***কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক***
রাসুলাল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নিজে নামাজ পড়েছেন বা পড়িয়েছেন মসজিদে? আপনারা হয়ত বলবেন জি, তাহলে আজ কেন তাদের কথিত উম্মতের মধ্যে ঝগড়া যে হাত বাধা নিয়ে কেউ বুকে কেউ পেটে কেউ নাভীতে, কেউ হাত ছেড়ে দিয়ে, কেন তারাবীর নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে, কেন বিবেধ নামাজ শেষে দোয়া করা যাবে কি যাবেনা নিয়ে, কেন বিবেধ সুরা ফাতেহার পর উচ্চস্বরে আমিন বলা না বলা নিয়ে। তারা এখনও এসবই ঠিক করতে পারল না, এখনও বেদাত শিরিকের ফতোয়ার দোকান খুলে পয়সা কামাই। তবে হাদিসের বইয়ের এত বানী কোথা থেকে এল।
মানে কি এরা কেউই সঠিক না, কোন সাহাবী কি নবী জির পিছনে নামাজ পড়ে নি, তাহলে আজ কেন সব নিজস্ব কাল্পনিক ধারনার উপর। কোরানে ৮২ বার সালাতের কথা বলল তার এত গুরুত্ব দেয়া হল অথচ তার স্পষ্ট কোন দিক কেন বয়ান করল না, অবশ্যই করেছে নীচে দেখেনঃ
আপনি বলে দিন যে, ইমানদারগনের জন্য দিনে ৫ বার সালাত ফরজ করা হইল, প্রভাতের সালাত কে সালাতুল ফরজ যা দুইরাকাতে সম্পন্ন হইবে, প্রতি রাকাতে প্রথমে সুরা ফাতেহা পরে অন্য সুরা বা আয়াত, পরে রুকু, সেজদা। পরে মধ্যানহে চার রাকাত যাকে যোহরের নামাজ বলে ঠিক করা হল, যা চার রাকাত, পরে বিকেলেও আবার চার রাকাত নামাজ যা আছরের নামাজ নামে অভিহিত, এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তোমরা তোমাদের সালাত কিঞ্চিৎ কমিয়ে ৩ রাকাত কর, এর পর তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হও রাত্রির প্রথমার্ধে যা ৪ রাকাত নির্বাচন করা হয়েছে। আর এ সবই মুসার সন্মান রক্ষায় যিনি বারংবার আপনাকে বুদ্ধি দিয়ে আপনার উম্মতের জন্য নির্বাচিত ৫০ ওয়াক্ত নামাজের বদলে মাত্র ৫ ওয়াক্ত সালাতের বিধান করেছে। তাই শুকরিয়া করুন মুসার আপনি ও আপনার উম্মতের সবাই মিলে। এবং দান করুন সেই নামাজের ইমামদের যারা আল্লাহর ঘর নামে মসজিদ আবাদ করে।
না এমন কিছু নাই, থাকলে এজিদিদের জন্য ভালই হত। কথা হল নবী জি ৪০ বছরে নবুয়ত পেলেন, ৫৩ বছরে মেরাজ করে রাসুল হলেন। আজ এজিদিরা উনার মেরাজের রাতের কথা উল্লেখ করে পাচ ওয়াক্ত নামাজের একমাত্র মিথ্যা হাদিস বানাইছে আর তা দিয়েই বাবসা করে চলতেছে, করুক পেটা আগে বাচুক। কিন্তু কথা হল মেরাজের আগে অনেক আয়াতই নাজিল ছিল, সালাত নিয়ে, মক্কা জীবনে। তার মানে হল নবী জি কোন সালাত আদায় করতেন না ? নাকি তিনি সালাত কাযা করেছেন, আর এক ওয়াক্ত কামাইয়ে ৮০ হুকবা দোজগ।
হায়রে লেবাস ধারী পেট পুজারি, আগুনে উদর পুরনকারি, তরা যদি বেতন না পেতি, তোরা ভুলেও মসজিদের দিকে ফিরে তাকাতি না। যদি বলেন, যে এটা আমাদের জীবিকা, তোদেরকে কে শিখিয়েছে এই মাদ্রাসায় পড়ে জীবনকে দোজখের আগুন বানাতে তবে। সব বন্ধ করে স্বাধিন, সুস্থ মানুষের মত হালাল জীবিকা কর, পরিশ্রম করে। ধর্ম বেচে কেন খাবি যা হারাম। গায়রত নাই, দেহে রক্তে।।
আজ হাজার বছর ধরে এই পাচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়েও কেন মানুষ আজ পাপ আর, অশান্তির বাসিন্দা।
দেশের জনগণ আজ আর নিজেকে কেউ ইনাসান দাবি করার যোগ্যতা হারাচ্ছে। শয়তানের গোলামী করে করে সব হয়ে গেছে জিনরুপি মানবে। এখনকার মসজিদ মাদ্রাসা, দরবার, নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত কোরবানি, দানবাক্স সব মুদ্রানীতি ভিন্ন কিছু নয় আর তাই দুর্নীতির উচ্চতায় নিয়ে গেছে বাংগালীকে।। আরেক দল পীর পুজারি নামে সুরা মারিচের আয়াত কব্জা করে বলে সালাতুল দায়েমুন। অর্থাৎ সারবক্ষনিক সালাত, মানে যারা চব্বিশ ঘণ্টা আল্লাহর ধেয়ান জিকির করে তারা উত্তম। কথা হল তুই যদি তোর আল্লাহকে বাস্তবে চিনিস তবেই না তার কথা মনে করে জিকির সালাত করবি।
আমরা এখানে মানব জাতির বাস্তব শান্তির কথা বলি, কোন অবাস্তব কাল্পনিক আধাত্মিক অবাস্তব ভেল্কি না।
লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ উম্মতে রাসুল আল্লাহ সাঃ।।