ছবিতে যে লম্বা সাপের মতো প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, একে বলে ‘স্নেক ইল’। একবার একটি ‘গ্রেট ব্লু হেরন’ এই ইলটিকে জীবন্ত অবস্থায় গিলে ফেলে। এরপর উড়াল দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঘটে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা—সেই ‘স্নেক ইল’ হঠাৎ হেরনের বুক চিরে বেরিয়ে আসে!
এই চমকপ্রদ ও গা শিউরে ওঠা মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার স্যাম ডেভিস।
স্নেক ইল সাধারণত সমুদ্রের তলদেশের বালিতে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়। এর শক্ত ঠোঁট মূলত সেই খোঁড়াখুঁড়ির জন্যই ব্যবহার হয়। এবার সেই অস্ত্রই কাজে লাগিয়ে হেরনের পেট চিরে পালিয়ে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করে সে।
জীবনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে গিয়েছিল ইলটি, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবাক করা বিষয় হলো—বুকে গভীর ক্ষত নিয়েও হেরনটি তখনও আকাশে উড়ছিল!
এ ঘটনা থেকে যে শিক্ষা পাই৷
* যে জিনিস আমি পারবো না সেটা বর্জন করাই ভালো
* বেঁচে থাকার জন্যে জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
ছবিতে যে লম্বা সাপের মতো প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, একে বলে ‘স্নেক ইল’। একবার একটি ‘গ্রেট ব্লু হেরন’ এই ইলটিকে জীবন্ত অবস্থায় গিলে ফেলে। এরপর উড়াল দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঘটে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা—সেই ‘স্নেক ইল’ হঠাৎ হেরনের বুক চিরে বেরিয়ে আসে!
এই চমকপ্রদ ও গা শিউরে ওঠা মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার স্যাম ডেভিস।
স্নেক ইল সাধারণত সমুদ্রের তলদেশের বালিতে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায়। এর শক্ত ঠোঁট মূলত সেই খোঁড়াখুঁড়ির জন্যই ব্যবহার হয়। এবার সেই অস্ত্রই কাজে লাগিয়ে হেরনের পেট চিরে পালিয়ে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করে সে।
জীবনের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে গিয়েছিল ইলটি, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবাক করা বিষয় হলো—বুকে গভীর ক্ষত নিয়েও হেরনটি তখনও আকাশে উড়ছিল!
এ ঘটনা থেকে যে শিক্ষা পাই৷
* যে জিনিস আমি পারবো না সেটা বর্জন করাই ভালো
* বেঁচে থাকার জন্যে জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
ভারতের কেরালা-তামিলনাড়ুর সীমান্তের ইদুক্কির পাহাড়ঘেরা এলাকা, কাদুক্কাসিটি। ৮ জুন, রোববার সকালটা ছিল একদম নিরিবিলি। চিরাচরিতভাবেই কার্ডামম বাগানে দিন শুরু করেছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। হঠাৎ করেই কোথা থেকে যেন ভেসে এলো অদ্ভুত এক গর্জন আর কুকুরের চিৎকার। সবাই ছুট লাগাল সেই শব্দের উৎস খুঁজতে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তো তাদের চক্ষু চড়কগাছ!
একটা গভীর গর্তে আটকে আছে এক বিশাল বাঘ—আর তার পাশেই একটা কুকুর! এমন দৃশ্য সিনেমাতেও কল্পনা করা যায় না। মনে হতেই পারে—এখনই হয়তো বাঘটা থাবা মারবে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকার পরও বাঘটি একবারের জন্যও কুকুরটিকে আক্রমণ করেনি।
স্থানীয়দের ধারণা, বাঘটি পাহাড়ি বনের দিক থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল। সম্ভবত কুকুরটিকে ধাওয়া করছিল শিকার হিসেবে। দৌড়াতে দৌড়াতে দুটোই পড়ে যায় এক গভীর গর্তটিতে, যা বাগানের আবর্জনা ফেলার জন্য খোঁড়া হয়েছিল। প্রায় ১৫ ফুট গভীর সেই গর্ত থেকে কারোই বের হওয়া সম্ভব ছিল না।
বনের কর্মকর্তারা জানালেন, বাঘটি আনুমানিক দু’বছরের। হয়তো পেরিয়ার রিজার্ভ বা তামিলনাড়ু দিক থেকে ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছিল চাষাবাদের এলাকায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসে বন দফতরের টিম। প্রথমে তারা গর্তের মুখ ঢেকে দেয় লোহার গ্রিল দিয়ে—যাতে বাঘ অতর্কিতে উঠে আসতে না পারে। তারপর আসে পশু চিকিৎসকদের দল, নেতৃত্বে ছিলেন পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভের সহকারী ভেটেরিনারিয়ান ড. অনুরাজ।
প্রথমে বাঘকে ঘুমপাড়ানি ডার্ট দেওয়া হয়, কিন্তু পুরোপুরি কাজ না করায় দ্বিতীয়বার প্রয়োগ করা হয়। এরপর কুকুরকেও সাময়িকভাবে চুপ করিয়ে দেওয়া হয় ঘুমপাড়ানি ওষুধ দিয়ে, কারণ সে একটানা ঘেউ ঘেউ করছিল, যা বাঘকে উত্তেজিত করতে পারত।
দুজনকেই সাবধানে তোলা হয় গর্ত থেকে। কুকুরটি প্রায় অক্ষত ছিল। বাঘের মুখে কিছু কাঁটা লেগে ছিল—সম্ভবত কোনো শুয়োর বা সজারুর সঙ্গে লড়াইয়ে। সেগুলো সরিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বাঘটিকে র্যাবিস ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়, কারণ সে অনেকক্ষণ একটি অজানা কুকুরের পাশে ছিল।
কুকুর বেঁচে গেল কীভাবে? এটাই সবার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
দুই প্রাণী একসঙ্গে, একজন শিকারি, অন্যজন শিকার—তাও কিছুই ঘটল না? বন কর্মকর্তারা বলেন, ‘বাঘ তখন আতঙ্কে ছিল, ক্ষুধার্ত নয়। অনেক সময়, যখন বন্যপ্রাণী বিপদে পড়ে, তখন তারা আক্রমণাত্মক না হয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। এই বাঘটিও হয়তো কুকুরকে শত্রু নয়, একসাথে ফেঁসে যাওয়া সঙ্গী হিসেবেই দেখেছিল।’
ভারতের কেরালা-তামিলনাড়ুর সীমান্তের ইদুক্কির পাহাড়ঘেরা এলাকা, কাদুক্কাসিটি। ৮ জুন, রোববার সকালটা ছিল একদম নিরিবিলি। চিরাচরিতভাবেই কার্ডামম বাগানে দিন শুরু করেছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। হঠাৎ করেই কোথা থেকে যেন ভেসে এলো অদ্ভুত এক গর্জন আর কুকুরের চিৎকার। সবাই ছুট লাগাল সেই শব্দের উৎস খুঁজতে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তো তাদের চক্ষু চড়কগাছ!
একটা গভীর গর্তে আটকে আছে এক বিশাল বাঘ—আর তার পাশেই একটা কুকুর! এমন দৃশ্য সিনেমাতেও কল্পনা করা যায় না। মনে হতেই পারে—এখনই হয়তো বাঘটা থাবা মারবে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার, দীর্ঘ সময় একসঙ্গে থাকার পরও বাঘটি একবারের জন্যও কুকুরটিকে আক্রমণ করেনি।
স্থানীয়দের ধারণা, বাঘটি পাহাড়ি বনের দিক থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল। সম্ভবত কুকুরটিকে ধাওয়া করছিল শিকার হিসেবে। দৌড়াতে দৌড়াতে দুটোই পড়ে যায় এক গভীর গর্তটিতে, যা বাগানের আবর্জনা ফেলার জন্য খোঁড়া হয়েছিল। প্রায় ১৫ ফুট গভীর সেই গর্ত থেকে কারোই বের হওয়া সম্ভব ছিল না।
বনের কর্মকর্তারা জানালেন, বাঘটি আনুমানিক দু’বছরের। হয়তো পেরিয়ার রিজার্ভ বা তামিলনাড়ু দিক থেকে ঘুরতে ঘুরতে চলে এসেছিল চাষাবাদের এলাকায়।
খবর পেয়ে ছুটে আসে বন দফতরের টিম। প্রথমে তারা গর্তের মুখ ঢেকে দেয় লোহার গ্রিল দিয়ে—যাতে বাঘ অতর্কিতে উঠে আসতে না পারে। তারপর আসে পশু চিকিৎসকদের দল, নেতৃত্বে ছিলেন পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভের সহকারী ভেটেরিনারিয়ান ড. অনুরাজ।
প্রথমে বাঘকে ঘুমপাড়ানি ডার্ট দেওয়া হয়, কিন্তু পুরোপুরি কাজ না করায় দ্বিতীয়বার প্রয়োগ করা হয়। এরপর কুকুরকেও সাময়িকভাবে চুপ করিয়ে দেওয়া হয় ঘুমপাড়ানি ওষুধ দিয়ে, কারণ সে একটানা ঘেউ ঘেউ করছিল, যা বাঘকে উত্তেজিত করতে পারত।
দুজনকেই সাবধানে তোলা হয় গর্ত থেকে। কুকুরটি প্রায় অক্ষত ছিল। বাঘের মুখে কিছু কাঁটা লেগে ছিল—সম্ভবত কোনো শুয়োর বা সজারুর সঙ্গে লড়াইয়ে। সেগুলো সরিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে বাঘটিকে র্যাবিস ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়, কারণ সে অনেকক্ষণ একটি অজানা কুকুরের পাশে ছিল।
কুকুর বেঁচে গেল কীভাবে? এটাই সবার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
দুই প্রাণী একসঙ্গে, একজন শিকারি, অন্যজন শিকার—তাও কিছুই ঘটল না? বন কর্মকর্তারা বলেন, ‘বাঘ তখন আতঙ্কে ছিল, ক্ষুধার্ত নয়। অনেক সময়, যখন বন্যপ্রাণী বিপদে পড়ে, তখন তারা আক্রমণাত্মক না হয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। এই বাঘটিও হয়তো কুকুরকে শত্রু নয়, একসাথে ফেঁসে যাওয়া সঙ্গী হিসেবেই দেখেছিল।’