Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha

Sirazum Munir Toaha

@smtbdofficialpage

নিজের ব্যক্তিগত জীবন অফলাইনে রাখা vs সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত শেয়ার করা -

বদনজর সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখ আছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “বদনজর সত্য; যদি কোনো কিছু তাকদীরের (ভাগ্য) আগেই কাউকে ধ্বংস করতে পারত, তাহলে বদনজরই ধ্বংস করত” - (মুসলিম ৫৮৪০)

এছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু বদ নজর লাগার দ্বারা হবে” - (মুসনাদে বাযযার)

image

মিডিয়ায় দেখলাম আহমেদাবাদে বেশি জ্যামের কারণে ম ১০ মিনিটের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান্টি মিস করেন ভারতের ভুমি চৌহান।

লন্ডনে রওনা দিয়েছিলেন ভারত থেকে। তার হাজবেন্ড সেখানেই থাকে, তার কাছেই যাচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু এই ১০ মিনিটের লেট হতে পারে তাকে বাচিয়ে দিয়েছেন।

নিশ্চই তিনি ফ্লাইট মিস করে অনেক আফসোস করছিলেন। কপালকে গালাগাল ও দিচ্ছিলেন!
নিশ্চই বিমান বিদ্ধস্ত হওয়ার খবর পেয়ে নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ ভাবছিলেন আবার।
প্লেনের ২৪১ জন মারা গেছে।

হয়ত ১০ মিনিট লেট না করলে সেই প্লেনে উঠে যেতেন তিনি। হয়তো আর দুনিয়া দেখার সুযোগ নাও হতো।
কপাল।

দুনিয়াটা অনেক্ষেত্রে এমনই। মনে হবে এটা পেলে ভালোই হতো। কিন্তু না পেলে হয়তো আরো ভালো হয়েছে সে খবর আমরা ক জন রাখি..

অনেকের জন্য রাইট টাইম আল্লাহ তার মতো করে সেট করে রাখসে। তুমি মনে করতেসো লেট হচ্ছে। কিন্তু হতে পারে এই লেট টা তোমার জন্য ভালো প্ল্যান করেই রাখসে উনি।

Collected Post

image

এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল এক জীবনের স্বপ্ন। সব ভালোবাসা, সব আশাবাদ, সব পরিকল্পনা মুছে গেল। একটি পুরো পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ—সব ছাই হয়ে গেল।

জীবন কতটা ভঙ্গুর, কতটা অনিশ্চিত—এটাই আবার মনে করিয়ে দিল।

জীবন ভীষণ হঠাৎ, আর ভীষণ ক্ষণিক।
তাই যতক্ষণ ভালোবাসার মানুষ পাশে আছেন, ধরে রাখুন।
জীবনের জন্য অপেক্ষা করবেন না—যতটা পারেন, এখনই বাঁচুন।

কারণ কাল বলে কিছু হয়তো নেই।

image

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের জিমেইল, ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ পর্যন্তও করছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই চৌদ্দগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি। আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা পাটিতে বা পিঁড়িতে বসে ভাত খেয়েছি আর পিরিচে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ সুরুৎ শব্দে।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে কানামাছি, বাঘবন্দি, ডাঙ্গুলি, দাড়িয়াবাধ, গোল্লাছুট, মার্বেল, হামকে পুলিশকে খেলেছি, বউলার আঠা দিয়ে কাগজের ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছি, নাড়া (খড়/বিচালি), জাম্বুরা ইত্যাদি দিয়ে ফুটবল বানিয়ে খেলেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা হ্যারিকেন আর কুপি বাতির আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত থেকে শুরু করে পাখার ডাঁটির মার খেয়েছি, খাটের নিচে বা কাঁথার মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েছি দস্যু বনহুর, কুয়াশা, মাসুদ রানা, স্বপন কুমারের সিরিজ।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রিজ, গ্যাস, মাইক্রোওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই ছোটবেলা কাটিয়েছি। আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ঈগল, ইকোনো, রেডলিফ থেকে শুরু করে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে সেই হাত মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাং পেন দেখেছি আর নতুন বই-খাতার হাতে পেয়ে পাতা উল্টানোর আগে গন্ধ শুঁকেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, স্কুলে টিচারের হাতে বেতের বারি খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে সেকেন্ড রাউন্ড ফ্রি-স্টাইলে উত্তম মধ্যম সহ্য করেছি — দোষ তো আমাদের, নাহলে টিচার মারবেন কেন?

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা বড়দের সন্মান করেছি এবং এখনো করে যাচ্ছি। আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা জোৎস্না রাতে ছাদে ট্রানজিস্টরে বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকার খবর, অনুরোধের আসর গানের ডালির শেষ সাক্ষী।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা টেলিভিশনে আলিফ লায়লা, ম্যাকগাইভার, টিপু সুলতান, মিস্টার বিন, টম এন্ড জেরি, রবিনহুড, সিন্দবাদ দেখার জন্য ছাদে উঠে অ্যান্টেনা ৩৬০° ঘুরিয়ে স্যিগনাল ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের ছিল বাঁশের আগায় অ্যান্টেনা, আর ছিল টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিরঝিরে ছবি, তাতে কোনো সমস্যাই হতো না, কারণ ওটা আমাদের জীবনের অঙ্গ হিসেবেই ধরা ছিল। গন্ডগোল যা পাকাতো তা হলো নিয়ম করে লোডশেডিং।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করেছি। ইচ্ছে করে একসাথে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছি, ঝিনুক দিয়ে কাটার বানিয়ে আম কেটে খেয়েছি, ম্যাচের বাক্স দিয়ে টেলিফোন বানিয়ে বন্ধুদের সাথে কথা বলেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা সাইকেলের টায়ার, বেয়ারিং এবং সুপারির খোলা দিয়ে গাড়ি বানিয়ে চালিয়েছি, গুলতি নিয়ে নিরিখ প্র্যাকটিস করে বেড়িয়েছি, দুপুরে একসাথে পুকুরে ঝাঁপিয়ে গোসল করেছি। আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা প্রতিদিন সূর্য ডোবার আগে বাড়িতে ঢুকেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা ঈদ বা দুর্গাপূজায় শুধু একটা নুতন জামার জন্য বাবার মুখের দিকে চেয়ে থেকেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা রাস্তাঘাটে স্কুলের স্যারকে দেখামাত্র সেখানেই সাইকেল থেকে নেমে নির্দ্বিধায় সালাম বা নমস্কার করেছি।

আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা এখনও বন্ধু খুঁজি, কারণ জীবনের চলার স্রোতে আমরা হারিয়ে ফেলেছি জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

image

(একটি ছেলেকে বলা এক বাবার হৃদয়ছোঁয়া কথা)

🤵‍♂️ বাবা ছেলেকে বললেন:

> “আগে নতুন বউকে গরুর গাড়ি নয়, পালকিতে করে আনা হতো — জানিস কেন?
যাতে সবাই বুঝে নেয়, একজন রাজরানিকে আনা হচ্ছে, সাধারণ কাউকে নয়।
পালকি থেকে নামার পরেও সে যেন সারাজীবন এই সম্মানেই থাকে —
এটা তোর দায়িত্ব।”

👰‍♀️ “তুই জানিস, নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে?
সে কাঁদে।

কার জন্য কাঁদে?
শুধু ফেলে আসা মা-বাবার জন্য না,
সে কাঁদে অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে।

তোর কাজ হলো —
এই কান্নাই তার জীবনের শেষ কান্না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।”

😢 “এরপর সে কাঁদবে মাত্র দুইবার:
১️⃣ মা হওয়ার আনন্দে,
২️⃣ তুই মারা গেলে, তোর শোকে।

মাঝখানে যত দুঃখ আসবে,
তুই হবে তার চোখের অশ্রুমুছনো হাত।”

🗣️ “জানিস, বউ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় কিসে?
স্বামীর খারাপ ব্যবহারে।

আমি খুব রাগী,
তবু কখনো তোর মায়ের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলিনি।
বিয়ে মানে একটা মেয়ের জীবনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া।
এ দায়িত্ব ভুলে গেলে, সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।”

🙏 “আরেকটা কথা মনে রাখিস —
তোর বউয়ের মা-বাবাকে কখনো ‘শ্বশুর-শাশুড়ি’ বলিস না,
মা-বাবা বলিস।
তুই যেমন বলবি, তোর বউ তেমনই শিখবে।
ভালোবাসা শেখানো শুরু হয় নিজের ব্যবহার দিয়ে।”

⚖️ “সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখেন।
তোর পাল্লায় তুই যা দিবি,
তিনি তাঁর পাল্লায় ঠিক তাই দিবেন।”

---

❤️‍🔥 বিয়ে মানে শুধু দু’জন মানুষের বন্ধন নয়,
এটা একে অপরের চোখের জল মুছে ফেলার চুক্তি।

📌 যদি বাবার এই উপদেশ ভালো লেগে থাকে,
শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন — হয়তো কোনো এক ছেলের চোখ খুলে যাবে আজ।

image