গল্পটা
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। পরীক্ষা শেষে ছুটি কাটাতে সুদূর আমেরিকা থেকে উড়ে এসেছে রাহাতের একমাত্র বন্ধু রাব্বী। ভেবেছিল দুজন মিলে এই ছুটিতে খুব মজা করবে। কিন্তু শুধু চিলেকোঠায় বন্দী থাকলে কি মজা পাওয়া যায়? সময় আর কাটে না।
ঠিক এ সময়েই সুখের বার্তা নিয়ে হাজির মৃধা মামা। মেজর মৃধা মামা সবার আপত্তিতে কক্সবাজারে নিজেদের অমন চমত্কার বাড়িটা বিক্রি করে তার বদলে চট্টগ্রামের পাহাড়ে অনেক দিনের পুরোনো একটা বাড়ি কিনলেন তিনি। সেখানে নাকি তিনি মোটেল বানাবেন। এ বাড়িতেই ছুটি কাটানোর জন্য রাহাত আর রাব্বী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মামা। এমন সুদূর রোমাঞ্চের হাতছানির অপেক্ষাতেই যেন ছিল রাব্বী আর রাহাত। তাই বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে চট্টগ্রামে করে ছুটল দুজন। সেখানে গিয়ে পরিচয় হলো ওদের বয়সী সিথী আর বিথীর সঙ্গে। পাহাড় আর সুনীল সমুদ্রঘেঁষা বাড়িটি দেখে তাদেরও নিমেষেই পছন্দ হয়ে গেল। তবে এলাকার লোকজন বলে বাড়িটি নাকি অভিশপ্ত। একসময় ডাকাতদের আস্তানা ছিল ওই রহস্যময় বাড়ি। লোকজনকে ধরে এনে এখানেই নাকি দেহ থেকে মুণ্ডু আলাদা করত তারা। এখনো আশপাশের জঙ্গলে খুঁজলেই নাকি মরার খুলি পাওয়া যায়। আর ভূতের আনাগোনা তো আছেই।
তবে সেখানে তাদের জন্য এর চেয়েও বড় চমক অপেক্ষা করছিল। বাড়ির পাশ দিয়ে ছুটে চলা নদীতে কদিন আগেই সোনার গুঁড়ো পেয়েছেন । তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, আশপাশেই নিশ্চয়ই কোথাও সোনার খনি আছে। শুনে দারুণ এক অ্যাডভেঞ্চারের নেশা চাপল রাহাত, রাব্বী, বিথী আর সিথীর। সোনার খনির খোঁজে শুরু হলো চারজনের রোমাঞ্চকর তল্লাশি।
রহস্যের গন্ধ শুঁকে শুঁকে একদিন পাহাড়ের গহিনে গুপ্তধনের এক গুহায় হাজির হলো তারা। সেখানে ধরা পড়ল ভয়ংকর একদল অপরাধী চক্রের হাতে। অন্তত জীবিত থাকতে তাদের হাত থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। এখন কী করবে তারা? সেই উত্তরটা জানতেই দেখতে হবে গতানুগতিক রীতিনীতির বাইরে আরমান পারভেজ মুরাদ এর কাহিনী ও চিত্রনাট্যে চট্টগ্রামের মঞ্চাভিনেতা নেত্রী ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ঈদুল আযহার বিশেষ শিশু ধারাবাহিক "সোনার পাহাড়," । আর দেখতে দেখতেই সঙ্গী হতে পারো রাহাত, রাব্বী, বিথী আর সিথীদের শ্বাসরোধ করা রোমাঞ্চকর অভিযানে....
https://banglajogot.com/%e0%a6....%9c%e0%a7%8d%e0%a6%a
https://banglajogot.com/%e0%a6....%85%e0%a6%a4%e0%a6%b