Sirazum Munir Toaha
Sirazum Munir Toaha

Sirazum Munir Toaha

@smtbdofficialpage

নিক ভুজিসিক একটি বিরল শারীরিক অবস্থা, "টেট্রা-অ্যামেলিয়া সিনড্রোম" নিয়ে জন্মেছিলেন — যার কারণে তিনি হাত-পা ছাড়াই পৃথিবীতে আসেন। চিকিৎসকেরা তাঁর বাবা-মাকে খুব কম আশার কথা বলেছিলেন। শৈশবে তিনি বুলিং, হতাশা, এমনকি আত্মহত্যার চিন্তার মতো ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু নিজের প্রতিবন্ধকতাকে জীবনের সংজ্ঞা বানানোর পরিবর্তে, নিক তাঁর জীবনকে রূপান্তরিত করেছেন উদ্দেশ্য, দৃঢ়তা ও প্রভাবের এক অসাধারণ যাত্রায়।

আজ তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার, যিনি ৭০টিরও বেশি দেশে ৮ মিলিয়নের বেশি মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি লেখক, চিত্রশিল্পী, সাঁতারু, স্কাইডাইভার, ড্রামার, এবং “লাইফ উইদআউট লিম্বস” নামে একটি অলাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। বৈশ্বিক সাফল্যের বাইরে, তিনি একজন স্বামী ও চার সন্তানের পিতা— অবশেষে এটিই প্রমাণিত হয় যে, ভালোবাসা ও পরিপূর্ণতা কখনোই শারীরিক সীমাবদ্ধতার দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয় না।

image

চুল পড়া থামাতে চান? রসায়নের জাদু লুকিয়ে আছে পেঁয়াজের রসে—প্রকৃতি আর বিজ্ঞানের মিশ্রনে আছে চুল গজানোর এক অনন্য রহস্য! 🧅💇‍

চলুন এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই, লেখা আর ছবি যদি আপনাদের পছন্দ হয় তাহলে রসায়ন এর সাথে থাকবেন 🙏।

পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল গজায়—এটা অনেকের কাছে কেবল ঘরোয়া উপায় মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে রসায়নের সুন্দর ব্যাখ্যা। আমাদের চুল মূলত কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন দিয়ে তৈরি। কেরাটিনকে শক্ত ও সুস্থ রাখতে সালফার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর সালফার যৌগ, যেমন অ্যালিসিন, ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড ইত্যাদি, যা নতুন কেরাটিন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং চুলকে মজবুত করে।

এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে কুয়ারসেটিনসহ বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো আমাদের মাথার ত্বকে জমে থাকা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল বা Reactive Oxygen Species (ROS) কে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফ্রি র‌্যাডিক্যাল চুলের ফলিকলকে দুর্বল করে, ফলে চুল পড়তে শুরু করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে ফলিকল আবার সক্রিয় হতে পারে এবং চুল গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার যৌগ catalase এনজাইম সক্রিয় করে। এই catalase মাথার ত্বকে জমে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H₂O₂) ভেঙে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড জমে থাকলে চুল অকালে সাদা হয়ে যায় এবং ফলিকল দুর্বল হয়। তাই পেঁয়াজের রস এভাবে চুলকে সাদা হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষা করতে পারে।

শুধু তাই নয়, পেঁয়াজের রসের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। এতে খুশকি ও অন্যান্য সংক্রমণ কমে, যা পরোক্ষভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

তবে মনে রাখতে হবে, পেঁয়াজের রস সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। কারো ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়, আবার কারো ক্ষেত্রে তেমন পরিবর্তন দেখা নাও যেতে পারে। তবুও রসায়নের দিক থেকে ব্যাখ্যা করলে বোঝা যায়, পেঁয়াজের রসে এমন উপাদান রয়েছে, যা চুলের জন্য উপকারী হতে পারে।

image

জানুন এক মহাকাশচারীর অজানা কাহিনী

ভাবুন, আপনি পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে, চারদিকে শুধু অসীম মহাশূন্য।
দিনে ১৬ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছেন, অথচ ৩১১ দিন ধরে কারও সাথে যোগাযোগ নেই!
ঠিক এমনই ভয়ংকর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলেন সোভিয়েত মহাকাশচারী সের্গেই ক্রিকালেভ।

১৯৯১ সালে রুটিন মিশনে মাত্র ৫ মাসের জন্য মির স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু পৃথিবীতে শুরু হয় রাজনৈতিক ঝড়—ভেঙে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন, জন্ম নেয় নতুন রাশিয়া।
দেশটাই যখন মানচিত্র থেকে উধাও, তখন ক্রিকালেভও হয়ে গেলেন নাগরিকবিহীন এক মানুষ।
ফলাফল?
কেউ তাকে ফেরাতে দায়িত্ব নিল না। খাবার কমে আসছে, অক্সিজেন ফুরোচ্ছে,
তবুও তিনি একা ঘুরে চলেছেন—৫,০০০ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ!

অবশেষে দীর্ঘ ৩১১ দিনের নিঃসঙ্গ লড়াই শেষে ১৯৯২ সালের মার্চে ফিরে আসেন তিনি।
কিন্তু ততদিনে শরীর-মন দুটোই বদলে গেছে।
মাসের পর মাস লেগেছে স্বাভাবিক হতে। তবুও হাল ছাড়েননি—
পরবর্তীতেও বহুবার মহাকাশে গিয়েছেন এই সাহসী মানুষটি।

🚀 আজও সের্গেই ক্রিকালেভকে বলা হয় “The Last Citizen of the Soviet Union”—
যিনি পৃথিবীর বাইরে থেকেও ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিলেন।

image

ছবিটিতে একজন বাবাকে দেখা যাচ্ছে যিনি তার সন্তানের মাথার ক্ষতের মতো একইরকমের একটি ট্যাটু করিয়েছেন। ক্যাপশন অনুযায়ী, শিশুটির মাথায় একটি 'কুৎসিত' দাগ ছিল, তাই তার বাবা নিজের মাথায় একই আকারের ট্যাটু করিয়েছেন যাতে শিশুটির সাহস বাড়ে।

এই ছবিটি প্রায়শই ইন্টারনেটে শেয়ার করা হয় এবং এটি বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্কের গভীরতা এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক দারুণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

image

ক্রোয়েশিয়ার ডালমাশিয়া অঞ্চলে রয়েছে এক অনন্য জলাশয়, যাকে বলা হয় “Eye of the Earth” বা পৃথিবীর চোখ। এটি মূলত সেতিনা নদীর উৎস।

উপরে থেকে এটি দেখলে মনে হয় পৃথিবীর বুকের ওপর একটি বিশাল নীলচে চোখ খোদাই করা আছে। গভীর নীল কেন্দ্রকে ঘিরে সবুজাভ পানির বৃত্ত একে চোখের আকৃতি দিয়েছে। আবার অনেকেই এটা দেখে মানব শরীরের বিশেষ অঙ্গের সাথে তুলনা করে।

এটির গভীরতা অন্তত ১১৫ মিটার হিসাবে ধরা হয়, তবে প্রকৃত গভীরতা এখনো পুরোপুরি মাপা যায়নি। পানির রঙ কখনো গাঢ় নীল আবার কখনো টারকয়েজ সবুজে ঝলমল করে।

এটি ডিনারা পর্বতমালার পাদদেশে, ছোট্ট গ্রাম সেতিনার কাছে অবস্থিত। এখান থেকেই সেতিনা নদীর যাত্রা শুরু হয়, যা পরে এড্রিয়াটিক সাগরে গিয়ে মিশেছে।

image