বারবার শুধু বাচ্চাটির চোখদুটোর দিকে তাকাচ্ছি আর পাশের ছেলেটার পৈশাচিক আনন্দ দেখছি।
একজোড়া জুতা চু'রি করার অপরাধে বাচ্চাটির গলায় জু'তার মালা পড়িয়ে ঘুরিয়েছে বাজারের লোকজন!
কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন, এই বাচ্চাটি কেন এই কাজে নিজেকে জড়ালো?
এখনকার বেশিরভাগ অভাবগ্রস্ত পরিবার, সমাজ ব্যবস্থা আর নির্দিষ্ট কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা এই বাচ্চা শিশুদের দিয়ে এই অপকর্মগুলো চালিয়ে থাকে। তারা ছোটো থেকেই এইগুলো তাদের শিক্ষা দিয়ে থাকে। মনে রাখবেন, একটা শিশু কিন্তু জন্মের পর থেকে চো'র হয়ে জন্মায় না, তাদের কে এইভাবে বানানো হয়।
দ্যা মামলা ম্যান ! 😂
এই লোক জীবনে এতো মামলা করেছে এতো মামলা করেছে যে শুধু মামলা করেই কোটিপতি হয়ে গেছে ! নিজের মা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বুশের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে এই পাগলা! 😁
নাম জোনাথন লি থাকে আমেরিকায় ! এ পর্যন্ত ২৬০০টি মামলা করেছেন।
প্রথম জীবনে তিনি মামলা দায়ের করেছিলেন নিজের মায়ের নামে।অভিযোগ করেছিলেন তার প্রতি অবহেলা করেছেন মা। সেই মামলায় জিতে জোনাথন ২০ হাজার মার্কিন ডলার পান।
তারপর থেকে মামলা শুরু
জোনাথন মামলা দায়েরের জন্য বেছে নেন বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন, পুলিশ অফিসার, প্রতিবেশী, হবু স্ত্রী, কোর্টের বিচারককেও। এমনকি জর্জ ডব্লিউ বুশের নামেও মামলা ঠুকেছেন জোনাথন।
এখন পর্যন্ত যেসব মামলায় জিতেছেন সেইগুলোর থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আয় করেছেন ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৭ কোটি ৯০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মামলা করায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম ওঠে জোনাথনের । কাহিনী কি হয়েছে এই পাগলা গিনেস বুকের বিরুদ্ধেও মামলা ঢুকে দিয়েছে - অভিযোগ করেছিলেন, অনুমতি ছাড়াই রেকর্ডসে লেখা হয়েছে তার নাম ! এই মামলাতে জিতে ৫০ হাজার ডলার বা ৫৪ লাখ টাকা পায় ।🤣🤣🤣
এখন চিন্তায় আছি এই পোস্টের জন্যে আবার মামলা খাই নাকি !
২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়া কলোরাডোর এক যুগলকে আট বছর পর পাওয়া গেল পরিত্যক্ত উটাহ খনিতে বসা অবস্থায়।
এক দশক ধরে পরিবার এবং কর্তৃপক্ষকে উদ্বিগ্ন করে রাখা এক রহস্যময় ঘটনার অবসান ঘটে ২০১৯ সালে, যখন কলোরাডোর দুই পর্যটক — ২৬ বছর বয়সী সারাহ বেনেট ও ২৮ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু মিলার — এর কঙ্কালাবশেষ পাওয়া যায় দক্ষিণ উটাহর একটি সিল করে দেওয়া ইউরেনিয়ামের খনির গভীরে। ২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের আর খোঁজ মেলেনি।
২০১১ সালের মে মাসে একটি শান্ত সাপ্তাহিক ক্যাম্পিং ট্রিপে গিয়েছিলেন তারা। প্রকৃতি ও ফটোগ্রাফির প্রতি ভালোবাসার জন্য পরিচিত এই যুগল তিন দিনের একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন, যেখানে তারা ঘুরে দেখতে চেয়েছিলেন নির্জন ও অতীত ইতিহাসে ঘেরা সান রাফায়েল সোয়েলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এই অঞ্চলটি পুরনো ইউরেনিয়াম খনি ও পাথুরে ক্যানিয়ন দিয়ে ভরা এক রুক্ষ মরুভূমি।
"তারা কোনো অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ছিল না," ২০২০ সালে দ্য ডেনভার পোস্ট-কে বলেছিলেন সারাহর বোন এমিলি বেনেট। "তারা শুধু একটু নির্জনতা খুঁজছিল, কাজ আর জীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকার জন্য।"
কিন্তু সারাহ ও অ্যান্ড্রু আর ফিরে আসেননি।
তাদের শেষ অবস্থান ছিল গ্রিন রিভার, উটাহর একটি গ্যাস স্টেশন, যেখানে তারা তাদের সুবারু আউটব্যাক গাড়িতে তেল ভরেন এবং এমেরি কাউন্টির একটি মানচিত্র কেনেন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ। হেলিকপ্টার, স্বেচ্ছাসেবক, কুকুর এবং ড্রোন ব্যবহার করে বিস্তৃত অনুসন্ধান চালানো হলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মরুভূমি যেন তাদের গিলে ফেলেছিল।
বছর পার হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়ে নানা গুজব— খুন, মাদক চক্র, এমনকি এলিয়েনদের সম্পৃক্ততার মতো তত্ত্ব— কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট সূত্র পাওয়া যায়নি।
এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে, ইউনিভার্সিটি অব উটাহর কয়েকজন ভূতত্ত্বের ছাত্র টেম্পল মাউন্টেনের কাছে একটি পুরনো ইউরেনিয়ামের খনি ঘাঁটতে গিয়ে এক ভয়ানক আবিষ্কার করেন।
খনির ভেতরে প্রায় ৩০০ ফুট ঢুকে তারা দেখতে পান দুটি পূর্ণ পোশাক পরিহিত কঙ্কাল পাশাপাশি দুটি মরিচা ধরা ভাঁজ করা চেয়ারে বসে আছে। পাশে পড়ে ছিল একটি ভাঙা ল্যান্টার্ন, একটি মরিচা ধরা থার্মোস, ও একটি পুরনো নিকন ক্যামেরা।
খনিটির ভেতরের অংশ ভেঙে পড়ে প্রাকৃতিকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যেটাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এক ধরনের "প্রাকৃতিক সমাধি", যা পুরো দৃশ্যটি সংরক্ষণ করেছিল।
দাঁতের রেকর্ড দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়— এরা সারাহ ও অ্যান্ড্রু।
তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে "অনির্ধারিত" হিসেবে চিহ্নিত!