গুনাহার জমিদার বাড়ি বা সাহেব বাড়ি Gunahar Jomidar Bari
বগুড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকাতে অবস্থিত একটি জমিদার বাড়ি। ১৯৪১ সালে এই বাড়িটি নির্মান করা হয়।
ঐতিহাসিক বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলা হতে প্রায় ৭ (সাত) কিলোমিটার উত্তরে গুনাহার ইউনিয়নে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি।
স্থানীয়দের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রায় ২শ' বছর আগে ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে ব্রিটিশ সরকারের তরফে জমিদার হিসেবে মরহুম সুন্দর আলী খান গুনাহার অত্র এলাকায় বসবাস এবং জমিদারি শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর তাহার একমাত্র পুত্র রমযান আলী খান জমিদারি প্রাপ্ত হন। তিনি তার স্ত্রী জাহানুন নেছার নামে জমিদারি জাহানুন নেছা স্টেট নামে নামকরণ করেন । রমযান আলী খান এবং জাহানুন নেছার দুই পুত্র মিয়াযান খান ও মেহেরজান খান।
মিয়াযান খানের ৩ পুত্র কওছর আলী খান, আব্দুল মজিদ খান ও মমতাজ আলী খান।
অপরদিকে মেহেরজান খানের ৩ পুত্র আব্দুল লতিফ খান, মোতাহার হোসেন খাঁন (পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার তাকে খাঁন বাহাদুর উপাধি প্রদান করেন) ও মহসিন আলী খান এবং ৩ কন্যা জোবেদা খাতুন, আমেনা খাতুন ও আখতারুন্নেছা।
খাঁন বাহাদুর মোতাহার হোসেন খাঁন তিনি তার জীবনদ্দশায় তালুচ উচ্চ বিদ্যালয়, তালুচ হাট, গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ডাকঘর, গুনাহার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। খাঁন বাহাদুর মোতাহার হোসেন খাঁন ব্রিটিশ সরকার অধীনে বাংলা বিহার উড়িষ্যার এক্সসাইজ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪১ ইং সালে তিনি গুনাহার গ্রামে এ বিশাল বাড়িটি নির্মাণ করেন। উল্লেখ্য, তিনি ১৮৯৪ সালে এই গুনাহার গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫২ সালের ২ জুলাই নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
গুনাহার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকাতে অবস্থিত এই বাড়িটি দুপচাঁচিয়া উপজেলাবাসীর কাছে 'সাহেব বাড়ি' হিসেবে সুপরিচিত একটি নাম। এখানে ব্রিটিশ পিরিয়ডে টেলিফোন সংযোগ, কেরোসিন তেলে ফ্যান সহ নানা শৌখিন আসবাবপত্র ছিল দর্শনীয় বিষয়। নির্মিত বাড়িটির নান্দনিক কাঠামোগত সৌন্দর্য এবং লোকগাথা সবার মুখেমুখে ছড়িয়ে পরার কারণে এটি স্থানীয় টুরিস্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ বাংলাদেশের শেরপুর জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ। মুঘল আমলে স্থাপিত এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ঘাঘড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত, আর সে কারণেই এর নাম হয়েছে ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ। ১৯৯৯ সালে মসজিদটির রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ মুঘল আমলে নির্মিত হয়। মসজিদের দরজায় কষ্টি পাথরে খোদাই করা আরবি ভাষায় নির্মাণকাল দেওয়া আছে হিজরী ১০২৮ সাল বা ইংরেজি ১৬০৮ সাল। মসজিদের গাঁয়ের নিদর্শন থেকে ধারণা করা হয় মসজিদটি বক্সার বিদ্রোহী হিরঙ্গী খানের সময়কালে নির্মাণ করা হয়েছিল। আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন বলে অনুমান করা হয়।
মসজিদের ভিতরে দুটি সুদৃঢ় খিলান রয়েছে। মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট এবং এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩০ ফুট। মাঝখানে গম্বুজে ছোটবড় ১০টি মিনার রয়েছে। পূর্বদিকে একটি দরজা রয়েছে। ভিতরে মেহরাব ও দেয়ালে বিভিন্ন রঙের ও কারুকার্য করা ফুল ও ফুলদানি আঁকা আছে। মসজিদের দেয়ালের গাথুনী চুন ও সুরকি দিয়ে গাথা যার প্রস্ত ৪ ফুট। মসজিদের মোট জমি ৫৮ শতাংশ যা তৎকালীন খান বাড়ির লোকজন ও গ্রামের অনেকে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছে । মসজিদের মূল ভবন ও বারান্দা মিলে ১৭ শতাংশ এবং বাকি ৪১ শতাংশ জায়গায় রয়েছে কবরস্থান।
Rëjwãñ Khan
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?