Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha

Sirazum Munir Toaha

@smtbdofficialpage

এটি একটি গার্টার সাপ (যাকে অনেকে ভুল করে ভয়ংকর "নোপ রোপ" ভাবেন) — কিন্তু সে আপনার শত্রু নয়, এবং সে আপনাকে আঘাত করতে পারে না। বরং সে আপনার বাগান বা উঠানকে অন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে। অনুগ্রহ করে তাকে মেরে ফেলবেন না। যদি সে ভুল করে আপনার ঘরে ঢুকে পড়ে, তাহলে আস্তে করে তাকে তুলে বাইরে ছেড়ে দিন।

গার্টার সাপ সাধারণত আশেপাশে থাকা উপকারী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয় কারণ তারা বিষহীন এবং ইঁদুর, পোকামাকড় ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও, তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।

গার্টার সাপ কেন উপকারী:

পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
গার্টার সাপ প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকামাকড়, ইঁদুর ও ছোট প্রাণী শিকার করে যা বাগান বা উঠানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

বিষহীন:
গার্টার সাপ মানুষ বা গৃহপালিত প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক নয়, তাই এদের আশেপাশে থাকাটা নিরাপদ।

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করে:
তারা প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খলের অংশ এবং শিকার ও শিকারির মধ্যে ভারস্যমূলক ভূমিকা পালন করে।

গার্টার সাপ সাধারণত শান্ত প্রকৃতির হয় এবং কিছু প্রজাতি খুবই সহজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই, গার্টার সাপ দেখলে ভয় না পেয়ে, তাকে প্রাকৃতিক বন্ধুর মতো সম্মান দিন।

image

বিশ্বের প্রথম সামরিক সাবমেরিন দেখুন ইতিহাস

১৭২১ সাল। রাশিয়ার এক ছুতার, ইয়েফিম নিকোনভ, তার হাতে কাঠের টুকরো আর মাথায় বিপ্লবী এক ধারণা নিয়ে হাজির হলেন পিটার দ্য গ্রেটের দরবারে। যুদ্ধ তখন শুধুই স্থল ও জলপৃষ্ঠে সীমাবদ্ধ। কিন্তু নিকোনভের কল্পনা ছুটে গিয়েছিল সমুদ্রের গভীরে—সেখানে, যেখানে শত্রু কখনো কল্পনাও করেনি আক্রমণের।

নিকোনভের নকশা ছিল এক অদ্ভুত কাঠের ব্যারেল, দেখতে অনেকটা দৈত্যাকার সাকো বা কসাইয়ের কড়াইয়ের মতো, যার পেটে ছিল আগুন ছুঁড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা—এক ধরনের আদিম ফ্লেমথ্রোয়ার। এর সঙ্গে ছিল পানির নিচে ঢুকতে ও বের হতে একটি এয়ারলক, যেন জলের নিচে গিয়ে শত্রুর জাহাজে চুপিচুপি বিস্ফোরণ ঘটানো যায়।

পিটার দ্য গ্রেট তো মুগ্ধ! তিনি অনুমোদন দিলেন, তহবিল দিলেন, নির্মাণও শুরু হলো। ১৭২৪ সালে এল সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত—পরীক্ষামূলক ডাইভ। কিন্তু প্রকৃতি ছিল নির্মম। ব্যারেল-আকৃতির সেই সাবমেরিন ডুবে গেল। নিকোনভ ও তার সঙ্গীরা প্রাণে বাঁচলেও, স্বপ্নটা পানিতে তলিয়ে গেল।

নিকোনভ থেমে যাননি। তিনি আরও নকশা তৈরি করেন, আরও চেষ্টা চালান। কিন্তু ১৭২৫ সালে পিটার মারা গেলে সব বদলে যায়। নতুন সরকার আর আগ্রহ দেখায় না। বরং নিকোনভের বিরুদ্ধে ওঠে তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ। ইতিহাসের পাতা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান এই দুর্ধর্ষ উদ্ভাবক।

তবু, ইতিহাস সব ভুলে না। যদিও নিকোনভের কাঠের সাবমেরিন সফল হয়নি, তার সাহসী চিন্তা এক নতুন দিগন্তের দ্বার খুলে দেয়। সেই দিগন্তেই ১৭৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধে ডেভিড বুশনেলের "টার্টল" প্রথম কার্যকর সাবমেরিন হিসেবে আবির্ভূত হয়।

নিকোনভের কাঠের ব্যারেল তাই কেবল একটি ব্যর্থতা নয়—এটি ছিল একটি সূত্রপাত, সমুদ্রের তলদেশে যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম অধ্যায়।

image

ধুম*পান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুম*পান বাবদ জমানো টাকা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা!

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শাহিন নামের এক ভদ্রলোক। ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি স্ত্রীকে কথা দেন, তিন আর ধুম*পান করবেন না।

স্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, "সিগা*রেট কেনার পেছনে প্রতিদিন আপনার কতো টাকা খরচ হয়?"

শাহিন জবাব দেন, "কোনোদিন ৫০ টাকা, কোনোদিন ১০০ টাকা, কোনোদিন ১৫০ টাকা।"

স্ত্রী পরামর্শ দিলেন, "ঠিক আছে, এখন থেকে আপনার সিগা*রেট কেনার খরচ আমার কাছে জমা রাখবেন। ঠিক আছে?"

সেই থেকে টাকা জমানো শুরু।

৭ বছর পর সঞ্চিত অর্থ ভেঙ্গে দেখা গেলো মোট ২,৪৫,০৯৫ টাকা হয়েছে। এই সাত বছর জনাব শাহিন যে টাকাগুলো ব্যয় করতেন সিগা*রেট কেনার পেছনে, সেই টাকা জমিয়ে রাখায় একসাথে এতো টাকা হয়েছে।

টাকাগুলো তিনি তার সন্তানদের পড়ালেখার পেছনে ব্যয় করবেন বলে জানান।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল... কবিতার মতো দেখা যায় জনাব শাহিনের জমানো টাকা তার কাছে অনেকটা মহাদেশ, সাগরের মতো হয়ে গেছে।

যেকোনো বদ* অভ্যাস ত্যাগ করার পর সেই অভ্যাসের পেছনে আগে যতো টাকা খরচ হতো, সেগুলো জমানো শুরু হলে একসময় মোটা অংকের টাকা হয়ে যাবে। জনাব শাহিনের গল্প সিগা*রেট খোরদের জন্য যেমন শিক্ষণীয়, সাধারণ মানুষের জন্যও শিক্ষণীয়।

image

বিয়ের আগে VS বিয়ের পরে!
যার সাথে মিলে গেছে তাকে মেনশন করে দিন!

image

লন্ডন থেকে স্কটল্যান্ডগামী একটি বিমানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির অস্থির আচরণ এবং মুসলিম সেজে আতঙ্ক সৃষ্টি করার ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সকালে লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগো অভিমুখী ইজি-জেট ফ্লাইটের এই ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে আটক হন ৪১ বছর বয়সী অভয় নায়েক।

অভয় নায়েক, যিনি বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা, বিমানে হঠাৎ করে চিৎকার করে বলছিলেন, “আমেরিকার মৃত্যু হোক,” “ট্রাম্পের মৃত্যু হোক,” এবং “আল্লাহু আকবার।” তার এমন উক্তি এবং আচরণে বিমানের সহযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, এমনকি অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে এটি কোনও আত্মঘাতী হামলা কিংবা জঙ্গি তৎপরতা হতে পারে।

গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর, বিমানের পাইলট জরুরি অবতরণ করেন এবং অভয় নায়েককে পুলিশে সোপর্দ করেন। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্কটল্যান্ড পুলিশ তা পর্যবেক্ষণ করছে।

এদিকে, অভয়ের বিরুদ্ধে “Air Navigation Order” এর আওতায় বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং সহযাত্রীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, আদালতে হাজির হলেও তিনি কোনো দোষ স্বীকার করেননি এবং তাকে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা এই ঘটনার মাধ্যমে ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুসলিম নিপীড়নের বিষয়টি পুনরায় উত্থাপন করেছেন। তাদের মতে, অভয়ের আচরণ শুধু একটি বিচ্ছিন্ন মানসিক রোগীর ঘটনা নয়, বরং এটি ভারতীয় সমাজে চলমান উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষের এক প্রতিফলন হতে পারে। ভারতের সাম্প্রতিক মুসলিম বিরোধী রাজনীতি, যেমন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, গোহত্যার গুজবে গণপিটুনির ঘটনা, এবং অন্যান্য সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে এই বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির মুসলমানদের দিকে বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি তো নতুন কিছু নয়। তাই অনেকেই ধারণা করছেন এটি মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে মুসলমানদের খারাপ বানাতে মোদি নিজেই সাজিয়েছেন সেই ভারতীয় হিন্দু ব্যক্তিকে দিয়ে।

এই ঘটনা আবারও একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে—বিশ্বব্যাপী উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় বিদ্বেষের বিষক্রিয়া কেবল নিজ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় কট্টর ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা। অভয়ের আচরণ হয়তো একক ঘটনা হিসেবে দেখা হতে পারে, কিন্তু এর মধ্যে যে আদর্শিক বিপন্নতা রয়েছে, তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

image