজের পর অন্তত একবার উপরে বর্ণিত তাকবির-তাহমিদ-তাহলিল পাঠ করা। এর নিয়মটি হচ্ছে, ৯ জিলহজ্জ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ্জ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর একবার তাকবির-তাহমিদ-তাহলিল পাঠ করা ওয়াজিব। এই তাকবির পাঠ না করলে গুনাহ হবে। ইংরেজি ক্যালেন্ডার হিসাবে এ বছর তাকবির পড়তে হবে ৯ জুলাই ফজর থেকে ১৩ জুলাই আসর পর্যন্ত।
অনেকে ফরজ নামাজের পর ৩ বার তাকবির বলাকে সুন্নত বলে প্রচার করে থাকেন। আসলে এই তাকবিরটি সারা দিনই পড়া যায়। কিন্তু নামাজের পর ৩ বার পড়াকে সুন্নত মনে করলে সেটা ভুল হবে। কারণ হাদীস দ্বারা নামাজের পর ৩ বার এই দুআ পাঠ করার প্রমাণ পাওয়া যায় না। আমরা ইচ্ছা মত ১ বার, ২ বার, ৩ বার, ৫ বার, ১০ বার পড়তে পারি। কিন্তু হাদীসের দলীল ছাড়া ভিত্তিহীন কথা বলে ৩ সংখ্যাটিকে সুন্নত মনে করা যাবে না।
# আরাফার দিন রোজা রাখা। এদিন রোজা রাখলে আগের ও পরের এক বছরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন।
হাদীসে বলা হয়েছে "আরাফার দিন" রোজা রাখার জন্য। হজ্জের সময় আরাফায় উপস্থিত থাকতে হয় ৯ জিলহজ্জ। ৯ জিলহজ্জ রোজা রাখলে আমরা কি বাংলাদেশের চাঁদ দেখে ৯ জিলহজ্জ রাখব নাকি মক্কার সাথে মিলিয়ে আরাফার দিন রাখব? উভয়টার পক্ষেই মত পাওয়া যায়। যেহেতু জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন নেক আমলের সওয়াব অনেক বেশি, তাই কনফিউশন না রেখে আমাদের দেশের চাঁদ অনুযায়ী ৮ ও ৯ জিলহজ্জ উভয় দিনই রোজা রাখার পরামর্শ দেন অনেক আলেম। তাতে হাজীদের আরাফায় অবস্থানের দিন এবং আমাদের দেশের হিসাবে ৯ জিলহজ্জ রোজা রাখা দুইটাই হয়। বাংলাদেশে এ বছর জিলহজ্জের ৮ ও ৯ তারিখ যথাক্রমে ৮ ও ৯ জুলাই। আমরা চেষ্টা করি উভয় দিনই রোজা রাখার। নাহলে অন্তত ৯ জুলাই অর্থাৎ ঈদের আগের দিন ৯ জিলহজ্জ রোজা রাখি। সুযোগ থাকলে জিলহজ্জের ১ থেকে ৯ প্রতিদিনই রোজা রাখি।
# ঈদের দিন ঈদের নামাজ পড়া
# ঈদের দিন মিসওয়াক করে অযু সহ উত্তম রূপে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, ঈদের নামাজ মাঠে বা খোলা স্থানে অর্থাৎ ঈদগাহে পড়া, এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া ও অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা।
# ঈদুল আযহার দিন কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া। নামাজ থেকে ফিরে এসে কুরবানি করার পর কুরবানির গোশত দিয়ে দিনের খাওয়া শুরু করা মুস্তাহাব।
# ঈদের নামাজের পর কুরবানি করা। ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করলে কুরবানি আদায় হবে না।।
Download Now : https://cutt.ly/bdapps
#kachermasjid
#mosques_in_bangladesh_বাংলাদেশের_মসজিদসমূহ
#bdmasjid
#bangladeshimasjid
Arshad Ali
.
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟