ভিক্ষুকের ঘোড়ার গল্পটা আপনাদের জানা আছে কি না বুঝতে পারছি না। যে বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি তার জন্যে ভিক্ষুকের ঘোড়ার গল্প জানা থাকলে ভাল হয়। গল্পটা এই রকম–
এক গ্রামে এক ভিক্ষুক ছিল। বেচারা খোড়া। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করতে পারে না–বড় কষ্ট। কাজেই সে টাকা-পয়সা জমিয়ে একটা ঘোড়া কিনে ফেলল। এখন ভিক্ষা করার খুব সুবিধা। ঘোড়ায় চড়ে বাড়ি বাড়ি যায়।
এক জোছনা রাতে গ্রামের কিছু ছেলেপুলে ঠিক করল–একটা ঘোড়া দৌড়ের ব্যবস্থা করবে। পঁচিটা ঘোড়া জোগাড় হল।
https://www.golperasor.com/202....2/08/vikkhuker-ghora
টিকটকে ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ দ্রুত দেখার সুযোগ আসছে
***********************************************************************
ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ দ্রুত দেখার সুযোগ দিতে ‘ভিডিও স্ক্র্যাবিং থাম্বনেইল’ সুবিধা চালু করছে টিকটক। নতুন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোন থেকে যেকোনো টিকটক ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ সহজেই দেখা যাবে। এ জন্য বাড়তি কোনো ঝামেলাও করতে হবে না। থাম্বনেইল নির্বাচন করলেই নির্দিষ্ট স্থান থেকে ভিডিও চালু হবে। ফলে আকারে বড় ভিডিও পছন্দের দৃশ্য থেকে দেখার সুযোগ মিলবে।
জানা গেছে, শুধু নতুন আপলোড করা ভিডিওতে ‘ভিডিও স্ক্র্যাবিং থাম্বনেইল’ সুবিধা পাওয়া যাবে। ফলে টিকটকে থাকা পুরোনো ভিডিওগুলো বর্তমানের মতোই দেখতে হবে। এরই মধ্যে নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করেছে টিকটক। কিছুদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারী এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন।
নতুন এ সুবিধা চালু হলে টিকটকে থাকা বড় ভিডিওগুলোর দর্শকসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে ইউটিউবের সঙ্গে বর্তমানের তুলনায় আরও ভালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে টিকটক।
সূত্র: টেক ক্র্যাঞ্চ
Source: প্রথম আলোl
বিট–বাইট
***********************************************************************
২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বার নামানো অ্যাপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে টিকটক। তথ্য বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান অ্যাপটোপিয়ার তথ্য মতে, গত বছর প্রায় ৬৭ কোটি ২০ লাখ বার নামানো হয়েছে ভিডিওনির্ভর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপ। ইনস্টাগ্রাম রয়েছে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৫৪ কোটি ৮০ লাখ বার নামানো হয়েছে অ্যাপটি। তৃতীয় স্থানে থাকা মেটার মালিকানাধীন অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ নামানো হয়েছে ৪২ কোটি ৪০ লাখ বার। চতুর্থ স্থানে রয়েছে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের তৈরি ভিডিও সম্পাদনার অ্যাপ ক্যাপকাট। ৩৫ কোটি ৭০ লাখবার নামানো হয়েছে অ্যাপটি। পঞ্চম স্থানে রয়েছে স্ন্যাপচ্যাট। প্রায় ৩৩ কোটি বার নামানো হয়েছে অ্যাপটি। সবচেয়ে বেশি বার নামানো অ্যাপের তালিকায় থাকা অন্য অ্যাপগুলো হলো—টেলিগ্রাম (৩১ কোটি বার), সাবওয়ে সারফারস (৩০ কোটি ৪ লাখ বার), ফেসবুক (২৯ কোটি ৮০ লাখ বার), স্ট্যাম্বল গায়েজ (২৫ কোটি ৪০ লাখ বার) ও স্পটিফাই (২৩ কোটি ৮০ লাখ বার)।
সূত্র: ফোর্বস
কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর ডানে-বাঁয়ে ঘুরিয়ে ব্যবহার করা গেলেও উঁচু-নিচু করার সুযোগ মেলে না। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে দেয়াল বা টেবিলের সঙ্গে মনিটর আর্মযুক্ত করে মনিটরের উচ্চতা কম বেশি করেন। তবে এ সমস্যা সমাধানে সহজে উচ্চতা পরিবর্তন করতে সক্ষম মনিটর তৈরি করেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আসুস। বিশেষ ধরনের স্ট্যান্ডের ওপর বসানো থাকায় ব্যবহারকারীরা চাইলেই মনিটরের উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারবেন। ৫০০ টজে৴র রগ সুইফট প্রো পিজি ২৪৮ কিউপি মডেলের মনিটরটি এ বছরের মাঝামাঝি বাজারজাত করা হবে।
সূত্র: দ্য ভার্জ
Source: প্রথম আলোl
চাকরি মেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হলো
***********************************************************************
বিশেষভাবে সক্ষম বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হলো। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে ও সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির (সিএসআইডি) সহযোগিতায় আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী চলে এই মেলা।
মেলার উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সবার সেতুবন্ধ তৈরি করা, তাঁদের আত্মনির্ভরশীল করার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জীবনের সব ক্ষেত্রে সবকিছুতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। কারণ, দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সমান সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে। জেলা–উপজেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্কগুলোয় যে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কাজ করবে, সেখানে একজন করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির চাকরির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকারি হিসাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। তাই বাংলাদেশ সরকার এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য ভাবতে শুরু করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প, প্রতিযোগিতা, চাকরি মেলাসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদের সামনে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আগে না থাকলেও বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক ও সচিব শেখ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সব সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার চেষ্টা এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর রয়েছে। সবাইকে আমাদের উন্নয়নের ধারায় আনতে হবে এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে আমরা চলতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যাঁরা এ মেলায় এসেছেন, তাঁদের চাকরি প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অনিশ্চয়তায় না রেখে তাঁদের সুযোগ দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ‘স্মার্ট’ করার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
চাকরি মেলা উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বিশেষভাবে সক্ষম পাঁচ শতাধিক মানুষ অনলাইনে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দিয়েছিলেন। মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়েও সিভি জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল। যাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি–দক্ষতা রয়েছে, তাঁদের নিয়োগ দিতে মেলাতেই সাক্ষাৎকার নেয় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ডেটা এন্ট্রি, গ্রাফিকস ডিজাইন, অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল বিপণন, কল সেন্টার এজেন্ট, প্রোগ্রামিংসহ নানা রকম কাজের জন্য প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানান মেলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে চাকরি মেলা ২০২২–এর শীর্ষ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করে জেনওয়েবটু লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে বিসিসির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিনা মূল্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ চালু করা হয়। প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২০১৫ সাল থেকে চাকরি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
Source: প্রথম আলোl
সফটওয়্যার খাতকে এগিয়ে নিতে সফটওয়্যার আমদানি বন্ধ করার দাবি
***********************************************************************
করোনা মহামারির ধাক্কা লেগেছিল দেশের সফটওয়্যার খাতেও। অনেক প্রতিষ্ঠানের অর্ডার (সফটওয়্যার তৈরির কাজ) স্থগিত হয়। সেই পরিস্থিতিতে এ শিল্পকে বাঁচাতে প্রতিষ্ঠানগুলো হিমশিম খাচ্ছিল। অনেক স্টার্টআপ (প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন উদ্যোগ) প্রতিষ্ঠান তহবিল না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বাইরের অনেক গ্রাহক সফটওয়্যারে কাজ বাতিল ও বিল দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে ২০২২ সালে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে দেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের প্রথম দিকে সেই ধারা ভালোভাবে বজায় থাকলেও শেষের দিকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুরু হওয়া ২০২৩ সালে সফটওয়্যার খাত কি এগিয়ে যাওয়ার ধারায় থাকবে?
স্টার্টআপে বিনিয়োগ কমে গেছে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ও বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘২০২২ সালের প্রথম ছয় মাস সফটওয়্যার খাতে ভালো সময় গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দামে ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে শেষ ছয় মাস বেশ কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। ফলে সংকটে পড়ে সফটওয়্যার খাত।’ সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিকভাবে বাজে সময় পার করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে স্টার্টআপে বিনিয়োগ কমে গেছে।
ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশির ভাগ স্টার্টআপ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভারশীল। বছরের শেষ ভাগে স্টার্টআপে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন অনেক উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’
দেশের বেশির ভাগ সফটওয়্যার রপ্তানি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের বৈশ্বিক মন্দার কারণে সফটওয়্যার রপ্তানি কমে গেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এ প্রভাব সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ফাহিম মাশরুর বলেন, দেশের বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের খরচ কমাতে গেলে সবার আগে তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির ওপর ছুরি চালায়। বছরের শেষে দিকে এই খরচ কমানোর ধাক্কাটি লেগেছে সফটওয়্যারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারেও সফটওয়্যারের ব্যবহার কমেছে।
সফটওয়্যার আমদানি কমাতে হবে
সফটওয়্যার খাতের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন ফাহিম মাশরুর। তাঁর মতে, সেটা বছরের হিসাব করলে ৩ থেকে ৫ বছর লেগে যাবে। সফটওয়্যার খাতে ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা লাগবে। সরকারের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার আমদানি করে। সরকার করোনার ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আমদানিকারক পণ্যের ওপর ডলারের ব্যয় কমানোর ওপর জোর দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সফটওয়্যার আমদানি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিদেশ থেকে সফটওয়্যার আমদানি কমিয়ে আনতে পারলে ডলারের খরচ কম হবে। একই সঙ্গে দেশের সফটওয়্যারশিল্পের উদ্যোক্তারাও এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। ২০০ কোটির মধ্যে ১৫০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার স্থানীয় বাজার থেকেই পূরণ করা সম্ভব। বিদেশ থেকে মূলত অ্যাপ্লিকেশন ও ব্যাংকিং খাতের সফটওয়্যারেই বেশি আমদানি করা হয়। এ ধরনের সফটওয়্যার তৈরিতে দেশের সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোও দক্ষ। প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদেশে থেকে সফটওয়্যার আমদানি সীমিত করে দেওয়ার দাবি জানান ফাহিম মাশরুর।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘সফটওয়্যারশিল্প রপ্তানি একটা বড় বিষয়। ২০২২ সালে বিদেশের বাজারে প্রযুক্তিক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা জানানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশে তৈরি সফটওয়্যারের ৩৪ শতাংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপরই রয়েছে যুক্তরাজ্য (১৩ শতাংশ)। যদি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপকে যোগ করি তাহলে এ অঞ্চলে রপ্তানির পরিমাণ হবে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে ইউরোপ–আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
বেসিসের হিসাবমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৩০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বেসিস। রাসেল টি আহমেদের মতে, এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের বাজারে ৩০ লাখ, যুক্তরাজ্যে ১০ লাখ এবং জাপানে সাড়ে ৮ লাখ মানুষের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে কাজের সুযোগ রয়েছে। রাসেল বলেন, ‘আমাদের এই বাজার ধরতে হবে। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো দক্ষ জনবল থাকতে হবে। করোনার পর সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে সে ধারা বজায় ছিল। চলতি বছরের এ ধারা আরও জোরালো হবে। বিশ্বে আমাদের কাজের চাহিদা আছে, বিপরীতে আমাদের আছে জনবল। এই জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সরকারের তথ্যমতে, রপ্তানিতে বিভিন্ন খাতের চেয়ে আমাদের খাত ৪০ থেকে ১০০ শতাংশ এগিয়ে গেছে।’
Source: প্রথম আলোl
স্ন্যাপ ক্যামেরা অ্যাপ বন্ধ করছে স্ন্যাপচ্যাট
***********************************************************************
লাইভ স্ট্রিমিং ও ভিডিও কলের সময় নিজেদের চেহারায় বিভিন্ন ইফেক্ট যুক্ত করতে অনেকেই স্ন্যাপচ্যাটের তৈরি স্ন্যাপ ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু জনপ্রিয় এ অ্যাপটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ন্যাপচ্যাট। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ২৫ জানুয়ারি থেকে কম্পিউটারে আর ব্যবহার করা যাবে না ক্যামেরা অ্যাপটি।
২০১৮ সালে স্ন্যাপ ক্যামেরা অ্যাপ চালু করে স্ন্যাপচ্যাট। উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপটি দিয়ে জুমসহ বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপে নিজেদের চেহারা আড়াল করার পাশাপাশি বিভিন্ন মজার ইফেক্ট বা লেন্স ব্যবহার করা যায়।
স্ন্যাপ ক্যামেরা অ্যাপের কার্যক্রম বন্ধ হলে ওয়েব ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি বা ভিডিওতে কালো পর্দা দেখা যাবে। ফলে ব্যবহারকারীদের অ্যাপটি মুছে ফেলার পাশাপাশি কম্পিউটারের ডিফল্ট ক্যামেরা অপশন পরিবর্তন করতে হবে।
অ্যাপটি কেন বন্ধ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি স্ন্যাপচ্যাট। তবে এক টুইটে স্ন্যাপচ্যাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনলাইনে ব্যবহার উপযোগী ক্যামেরা কিটের মান উন্নয়ন করতে কাজ করবে স্ন্যাপচ্যাট।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
Source: প্রথম আলোl
যে কারণে শুটিংয়ের সময় শুধু শসা খেয়ে থাকতেন তিনি
***********************************************************************
গত ২৩ ডিসেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় মিস্ট্রি ঘরানার সিনেমা ‘গ্লাস ওনিয়ন: আ নাইভস আউট মিস্ট্রি’। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাপক প্রশংসিত সিনেমার সিকুয়েলটিও সাড়া ফেলেছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ৮৩ মিলিয়ন ঘণ্টার বেশি দেখা হয় সিনেমাটি। জায়গা পায় প্ল্যাটফর্মটির সবচেয়ে বেশি দেখা ১০ সিনেমার তালিকাতেও।
প্রধান চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগ থাকলেও অনেক দিন অভিনয়ে অনিয়মিত কেট হাডসনও সাড়া জাগিয়েছেন। সম্প্রতি সিনেমাটির শুটিংয়ের সময়ের মজার ঘটনা ভাগাভাগি করেছেন অভিনেত্রী।
‘নাইভস আউট’-এর সিকুয়েলে কেট হাডসনকে দেখা গেছে কমলা রঙের বিকিনিতে। তাঁর সেই ‘টু পিস’ এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক মডেলই একই ধরনের পোশাকে ছবি পোস্ট করেছেন।
ছবির প্রচারণা উপলক্ষে ‘দিস মর্নিং শো’তে হাজির হয়েছিলেন কেট হাডসন। সেখানেই ‘গ্লাস ওনিয়ন: আ নাইভস আউট মিস্ট্রি’র অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
কেট হাডসন জানান, সিনেমাটিতে তাঁর বিকিনি পরা দৃশ্যের জন্য বিশেষ ডায়েট মেনে চলতে হতো। শুটিংয়ে সবাই ভালো-মন্দ নানা কিছু খেলেও তাঁকে থাকতে হয়েছে কেবল শসা খেয়েই।
কেট হাডসন বলেন, ‘সবাই যখন নানা ধরনের খাবার ও পানীয় নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন শটের অপেক্ষায়। আমার খাওয়া বলতে শুধু শসা।’
‘গ্লাস ওনিয়ন: আ নাইভস আউট মিস্ট্রি’-তে কোভিড মহামারি প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। কেট হাডসন জানান, মহামারির মধ্যেই বিশেষ সতর্কতা নিয়ে শুটিং করেছিলেন তাঁরা।
সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তিনি আরও বলেন, ‘তখন কোভিডের ডেলটা ধরন সারা দুনিয়ার মাথাব্যথার কারণ। এর মধ্যেই আমরা শুটিং করেছি। একটা বার ভাড়া করা হয়েছিল। সেখানে সবাই মিলে পার্টি করতাম। দারুণ মজা হয়েছে।’
Source: প্রথম আলোl
নতুন বছরে ‘ছক্কা’র অপেক্ষায়
***********************************************************************
গত বছর ভূমি পেড়নেকরের তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়। দুটি প্রেক্ষাগৃহে, একটি ওটিটিতে। এর মধ্যে ‘বাধাই দো’ সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু অন্য দুই সিনেমা ‘রক্ষাবন্ধন’ ও ‘গোবিন্দা নাম মেরা’ মোটেই সাফল্য পায়নি। মন্দ–ভালো মিলিয়ে ২০২২ পার করা অভিনেত্রী নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সামনে তাকাতে চান।
কয়েক বছর ধরেই হিন্দি সিনেমার অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভূমি পেড়নেকর। পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা ‘বালা’ বা ‘পতি পত্নী অওর ও’-তে তিনি যেমন সফল, তেমনি নজর কেড়েছেন শৈল্পিক ধারার ‘সনচিড়িয়া’ বা ‘সান্ড কি আঁখ’-এ।
২০২৩ সালে ভূমি পেড়নেকরের ছয়টি সিনেমা মুক্তি পাবে, যেগুলোয় বিচিত্র সব চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। অভিনেত্রীর আশা, সিনেমাগুলো মুক্তির পর তাঁর ক্যারিয়ার নতুন গতি পাবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ভূমি বলেন, ‘চলতি বছর ছয়টি সিনেমা আসবে, যা অভিনেত্রী হিসেবে বছরটাকে নিজের করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। সিনেমাগুলোয় শক্তিশালী নারী চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে, অভিনেত্রী হিসেবে এর চেয়ে বেশি আর কী চাই!’
২০২৩ সালে ভূমিকে দেখা যাবে ‘ভেদ’, ‘দ্য লেডিকিলার’, ‘আফওয়া’, ‘ভক্ষক’, ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ ইত্যাদি সিনেমায়। অভিনেত্রী জানান, সিনেমাগুলোয় বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে চেয়েছেন তিনি। ভূমি বলেন, ‘ছয় সিনেমায় দর্শক ছয়জন আলাদা ভূমিকে দেখতে পারবেন। এটি নিয়ে এখন থেকেই আমি রোমাঞ্চিত। এমন সুযোগ পাওয়ার জন্য শিল্পী হিসেবে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি।’
একের পর সিনেমায় চলতি বছর দেখা যাবে ভূমিকে। তাই নতুন বছরের শুরুতে জানিয়ে রাখলেন নিজের স্বপ্নের কথাও, ‘নিজের সেরাটা দিতে মুখিয়ে ছিলাম, আমিই কেবল জানি, সিনেমাগুলোর জন্য কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে। সে জন্য সিনেমাগুলো নিয়ে আশাও অনেক বেশি। আমি জানি, ছয়টি সিনেমার জন্য যে শ্রম দিয়েছি, সেটি ভবিষ্যতের জন্য বড় সঞ্চয়।’
২০২৩ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ভূমির সিনেমাগুলোর কোনেটিরই মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
Source: প্রথম আলো
এবার পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সঙ্গে শাহরুখপুত্রের ছবি ভাইরাল
***********************************************************************
দিন কয়েক আগেই গুজব রটে, নোরা ফতেহির সঙ্গে প্রেম করছেন আরিয়ান খান। কয়েক দিন পার হলেও গুজবটি নিয়ে শাহরুখপুত্র বা নোরা কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এবার পাকিস্তানি এক অভিনেত্রীর সঙ্গে আরিয়ানের ছবি নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে।
ছবিতে আরিয়ান খানের সঙ্গে দেখা গেছে পাকিস্তানি অভিনেত্রী সাদিয়া খানকে। সাদিয়া নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবিটি শেয়ার করেছেন। ছবিটি যে নতুন বছর উদ্যাপনের সময় তোলা, সেটিও জানিয়েছেন সাদিয়া। এর পর থেকে অনেকে অনুমান করছেন, এই পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সঙ্গে হয়তো প্রেম করছেন আরিয়ান।
ছবিটিতে সাদিয়াকে দেখা গেছে কালো রঙের পোশাকে, আরিয়ানের পরনে লাল টি-শার্ট ও সাদা জ্যাকেট।
৩৫ বছর বয়সী সাদিয়া পাকিস্তানের টিভি ও সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ‘খুদা অওর মোহাব্বত’-এর প্রথম ও দ্বিতীয় সিজনে ‘ইমান’ চরিত্র করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। তবে কয়েক বছর ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত সাদিয়া। তাঁকে শেষ দেখা যায় ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিরিয়াল ‘মরিয়ম পেরিয়েরা’-তে।
অন্যদিকে বলিউডে অভিষেক নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও গত বছরই জানা গেছে, অভিনয়ের চেয়ে ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আরিয়ান। শিগগিরই চিত্রনাট্যকার হিসেবে অভিষেক হবে তাঁর।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডের সঙ্গে আরিয়ানের প্রেমের গুঞ্জন ছিল। টক শোতে আরিয়ানকে ভালো লাগার কথা নিজেই জানিয়েছেন অনন্যা। তবে দুই তারকার কেউই তাঁদের সম্পর্কের কথা কখনোই স্বীকার করেননি।
Source: প্রথম আলো