#সবচেয়ে_অদ্ভুত_আকৃতির_দেশ_কোনটি?
>> টুভালু নামক দেশের মানচিত্র অদ্ভূত।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ছবিতে যা দেখছেন, তা একটা দেশ
#সবচেয়ে_অদ্ভুত_আকৃতির_দেশ_কোনটি?
>> টুভালু নামক দেশের মানচিত্র অদ্ভূত।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ছবিতে যা দেখছেন, তা একটা দেশ
#সবচেয়ে_অদ্ভুত_আকৃতির_দেশ_কোনটি?
>> টুভালু নামক দেশের মানচিত্র অদ্ভূত।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ছবিতে যা দেখছেন, তা একটা দেশ
#_তদন্তের_নাম_\"ময়না_তদন্ত "_কেন?
--কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু কিংবা পুলিশ কোনো মৃত্যুর বিষয়ে সন্দিহান হলে তখন মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করা হয়।
-- ইংরেজিতে একে অটোপসিও বলা হয়, যাকে বাংলায় আমরা বলি ময়নাতদন্ত। তবে এই পোস্টমর্টেমের ইতিহাস কিন্তু অনেক পুরোনো।
---খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দে প্রথম কোনো মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করা হয় বলে জানা যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পর তার মৃতদেহের পোস্টমর্টেম হয়েছিল। তখন এর রিপোর্টে বলা হয়েছিল জুলিয়াস সিজারকে ২৩ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
ওই সময় এখনকার মতো উন্নত পদ্ধতি জানা ছিল না মানুষের। আর এ কারণে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলত না। ময়নাতদন্তে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু হয় সপ্তদশ শতকে। এবার আসল কথায় আসি। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি পোস্টমর্টেম শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ ময়নাতদন্ত হলো কেন?
--পোস্টমর্টেম একটি খুনের অজানা কারণকে উদঘাটন করা হয়। কী ভাবে বা কী কারণে খুন হয়েছে সেটা জানার জন্যই মূলত পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে। আসলে অন্ধকার বা অজানা তথ্য জানার জন্যই এটা করা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে ময়না নামের পাখির ময়না যোগ হচ্ছে কেন? পোস্টমর্টেমের সঙ্গে এর মিল কোথায়?
হ্যাঁ, এখানেই হচ্ছে রহস্য। ময়না পাখি মিসমিসে কালো এবং তার ঠোঁট হলুদ। এই পাখি প্রায় তিন থেকে ১২/১৩ রকম করে ডাকতে পারে। আর অন্ধকারে ময়না পাখিকে চোখে দেখা যায় না। অন্ধকারে এরা নিজের কালোকে লুকিয়ে রাখে।
তবে শুধু অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই এর ডাক শুনে বুঝতে পারেন যে, অন্ধকারে যে পাখি ডাকছে সেটি ময়না। এই না দেখা ময়না পাখিকে যেমন অন্ধকারে শুধু কণ্ঠস্বর শুনে তার পরিচয় বোঝা যায়, তেমনই পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে অন্ধকারে থাকা কারণকে আলোতে নিয়ে আসা যায়। সামান্য সূত্র থেকে আবিষ্কার হয় বড় বা জটিল রহস্যের সমাধান। ধরা যায় আসল অপরাধীকে। উদ্ঘাটিত হয় মৃত্যুর কারণ। আর তাই পোস্টমর্টেমের বাংলা হয়েছে ময়নাতদন্ত।
আবার অনেকের মতে আরবি মুয়ানা থেকে এসেছে ময়না, যার অর্থ অনুসন্ধান করা।
# বাংলা ভাষায় কখন "এবং", "ও" ব্যবহার করা হয়?
এটির আসল উত্তর ছিল: বাংলা ভাষায় কখন "এবং" , "ও " ব্যবহার করা হয়?
ও আর এবং
'ও', 'আর' আর 'এবং' বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত তিনটি সংযোজক অব্যয়। সাধারণত একাধিক শব্দ, বাক্যাংশ আর বাক্যের সংযোজনে এই অব্যয় তিনটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণ লেখায় এই অব্যয় তিনটির ব্যবহারে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা না-হলেও কোনো লেখা ব্যাকরণের দিক থেকে যথাযথ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে নিম্নরূপ নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
১. ও: সাধারণত 'ও' অব্যয়টি দুই বা ততোধিক শব্দের যোজনে ব্যবহৃত হয়। তবে 'ও' অব্যয়টি তখনই ব্যবহার করতে হবে, যখন একই শ্রেণিভুক্ত শব্দগুলো একই ভাব প্রকাশ করে। অর্থাৎ, যদি কোনো বাক্যে যোজিত শব্দসমূহের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে 'ও' অব্যয়টি জুড়ে দিয়ে আলাদা আলাদা বাক্য তৈরি করলেও মূল বাক্যের অর্থ অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে বাক্যটিতে শব্দযোজনের জন্য 'ও' ব্যবহার করতে হবে। নিচের উদাহরণগুলো লক্ষ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে—
ক. "টম ও ছাফিয়া স্কুলে যাবে।" এই বাক্যটি বাংলা বাক্য লেখার রীতি অনুযায়ী ভেঙে লিখলে লিখতে হবে— টমও স্কুলে যাবে, ছাফিয়াও স্কুলে যাবে। এখানে 'টম' ও 'ছাফিয়া'-কে আলাদা করে দিয়ে তাদের সঙ্গে 'ও' যুক্ত করে লেখাতে মূল বাক্যের ভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বাক্যটিতে 'টম' আর 'ছাফিয়া' শব্দ দুটি সংযোজনের জন্য 'ও' অব্যয়টি ব্যবহার করা হয়েছে।
খ. "দোকান থেকে মাছ, মাংস ও সবজি আনবে।" এই বাক্যটিও পূর্বের মতো বাংলা বাক্য লেখার রীতি অনুযায়ী ভেঙে লিখলে লিখতে হবে— দোকান থেকে মাছও আনবে, মাংসও আনবে, সবজিও আনবে। এখানে 'মাছ', 'মাংস' ও 'সবজি'-কে আলাদা করে দিয়ে তাদের সঙ্গে 'ও' যুক্ত করে লেখাতে মূল বাক্যের ভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই বাক্যটিতে 'মাছ', 'মাংস' আর 'সবজি' শব্দ তিনটি সংযোজনের জন্য 'ও' অব্যয়টি ব্যবহার করা হয়েছে।
২. আর: 'আর' অব্যয়টিও শব্দের সংযোজনে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত একই শ্রেণিভুক্ত শব্দের যোজনের জন্য এই অব্যয় পদটি ব্যবহার করা হয়। যেমন:
ক. তাহাসিন আর ঐশী হচ্ছে একই ব্যক্তির নাম।
খ. গোটা দিন পড়েছি আর পড়েছি।
৩. এবং: 'এবং'-এর ব্যবহার একেবারেই সহজ। সাধারণত একই ভাবের দুটি বাক্যাংশ বা বাক্যের সংযোজনের ক্ষেত্রে 'এবং' অব্যয়টি ব্যবহার করতে হয়। যেমন:
ক. জনাব মোরশেদ স্যার আজ বিকেলে আসবেন এবং আমাদের অনেক কিছু শেখাবেন।
খ. আমি সবটাই খেয়েছি এবং আসার সময় বিল চুকিয়ে এসেছি।
গ. আমি বইটি বাতিঘর থেকে কিনেছিলাম এবং ছাফিয়াকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়েছিলাম।
৪. 'ও', 'আর' আর 'এবং-এর ভিন্নতার কারণে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন: আমাদের সাধারণ লেখায় 'ও'-এর স্থলে 'আর' এবং 'আর'-এর স্থলে 'ও'-এর ব্যবহার একেবারেই স্বাভাবিক। তাছাড়া সাধারণ বাক্যে এদের একটির স্থলে অন্যটি ব্যবহার করলে ভুলও বলা চলে না। তবে কিছু বাক্যে অব্যয় দুটির ভিন্নতার কারণে অর্থের পরিবর্তন ঘটে এবং সেক্ষেত্রে 'ও'-এর স্থলে 'ও' এবং 'আর'-এর স্থলে 'আর' লেখা আবশ্যিক। নিচের প্রয়োগটি লক্ষ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস—
"আজ সকালে ইশমাম ও সাবিতের বাবা এসেছিলেন।" এই বাক্যটির অর্থ হচ্ছে— আজ সকালে ইশমামের বাবাও এসেছিলেন, সাবিতের বাবাও এসেছিলেন। অর্থাৎ, যে দুই জন এসেছেন, তাঁরা দুজনই হচ্ছে 'বাবা'(পিতা); একজন ইশমামের বাবা এবং অন্যজন সাবিতের বাবা। একই বাক্য 'ও'-এর পরিবর্তে 'আর'-যোগে 'আজ সকালে ইশমাম আর সাবিতের বাবা এসেছিলেন' লিখলে বাক্যটির অর্থ দাঁড়াবে— আজ সকালে একজন বাবা এসেছিলেন, যার দুই সন্তানের নাম হচ্ছে 'ইশমাম' আর 'সাবিত'। অর্থাৎ, বাক্যটিতে কেবল এক জন ব্যক্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে এবং তিনি হচ্ছেন 'ইশমাম আর সাবিতের বাবা'।
একই বাক্যে অনেকে 'ও' কিংবা 'আর'-এর স্থলে 'এবং' ব্যবহার করে 'আজ সকালে ইশমাম এবং সাবিতের বাবা এসেছিলেন' লেখেন। এইভাবে লিখলে বাক্যটির অর্থ দাঁড়াবে— আজ সকালে ইশমাম নামের কোনো ব্যক্তি এসেছিলেন এবং সাবিত নামের কোনো ব্যক্তির বাবা এসেছিলেন। অর্থাৎ, বাক্যটিতে দুই জন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে একজন হচ্ছেন 'ইশমাম' এবং অন্যজন হচ্ছেন 'সাবিতের বাবা'।
এই ধরনের বাক্যগুলোতে 'ও' 'আর' আর 'এবং'-এর ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে 'ও' আর 'আর' অব্যয় দুটি একটির স্থলে অন্যটি ব্যবহার করা হলে কোনো ভুল ধরা হবে না। তবে হ্যাঁ, কেবল শব্দের সংযোজনে 'এবং' অব্যয়টি ব্যবহার করা অসংগত। যেমন—
অসংগত রূপ: আমি এবং টম বেশ ভালো বন্ধু।
সংগত রূপ: আমি আর টম বেশ ভালো বন্ধু।