Linkeei Linkeei
    #ai #best #seo #tructiepbongda #bongdatructuyen
    Advanced Search
  • Login
  • Create a new account or Register

  • Night mode
  • © 2025 Linkeei
    About • Directory • Contact Us • Developers • Privacy Policy • Terms of Use • Refund • Linkeei App install

    Select Language

  • Arabic
  • Bengali
  • Chinese
  • Croatian
  • Danish
  • Dutch
  • English
  • Filipino
  • French
  • German
  • Hebrew
  • Hindi
  • Indonesian
  • Italian
  • Japanese
  • Korean
  • Persian
  • Portuguese
  • Russian
  • Spanish
  • Swedish
  • Turkish
  • Urdu
  • Vietnamese

Watch

Watch Reels Movies

Events

Browse Events My events

Blog

Browse articles

Market

Latest Products

Pages

My Pages Liked Pages

More

Forum Explore Popular Posts Games Jobs Offers
Reels Watch Events Market Blog My Pages See all

Discover posts

Posts

Users

Pages

Group

Blog

Market

Events

Games

Forum

Movies

Jobs

Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

"আমার ধারণা, বাঙালি শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে ব্যাঙ থেকে। এ অঞ্চলে প্রচুর জলা ও নিম্নভূমি ছিলো, যেগুলোতে বাস করতো কোটি কোটি ব্যাঙ। ব্যাঙ থেকে ব্যাঙোল, ব্যাঙোল থেকে বাঙালি।

ব্যাঙের সাথে আমাদের চারিত্রিক মিল বিস্ময়কর। ব্যাঙ লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, আমরাও লাফিয়ে লাফিয়ে চলি। টিভি খুললেই শুনতে পাই— লাফিয়ে লাফিয়ে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। লাফ ছাড়াও যে ধীরে ধীরে আগানো যায় অনেক পথ, তা মানতে আমরা রাজি নই।

ব্যাঙের আঁধার পছন্দ, আমাদেরও আঁধার পছন্দ। আলো আমাদের শত্রু। যা থেকেই আলো বেরোয়, তা আমরা দেখামাত্র ধ্বংস করি। একবার তো সূর্যকেও ধ্বংস করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নাগাল পাইনি বলে করিনি। তবে আকাশের সূর্যকে টিকিয়ে রাখলেও, মাটির বহু সূর্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছি।

ব্যাঙের প্রিয় খাদ্য পোকামাকড়। আমাদেরও প্রিয় খাদ্য পোকামাকড়। মানুষের মধ্যে যারা ক্ষুদ্র ও ক্ষমতাহীন, তাদেরকে পোকামাকড় ভেবে খেয়ে ফেলি। আমাদের জেলখানা ভরে আছে অজস্র পোকামাকড়ে।

ব্যাঙ তার ডোবাকে বিশ্ব জ্ঞান করে। আমরাও তাই করি। রাত-দিন ডোবা নিয়ে পড়ে থাকি। ডোবার বাইরেও যে জগৎ আছে, ওই জগতে যে রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, তা স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত নই।

আমাদের সকল হাঁটা ব্যাঙের হাঁটা। হেঁটে আমরা কোনো দূরত্ব অতিক্রম করি না। হাজার মাইল হেঁটেও আমাদের অতিক্রান্ত দূরত্ব হয় শূন্যের সমান।

ব্যাঙের মতো আমাদের চোখও মাথার উপরিভাগে। সারাক্ষণ আসমানের দিকে তাকিয়ে চলি। কোনোকিছুই গভীরভাবে তলিয়ে দেখি না। ভাসা ভাসা গরিব দৃষ্টি নিয়ে মেঘের ভিড়ে খুঁজি ঈদের চাঁদ।

ব্যাঙ পানি পান করে না। শরীরের চামড়া দিয়ে সে জল শোষণ করে। আমরাও তাই করি। এক অঙ্গের কাজ আরেক অঙ্গ দিয়ে করি। সরল কাজ সরলভাবে করা আমাদের পছন্দ নয়।

ব্যাঙ সমুদ্রে বাঁচতে পারে না। আমরাও পারি না। কোনো বড়ো এলাকায়ই আমরা টিকে থাকতে পারি না। এই ভয়ে বড়ো কোনো স্বপ্নও দেখি না। আমাদের সকল স্বপ্ন আমাদের ডোবার সমান। বাঙালি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কোনো নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করেছে, এরকমটি শোনা যায় না।

ব্যাঙের মতো আমরা পোনাও বেশি ছাড়ি। এ পোনা পৃথিবীর খুব একটা কাজে আসে না। অকাজের জিনিস সংখ্যায় বেশি হয়, এটিই নিয়ম। ব্যাঙের এ নিয়ম আমরা মেনে চলি।

ব্যাঙ যেখানেই বাস করে, সেখানেই কাদা তৈরি করে। আমরাও তাই করি। আমাদের জাতীয় ক্রীড়াকর্মের নাম— কাদা ছোড়াছুড়ি। কারও গায়ে ছুড়ে মারার মতো কাদা না পেলে, পেট থেকে কাদা বের করে ছুড়ে মারি।

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

চাপ নেয়া শিখতে হবে...
প্রায় ২৫০০ বছর আগে গ্রিক কুস্তিগীর মাইলো অফ ক্রোটন তখনকার পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হতেন। অসাধারণ শক্তি ও ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী এই ব্যক্তি আমাদের পেশী গঠনের তিনটি মৌলিক নীতি শিখিয়েছেন: খুব হালকা ওজন দিয়ে শুরু করা, নিয়মিত অনুশীলন করা, এবং ধাপে ধাপে ধৈর্য ধরে ওজন বৃদ্ধি করা।

মাইলো একদিন একটি নবজাতক ষাঁড়কে কাঁধে তুলে নেন এবং প্রতিদিন সেটিকে বহন করে হাঁটতে শুরু করেন। ষাঁড়টি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, আর মাইলোও প্রতিদিন সেই বাড়তে থাকা ওজন নিয়ে হাঁটতে থাকেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছর পার হতে হতে ছোট্ট সেই ষাঁড়টি একটি পূর্ণবয়স্ক বিশাল ষাঁড়ে পরিণত হয়, কিন্তু মাইলো তখনও সেটিকে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে পারতেন!

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

ঘড়ির কাঁটা যেন থমকে গেল সেদিন। শিলা চুপচাপ বসে ছিলেন আ 'দা 'ল 'তে 'র বেঞ্চে। ২৮ বছরের একটা সম্পর্ক আজ কাগজের একটা সিগনেচারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আশপাশে কোলাহল, তবু মনে হচ্ছিল সব নীরব।

স্বামী রহমান পাশে বসে আছে, চোখে কোনো আবেগ নেই। বিয়ের শুরুতে যেমনটা ছিল, আজও ঠিক তেমন শীতল, দায়িত্বশীল, অথচ অনুভূতিহীন।

পুরো ২৮ বছর কেটে গেল ভালোবাসাহীন ভাবে, অথচ কিছুই বুঝতে পারেনি হ 'ত 'ভা 'গা স্বামী। তাই হয়ত কথা বলার শক্তি হা 'রি 'য়ে ফেলেছে। যদিও উপর থেকে তা বুঝতে দিচ্ছে না।

শিলা দী 'র্ঘ 'শ্বা 'স ফেলেন!

এই মানুষটির সঙ্গে ঘর করেছেন, সংসার সাজিয়েছেন, সন্তান বড় করেছেন। অথচ মনের ভেতর সেই জায়গাটা আর নেই, যেখানে ভালোবাসা বসবাস করত।

একদিন রাতে আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ প্রশ্ন করেছিলেন নিজেকে, আমি কি তাকে ভালোবাসি?

নীরবতা দিয়েছিল সেই উত্তর। হয়তো আর বলতে হবে না, উত্তরটা কি ছিল!

শুধু দায়িত্ব আর সামাজিকতা নিয়ে পার করা জীবনের ওজন আজ আর বহন করতে পারেন না তিনি। তাই, অনেক ভেবে ডি /ভো /র্স /টা /ই বেছে নিয়েছেন।

বি /চ্ছে /দ হলো।

কেউ কাঁ 'দ 'লো না, কেউ আ 'ট 'কা 'তে আসলো না।

তবুও, ভেতরে কোথাও একফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল।
ভালোবাসাহীন জীবনেরও তো একটা শো /ক হয়। হয়তো সেই শো /কে /ই...

#viral #fbreelsfypシ゚viralfbreelsfypシ゚viral #everyonehighlightsfollowers #moodchallengechallengetoday #fyp #foryou See less
Comments
No comments yet
Be the first to comment.


ঘড়ির কাঁটা যেন থমকে গেল সেদিন। শিলা চুপচাপ বসে ছিলেন আ 'দা 'ল 'তে 'র বেঞ্চে। ২৮ বছরের একটা সম্পর্ক আজ কাগজের একটা সিগনেচারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আশপাশে কোলাহল, তবু মনে হচ্ছিল সব নীরব।

স্বামী রহমান পাশে বসে আছে, চোখে কোনো আবেগ নেই। বিয়ের শুরুতে যেমনটা ছিল, আজও ঠিক তেমন শীতল, দায়িত্বশীল, অথচ অনুভূতিহীন।

পুরো ২৮ বছর কেটে গেল ভালোবাসাহীন ভাবে, অথচ কিছুই বুঝতে পারেনি হ 'ত 'ভা 'গা স্বামী। তাই হয়ত কথা বলার শক্তি হা 'রি 'য়ে ফেলেছে। যদিও উপর থেকে তা বুঝতে দিচ্ছে না।

শিলা দী 'র্ঘ 'শ্বা 'স ফেলেন!

এই মানুষটির সঙ্গে ঘর করেছেন, সংসার সাজিয়েছেন, সন্তান বড় করেছেন। অথচ মনের ভেতর সেই জায়গাটা আর নেই, যেখানে ভালোবাসা বসবাস করত।

একদিন রাতে আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ প্রশ্ন করেছিলেন নিজেকে, আমি কি তাকে ভালোবাসি?

নীরবতা দিয়েছিল সেই উত্তর। হয়তো আর বলতে হবে না, উত্তরটা কি ছিল!

শুধু দায়িত্ব আর সামাজিকতা নিয়ে পার করা জীবনের ওজন আজ আর বহন করতে পারেন না তিনি। তাই, অনেক ভেবে ডি /ভো /র্স /টা /ই বেছে নিয়েছেন।

বি /চ্ছে /দ হলো।

কেউ কাঁ 'দ 'লো না, কেউ আ 'ট 'কা 'তে আসলো না।

তবুও, ভেতরে কোথাও একফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল।
ভালোবাসাহীন জীবনেরও তো একটা শোক হয়।

image
Like
Comment
Share
Opekkha : অপেক্ষা
Opekkha : অপেক্ষা  
8 w

পাত্র পক্ষকে জু*তা*পে*টা না করে ভুল করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পি*টা*নো দরকার ছিল।

ঘটক বলেছিল আমার বোনকে দেখতে ছেলে আর ছেলের বাবা মা আসবে। আমরা সেই হিসাবেই আয়োজন করেছিলাম। পরে দেখি ছেলের সাথে আরও অনেকে এসেছে। সাথে কিছু বাচ্চাও আছে। বাবা আমায় আড়ালে ডেকে নিয়ে ১২ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বলল,

- “আবির, তাড়াতাড়ি বাজারে যা। খাসি মাংস, মুরগীর মাংস, যা যা লাগে সব কিনে নিয়ে আয়।

আমি আমার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাজারে গেলাম। সবকিছু কিনলাম শুধু খাসির মাংসটা কেনা হলো না। একে তো বৃষ্টি তার উপর গ্রামের ছোট একটা বাজার। তাই ওখানে খাসির মাংস সব সময় পাওয়া যায় না। বাবাকে যখন ফোনে বললাম, বাজারে কোথাও খাসির মাংস পেলাম না তখন বাবা বললো, “যেভাবে পারিস খাসির মাংসের ব্যবস্থা কর। তা নাহলে আমার সম্মান থাকবে না”

বাইকে করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গেলাম থানার কাছে বড় বাজারে। মাংস কিনে বাড়ি পৌছাতে একটু দেরি হয়ে গেল। বাবা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, দেরি করলি কেন?

এতো অল্প সময়ে এগুলো রান্না করবে কিভাবে?”

এই বৃষ্টির দিনেও বাবা ঘামছেন। চোখে মুখে বাবার ভয়ের ছাপ স্পট বুঝা যাচ্ছে। আমার শিক্ষক বাবাকে এতোটা আসহায় আগে দেখি নি।

আমি বললাম,-আপনি চিন্তা করবেন না। সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আপনি উনাদের সাথে বসে বসুন।

মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করার জন্য আমার বোন রান্নাঘরে ঢুকতেই মা বাধা দিয়ে বললো,

- “তুই কেন রান্নাঘরে এলি? ষ রুমে যা। গিয়ে তৈরি হয়ে নে।

বোন বললো, “মা তুমি পারবে না একা হাতে এতোকিছু সামাল দিতে। আমি একটু সাহায্য করি?”

মা বললো, “আমি পারবো একা সামাল দিতে। তুই তৈরি হয়ে থাক। ওরা কখন না কখন মেয়ে দেখতে চাইবে”

আমি ছেলে মানুষ রান্নার এতো কিছু বুঝি না। তবে এটা ওটা কেটে দিয়ে মাকে যতটুকু পারি সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম। কেউ চায়ে চিনি খায় না, কারো বা চায়ে চিনি কম হয়ে গেছে। কেউ সিগারেট খাবে তাকে সাথে নিয়ে সেইভ জায়গায় যাওয়া। সাথে আসা বাচ্চাদের দেখাশোনা করা এইসব করতে গিয়ে আমার ছোট ভাইটাও দেখি ক্লান্ত হয়ে গেছে।

৫ মিনিট পর পর বাবা রান্না ঘরে এসে মাকে বলে, “কি গো রান্না কত দূর হলো?”

কপালে জমে থাকা ঘামটা মা আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে বলে, “এইতো হয়ে গেছে আরেকটু”

রান্না হয়ে গেলে খাওয়ার পর্ব শুধু। আমি আর বাবা নিজ হাতে সবাইকে পরিবেশন করছিলাম। বাবা বারবার বিনয়ের সহিত বলছিলো, “ জানি না রান্না কেমন হয়েছে। কোন ভুল ক্রটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?”

উনাদের খাবার খাওয়ার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছিলো উনারা তিন বেলায় ফাইভ স্টার হোটেলে কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার খান। এখানে হাত দিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে বলে উনারা কিছুটা বিরক্ত। উনারা যত খাবার খেয়েছে তার চেয়ে বেশি নষ্ট করেছেন।

বাচ্চা খাচ্ছে না বলে বাচ্চার মা ধমক দিয়ে বলে, “ এই তুমি খাচ্ছো না কেন? এই নাও মাংস”

বাচ্চা বলে, “আমি খাবো না”

বাচ্চার মা বলে, “ তোমাকে খেতেই হবে এই নাও মাংস” এইবলে বাচ্চার প্লেটে পুরো বাটিই ঢেলে দেয়।

খাওয়ার পর্ব শেষে মেয়ে দেখানোর পর্ব শুধু। আমার অনার্স পাস করা বোনকে দেখাশুনা করে হাতের লেখা নিয়ে, শেষে পাত্রের মা আমার বাবাকে বললো,

“আসলে মেয়ে আমাদের পছন্দ হয় নি। আমরা আমাদের ছেলের জন্য একটা সুন্দরী মেয়ে খুঁজছিলাম।”

পাত্রের বড় বোন বললো, “ মেয়ে দেখছি কিছুটা খাটো তাছাড়া মেয়ের বয়সটাও একটু বেশি”

কথাগুলো শুনে আমার বড়বোন মাথা নিচু করে নিরবে চোখের জল ফেলছিলো। কেন জানি আমার আর সহ্য হচ্ছিলো না। আমি তাদের বললাম,

-কেন, আপনারা কি জনতেন না আমার বোন শ্যামলা। আমি তো ঘটককে আমার বোনের এডিট ছাড়া ছবি দিয়েছিলাম। তাছাড়া আপনারা কি জানতেন না আমার বোনের উচ্চতা ৫ফুট ২ ইঞ্চি আর আমার বোন অনার্স পাশ করেছে? আমি তো সবই ঘটককে বলেছি আগে থেকেই

পাত্রের জামাইবাবু আমতা আমতা করে বললো,

- “হ্যাঁ সবই জানতাম। তারপরেও এসেছিলাম সামনাসামনি একবার মেয়েকে দেখতে”

দাঁতের সাথে দাঁত চেপে রেখে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে বললাম,-সামনা-সামনি দেখলে কি হতো? আমার বোন তো আর শ্যামলা থেকে ফর্সা হয়ে যেতো না। তার উচ্চতাও বেড়ে যেতো না কিংবা তার বয়সও কমে যেতো না। তাহলে শুধু শুধু আপনারা এতো কষ্ট করে আসতে গেলেন কেন?

পাত্রের বড় বোন কিছুটা রেগে বললো,

“ আমরা মেয়ে দেখতে এসেছি বলে দোষ করে ফেলেছি নাকি?”

আমি বললাম, না আপনারা কোন দোষ করেন নি। ৩ জনের জায়গায় ১৫ জন এসেছেন এতে আপনাদের দোষ হয় নি, খাবার খাওয়ার চেয়ে নষ্ট করেছেন বেশি এতেও আপনাদের দোষ হয় নি। আপনারা ছেলের জন্য ফর্সা, লম্বা, কম বয়সী মেয়ে খুঁজছেন। যার কোনটাই আমার বোনের মধ্যে নেই। সেটা জানার পরেও আপনারা এখানে এসেছেন এতে আপনাদের দোষ হয় নি। দোষ তো করেছে আমার বাপ মা। উনারা কেন শ্যামলা মেয়ে জন্ম দিলো। দোষ করেছে আমার বোন। কেন সে আপনাদের অপমান নিরবে সহ্য করলো। দোষ তো করেছি আমি। কেন এখনো পায়ের জুতা গুলো হাতে তুলে নিই নি…

আমার কথা শুনে বাবা আমার গালে থাপ্পড় মেরে আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনাদের কাছে মাফ চাইলো। সবাই চলে গেলে বাবা আমার কাছে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, “ যেদিন নিজে মেয়ের বাবা হবি সেদিন বুঝবি মেয়ের বাবাদের কত কি সহ্য করে নিরব থাকতে হয়”

রাতে বোনের রুমে গিয়ে দেখি সে এখনো কান্না করছে। ১৫ জন মানুষের সামনে যখন একজন মেয়েকে রিজেক্ট শব্দটা শুনতে হয় তখন অপমানে চোখে জল আসবেই। ছোট ভাইটা ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুধু ডাল মেখে ভাত খাচ্ছে অথচ কিছুক্ষণ আগেও রোস্ট, খাসির মাংস, মাছ ভাজা সব রান্না হয়েছে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টিতে ভেজা টিশার্টটা শরীরেই শুকিয়ে গেছে।

আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ এখনো দলবল নিয়ে মেয়ে দেখতে যায়। তারপর কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে, মেয়ে পছন্দ হয় নি বলে, বুক ফুলিয়ে চলে আসে। অথচ একটি বার‌ও ভেবে দেখে না ১০জনের সামনে যে মেয়েটাকে রিজেক্ট করা হলো সেই মেয়েটা কতটা কষ্ট পেতে পারে। ২জনের কথা বলে ১০জন গিয়ে যখন হাজির হয় তখন মেয়ের পরিবারের মানুষজন কতটা বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে পারে।

বিয়ের কথাবার্তা চলাকালীন মেয়েকে আলাদা ভাবে আপনি নিজে একবার দেখুন। যদি মেয়েকে দেখে আপনার পছন্দ হয় তাহলে বাবা-মা আর সাথে দুএকজন মুরব্বি নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যান।

image
Like
Comment
Share
Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha  
8 w

এই সুন্দর খুদে হাতিটি তখন আখ চিবিয়ে একেবারে মগ্ন! আহা, কী মজা করে কচি আখ চিবুচ্ছিলো… ঠিক তখনই হঠাৎ ধরা পড়ে গেলো কারও নজরে!
তড়িঘড়ি করে চারপাশে তাকিয়ে একটা সরু খুঁটি দেখে ওর বুদ্ধিতে খেলে গেলো এক দুষ্টু বুদ্ধি—খুঁটির পিছনে গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়লো, যেন নিজেকে লুকিয়ে ফেলেছে পুরোপুরি!

ভাবটা এমন,
"আমি তো আর নেই… আমি তো একেবারেই অদৃশ্য!
কেউ-ই আমাকে দেখতে পাচ্ছে না!"

ছোট্ট এই অভিনয়ে মিশে আছে এক চিলতে শিশুসুলভ সরলতা আর একরাশ মজা।
পৃথিবীটা বড্ড সুন্দর, যখন এমন নিষ্পাপ প্রাণগুলো আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়… 💚🐘

image
Like
Comment
Share
Showing 625 out of 18901
  • 621
  • 622
  • 623
  • 624
  • 625
  • 626
  • 627
  • 628
  • 629
  • 630
  • 631
  • 632
  • 633
  • 634
  • 635
  • 636
  • 637
  • 638
  • 639
  • 640

Edit Offer

Add tier








Select an image
Delete your tier
Are you sure you want to delete this tier?

Reviews

In order to sell your content and posts, start by creating a few packages. Monetization

Pay By Wallet

Payment Alert

You are about to purchase the items, do you want to proceed?

Request a Refund