আদম আলাইহিস সালাম কোথায় বাস করতেন? জান্নাতে। এরপর তাঁকে কোথায় নামিয়ে দেওয়া হয়? পৃথিবীতে।
পৃথিবীতে এমন অনেক মানবীয় আবেগ-অনুভূতি রয়েছে যা আদম (আ) আগে কখনো অনুভব করেননি। পৃথিবীতে ভয় আছে, দুঃখ আছে, ব্যথা আছে, ক্ষুধা আছে। এই অভিজ্ঞতাগুলোর কোনোটাই জান্নাতে নেই। পৃথিবীতে দুশ্চিন্তা আছে, মানসিক চাপ আছে। সকল নেতিবাচক অনুভূতিগুলো এই দুনিয়াতে আছে।
তাই, আদম (আ) আতংকিত হয়ে পড়লেন। হাওয়া (আ) ও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন। কিভাবে আমরা এখানে বসবাস করবো! এটা তো নিদারুণ এক কষ্টের জায়গা!
তো, আল্লাহ কী করলেন? শান্ত হও। আমি এখানে তোমাদের জীবন পরিচালনার জন্য পথনির্দেশিকা পাঠাবো। আল্লাহ বলেন- فَاِمَّا یَاۡتِیَنَّکُمۡ مِّنِّیۡ هُدًی فَمَنۡ تَبِعَ هُدَایَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ- "অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোনো হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।" (২:৩৮)
যে প্রধান দুইটি মানবীয় আবেগ মানুষকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দেয় তা হলো ভয় এবং দুঃখ। সমগ্র মানব অভিজ্ঞতায় এই দুইটি মূল নেতিবাচক অনুভূতি। অনেক সময় এই ভয়ের কারণে যুদ্ধ পর্যন্ত লেগে যায়। আর তারা এটাকে বলে 'প্রি-এমপটিভ ওয়ার।' এর মানে কী? এক জাতি ভয়ে ছিল যে অন্য জাতি হয়তো তাদের আক্রমণ করতে পারে। তাই, তারাই আগেভাগে আক্রমণ চালায়। আমরা ভয়ে ছিলাম তারা হয়তো কিছু করতে পারে।
ভয়ের কারণে মানুষ পাগলের মত কাজ কর্ম করে বসে। দারিদ্রতার ভয়ে কেউ হয়তো হারাম চাকরিতে যোগ দিতে পারে। এই পৃথিবীতে বহু মন্দ কর্মের অনুপ্রেরণা দানকারী শক্তি হলো ভয়।
এর বিপরীতে আছে কোন অনুভূতি? দুঃখ। প্রসঙ্গত, ভয় সবসময় ভবিষ্যতের কোনো ব্যাপারের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। আর দুঃখ অতীতের কিছুর সাথে।
দুঃখ কি করে? এটা সবার আগে আপনার সকল আশা নষ্ট করে দেয়। আর নিজে যখন হতাশ হয়ে পড়েন তখন আপনি নিজেই আশে পাশের মানুষের জন্য হতাশার একটি উৎসে পরিণত হবেন। এই হতাশা যখন নিজের ভেতরে বৃদ্ধি পেতে থাকে এটা একসময় আপনাকে ক্রুদ্ধ এবং হিংস্র করে তুলতে পারে। আর মানুষ যখন এরকম রাগী এবং প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে তখন সমাজে বিভিন্ন ধরণের মন্দ কর্মের প্রকাশ ঘটতে থাকে।
বিষণ্ণতা আসলে পৃথিবীর বহু অনিষ্টের মূল। একইভাবে ভয়ও। আল্লাহ বলছেন আমি তোমাদের এমন একটি নির্দেশিকা প্রদান করবো যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের ভয় এবং দুঃখ কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এভাবে তোমরা স্বল্প সময়ের পার্থিব এ অবস্থানকে উত্তম উপায়ে পার করতে পারবে। এরপর তোমরা তোমাদের প্রকৃত ঘরে ফেরত আসতে পারবে। জান্নাতে ফেরত আসতে পারবে।
এখন তোমাদের নিকট পাঠানো এই হিদায়েত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করো। কুরআনের দেখানো পথে জীবন পরিচালনা করো।
সুবহানাল্লাহ!
পাঁচশত বছর আগের কোনো রাজা-বাদশা কিংবা ক্ষমতাধর কাউকে গালমন্দ করা হলে তার জন্য মন খারাপ করার মতো একজন লোকও আজ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অথচ প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া একজন মানুষকে নিয়ে কেউ সামান্য বাজে মন্তব্য করলে কোটি কোটি চোখে পানি আসে। হৃদয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। রক্তক্ষরণ হয় মনে।
এটাই তাঁর বিশেষত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। কারণ তিনি আল্লাহর দূত।
আগেকার রাজা-বাদশা কিংবা অন্য কোনো মনীষীরা এরকম কোনো আদর্শ রেখে যাননি, যা আজও মানুষকে মুক্তির পথ দেখায়। পক্ষান্তরে প্রিয়নবী (সা.) এরকম সুমহান আদর্শ রেখে গেছেন। যুগ যুগ ধরে যা মানুষকে মুগ্ধ ও মোহিত করে রেখেছে। কিয়ামত পর্যন্ত রাখবে ইন-শা-আল্লাহ। এটাই মুসলিমদের রাসূল-প্রেমের কারণ, ইসলাম-বিদ্বেষীদের গাত্রদাহের কারণও এটাই।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
যেমন ছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)
১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।
২/ তিনি কম হাসতেন।
৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো।
৪/ তিনি অট্টহাসি হাসতেন না।
৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না।
৬/ তিনি দৈনিক শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।
৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না।
৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি।
৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন।
১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন।
১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন।
১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন।
১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন।
১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরণ করতেন।
১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।
১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন।
১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃণা করতেন।
১৮/ তিনি উপহার গ্রহণ করতেন।
১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন।
২০/ তিনি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন।
২১/ তিনি আল্লাহকে সব সময় ভয় করতেন
২২/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।
২৩/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না।
২৪/ বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না।
২৫/ কথা বলার সময় সুস্পষ্টভাবে বলতেন যাতে শ্রবণকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে।
২৬/ কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।
২৭/ নম্রতাকে পছন্দ করতেন।
২৮/ তাঁর নিকট আগত ব্যক্তিদের অবহেলা করতেন না।
২৯/ কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না।
৩০/ শরীয়তবিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।
৩১/ আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামতকে কদর করতেন।
৩২/ খাদ্যদ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন।
৩৩/ ক্ষমাকে পছন্দ করতেন।
৩৪/ সর্বদা ধৈর্য্য ধারণ করতেন।
রাসুল (সা.) এর গুণাবলি বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নবী (সা.) এর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার তাওফীক দান করুন।
আমিন..
Collected
উপলব্ধির তর্জমা
ম্যাট্রিক্স সিনেমা যখন প্রথম দেখলাম, বুঝতেই পারিনি কি বলতে চাচ্ছে। ইংরেজিতে আমি একটু কম বুঝি। আসলে বাংলায় বললেও আমি ধরতে ধরতে পরের লাইনে গল্প চলে যায়।
যাইহোক, সাবটাইটেল নামিয়ে বুঝার চেষ্টা করতে গিয়ে আমার সিনেমা দেখা শেষ হল ৫ ঘন্টায়। তাতেও আমার কষ্ট লাগেনি, কষ্টটা হল এবারো রহস্য বুঝতে পারলাম না। এক দরজা দিয়ে ঢুকে, দুইটা জগৎ কি করে।
বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে আমার স্কুল বন্ধু তমাল এগিয়ে এল। তাজমহল রোডের খেলার মাঠে তমাল বুঝালো, বিষয়টি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের ন্যায়। কম্পিউটার জগত।
এবার আমি সহজ করে বলি, ধরুন আপনি সি ড্রাইভে ক্লিক করলেন। সেখানে অনেকগুলো ফোল্ডার করা আছে। যা আপনি চাইলেও বাদ দিতে পারবেন না। এসব ফোল্ডারের আবার হিডেন ডাটাবেইজ ফাইল আছে। পাশাপাশি কিছু সিমিলার ফাইল আছে। এখন ভাইরাস যখন এটাক করে এসব এর মিরর সিস্টেম ফাইল প্রোগ্রামিং এক্টিভ হয়ে সিস্টেম অচল করে দেয়। আর এই নিয়েই নাকি ম্যাট্রিক্স সিনেমা। ভবিষ্যতে নাকি এমন হবে, বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনি।
আমি সিনেমাটা দেখতাম বার বার একশান দৃশ্যের মেকিং টা ভাল লাগত বলে। আর প্রতিবারই সুপ্ত ভাবে বোঝার ট্রাই করতাম দৃশ্য গুলোর কন্টিনিটি দেখে। এখন ম্যাট্রিক্স এর দি সারেকশান বেড়িয়েছে।
এখনো বুঝিনি পুরোপুরি, তবে কন্টিনিটি মেলানোর চেষ্টা করে নিজের মত একটা বুঝ নিই।
এই যেমন প্রতিবার ফোনে ইউটিউব অন করলে নতুন নতুন হোম পেইজ স্টোরি আসে।
এত এত কন্টেন্ট প্রতিমুহূর্তে তৈরি হচ্ছে যেন, আগামীকালটা বাঁচবই একটা কন্টেন্ট এর বিনিময়ে।
আরেকটু বুঝিয়ে বলি, আমাদের পুর্বপুরুষের চিন্তা ভাবনায় থাকত, মরার আগে ছেলেমেয়েদের জন্য যেন; কিছু এসেট করে দিয়ে যেতে পারে। তাই তারা জমিজমা কিনে যেতেন। আমার পরিবারের মত হলে, আবার বাড়ি ফ্রি পেয়ে যেতে পারেন, আসবাবপত্র সহ।
সে আরেক গল্প। ইউটিউবও যেন ম্যাট্রিক্স সিনেমার মত, প্রতিবার এপে নতুন করে ঢুকলে নতুন স্টোরি সাজেশন। কারণ, এখন সবাইকে বাচতে হলে একটি করে জিমেইল আইডি থাকতে হবে। থাকতে হবে নিজের অর্থ উপার্জনের জন্য, সৃজনশীল সমৃদ্ধ চ্যানেল।
এখন সাবস্ক্রাইভ-ভিউ শর্ত প্রযোজ্য জনপ্রিয় চ্যানেলের অধিকারীগণরাই প্রজন্মের জন্য, ডিজিটাল জমি করে, রেখে যেতে পারেন।
মনে রাখবেন, মেধাবীরা এইখানেও আমার মত বোকাদের খাটায়, ঠিক বর্গা চাষীদের মত।
#সৃষ্টি
#premdevota
#perspective
#meghporifilmsbd
#উপলব্ধি
Mayshi Farjana
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
sadia jesi
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?