রুকু এবং সিজদায় করা দুয়াগুলির পিছনে কি কোনো নির্দিষ্ট কারণ আছে?
.
আমরা রুকুতে বলি,
"#সুবহানা_রব্বিয়াল_আযীম\".
অর্থঃ "আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনি সবচেয়ে শক্তিধর।"
আমরা সিজদায় বলি,
"#সুবহানা_রাব্বিয়াল_আ’লা’.
অর্থঃ ''আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনার মাকাম সবচেয়ে উঁচু"।
.
নামাজের মধ্যে ফিজিক্যালি উইক এবং সবচেয়ে নড়বড়ে অবস্থাটা হচ্ছে "রুকু।”
রুকুরত অবস্থায় কেউ যদি নামাজীকে হালকা করেও একটা ধাক্কা দেয়, সে ধপাস করে মাটিতে পড়ে যাবে।
চমৎকার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন নামাজে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকি, তখন বলি,
"আল্লাহ আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী!"
আবার, আমরা যখন নামাজের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকি, তখন আল্লাহকে বলি যে,
"আল্লাহ আপনি সবচেয়ে উঁচু!"
.
সুবহানাল্লাহ!
জাস্ট এই কনসেপ্টটা আমাদের নামাজকে অন্য আরেক ডাইমেনশানে নিয়ে যায়!
নামাজ পড়তে পড়তে যেখানেই মন চলে যাক না কেন, রুকু আর সিজদাহ দেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় যে,
"আল্লাহ সবচেয়ে শক্তিধর এবং আল্লাহ সর্বোচ্চ!"
.
তারপর রুকু থেকে উঠতে উঠতে আমরা বলি,
"#সামি_আল্লাহু_লিমান_হামিদা\"
অর্থ: "আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।"
তারপর পরই দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি,
"#রাব্বানা_ওয়া_লাকাল_হামদ’
অর্থ: হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।
যেন আমাদের কথাগুলি যে আল্লাহ সুবহানাতা'আলা শুনবেন, সেটা নিশ্চিত করে রাখলাম।
ঠিক সিজদায় যাবার আগে কেন এটা নিশ্চিন্ত করে নিলাম যে, আল্লাহ আমার সব কথা শুনবেন?
.
কারণ, সিজদায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায় এবং সিজদা হচ্ছে দুয়া কবুলের মোক্ষম সময়।
রসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী।
সুতরাং সে সময় তোমরা বেশি বেশি দুয়া করো।’
(মুসলিম, হাদিস: ৪৮২)
.
তাই আল্লাহর সাথে বান্দার এই মহামিলনের ঠিক আগ মুহূর্তে "#সামি_আল্লাহু_লিমান_হামিদা\" রিমাইন্ডার দিচ্ছে যে, আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার সিজদায় গিয়ে উজাড় করে চেয়ে নাও।
তিনি তোমার সব আকুতি-মিনতি শুনছেন।
একটাও মাটিতে পড়বেনা।
প্রতিটা দোয়া রব্বুল আলামিনের দরবারে মেহমান হয়ে পৌঁছাব।
Tripon Baburo
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?