গুগল ফটোজে যুক্ত হচ্ছে ম্যাজিক ইরেজার টুল
***********************************************************************
গুগল ফটোজ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে ছবি সম্পাদনার সুযোগ দিতে ‘ম্যাজিক ইরেজার’ টুল যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। ছবি সম্পাদনার এই টুল কাজে লাগিয়ে ছবিতে থাকা যেকোনো অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যাবে। ফলে ভিড়ের মধ্যে ছবি তুললেও নিজের ছবি ভালোভাবে দেখা যাবে।
গুগলের পিক্সেল ফোনে থাকা ছবি সম্পাদনার টুলটি এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর তাই আরও বেশিসংখ্যক ব্যবহারকারীকে টুলটি ব্যবহারের সুযোগ দিতেই গুগল ফটোজে ম্যাজিক ইরেজার টুলটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। তবে চাইলেই ব্যবহার করা যাবে না টুলটি। গুগলের ক্লাউডভিত্তিক স্টোরেজ সুবিধা ‘গুগল ওয়ান’–এ নিবন্ধন করা ব্যক্তিরাই শুধু টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ম্যাজিক ইরেজার টুলটি গুগল ফটোজের টুল অপশনে যুক্ত করা হবে। ফলে ছবি সম্পাদনার সময় সহজেই টুলটি ব্যবহার করা যাবে। বর্তমানে গুগল ফটোজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি (এআই) কাজে লাগিয়ে ছবিতে থাকা বিভিন্ন দৃশ্য মুছে ফেলা যায়। টুলটি যুক্ত হলে ছবি থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর ছবি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মুছে ফেলার সুযোগ মিলবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Source: প্রথম আলো
শেষ হলো আইসিটি অলিম্পিয়াড
***********************************************************************
প্রাক্–বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত ‘আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে ছয়টি বিভাগে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় প্রাক্–বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. সামিউল আলিম। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন যথাক্রমে তাহমিদ সাদিক এবং আতিয়া ফায়রুজ। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অমেরা ফিদান। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন এস এম মুসফিকুল হাসান এবং সায়্যেদা নাফেজা ফায়রোজ। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. সামিন মুস্তাকিম। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন অনন্য জারিফ এবং শাহী নূর। নবম থেকে দশম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাহবিন আহমেদ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন সানন্দা দেব ও রুদ্রনীল ঘোষ। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জোহাদ শিকদার। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন সৈয়দ আবরার ইয়াছির ও মো. আবু সায়েদ। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো.আসোয়াদ আলভী ইয়ানুর। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন ডি এম নাদিম হায়দার এবং মো. মোবাশির হাসান।
প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) উপাচার্য মো. ফায়েজ খান বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহ-উপাচার্য নজরুল ইসলাম, ব্রাইট স্কিলসের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ কবির, আমারপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক সারওয়ার, ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট ও শিশুতোষ প্ল্যাটফর্ম ‘হুইসেল’ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ৬৪ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৬৫৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। চারটি রাউন্ডে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে ১৫০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ বিষয়ে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গভর্নিং বডির সদস্য মনির হোসেন জানান, প্রাক্–বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা জনপ্রিয় করে তুলতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
Source: প্রথম আলো
গ্রাহকের সব জিজ্ঞাসার উত্তর দেয় দেশি সফটওয়্যার জিরোসিয়াম
***********************************************************************
আচ্ছা ভাবুন তো! ফেসবুকে তো অনেক ধরনের পেজ আছে। পণ্য বেচাকেনার পেজও তো কম নয়। যেখানে গ্রাহকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদান করতে হয়। এমন পেজগুলোর প্রতিটি পোস্টে যে হাজারো কমেন্ট, ইনবক্সে প্রতিদিন যে অজস্র প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা, অভিযোগ আসে, সেগুলোর উত্তর দেওয়া হয় কীভাবে? গতকাল শনিবার এই উত্তর জানতে পারলাম রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বেসিস সফটএক্সপো মেলায়। খোঁজ পাওয়া গেল ম্যাডলি নামের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের। এদের তৈরি সফটওয়্যারের নাম জিরোসিয়াম। জিরোসিয়াম ফেসবুক পেজে কমেন্ট, গ্রাহকের নানা জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়ে থাকে।
প্রতিদিন কোনো ব্র্যান্ডের ফেসবুক পেজে নিত্যনতুন প্রশ্ন আসে। গ্রাহকেরা বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সম্পর্কে জানতে চান। এই প্রশ্নগুলো করা হয় ফেসবুক পেজের কমেন্ট বা হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের ইনবক্স, ইনস্টাগ্রামের ইনবক্স, ওয়েবসাইটের লাইভ চ্যাট অপশন ইত্যাদির মাধ্যমে। যথাযথভাবে, সঠিকভাবে ও দ্রুততম সময়ে প্রশ্নগুলোর কীভাবে উত্তর দেওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য থাকেন গ্রাহকসেবা প্রতিনিধিরা। কিন্তু প্রতিদিন এমন হাজারো প্রশ্নের সঠিক জবাব দেওয়া, তা-ও আবার তৎক্ষণাৎ, সেটা তো মানুষের পক্ষে অসাধ্যই। প্রশিক্ষিত গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি দিয়েও গ্রাহকের এত এত প্রশ্নের জবাব দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সেই অসাধ্য সাধন করে দেয় জিরোসিয়াম সফটওয়্যার।
জিরোসিয়াম কী ও কেন?
জিরোসিয়াম হলো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা ব্যবস্থাপনার (কয়্যারি ম্যানেজমেন্ট) একটি সর্বজনীন চ্যানেল। এটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ই-মেইল, প্লে স্টোর, টেলিগ্রাম, টিকিটিং সিস্টেম ও ওয়েব চ্যাটকে কোনো ব্র্যান্ডের গ্রাহক পরিষেবায় একীভূত করে; অর্থাৎ একজন গ্রাহক উল্লিখিত যে মাধ্যমেই প্রশ্ন করুন না কেন, সেটি গ্রাহকসেবা প্রতিনিধির কাছে একটি সাধারণ ইনবক্সে আসে। প্রতিনিধি তখন সঠিক উত্তরটি সেখানে লিখে দিলেই তা সরাসরি গ্রাহকের কাছে চলে যায়। গ্রাহক ও পেজ দুই পক্ষের জন্যই এটা খুবই সহজ।
যা আছে এই সফটওয়্যারে
প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রাহকের সব জিজ্ঞাসার উত্তর এই সফটওয়্যারের মধ্য দিয়ে দেওয়া সম্ভব। চাইলে সফটওয়্যার ব্যবহারকারী নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় নিয়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে সেবা প্রতিনিধি, দলনেতা, প্রশাসক বা অ্যডমিন, গ্রাহক ইত্যাদি। একেক ভূমিকায় একেক ধরনের সুবিধা থাকে।
যেমন সেবা প্রতিনিধিরা প্রতিটি মুহূর্তে সঠিকভাবে গ্রাহককে উত্তর দিচ্ছেন কি না, তা-ও খুব সহজেই অনুসরণ সম্ভব দলনেতার পক্ষ থেকে। আবার একজন গ্রাহক বিভিন্ন চ্যানেলে কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড নিয়ে কী ধরনের প্রশ্ন করেছেন, তা-ও একবারে দেখা সম্ভব। এভাবে অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে আসা প্রশ্নগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করলেই কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন বিষয় নিয়ে গ্রাহকেরা বেশি উৎসাহী, তা বোঝা যায়।
জিরোসিয়ামের আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর সঙ্গে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ার জন্য চ্যাটবট যুক্ত করা যায়। চ্যাটবটটি ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রুডেন্ট, অর্থাৎ খুব সহজেই সহজাত ভাষা বুঝতে পারে। গ্রাহকদের কিছু সাধারণ প্রশ্নের জবাব এই চ্যাটবটই দিয়ে দিতে পারে। আর অধিকাংশ প্রশ্ন, যেগুলো জটিল অথবা বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তর দিতে হয়, সেগুলোতে জিরোসিয়ামের মাধ্যমে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই।
যেভাবে এল জিরোসিয়াম
উপাত্তবিশেষজ্ঞ ওবায়দুর রহমান তাঁর প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে আইগ্রুট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। সেই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই আসে এই অমনিচ্যানেল কোয়েরি ম্যানেজমেন্ট টুল। ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করা এই সফটওয়্যার এখন একদিকে যেমন অনেক গ্রাহকের প্রশ্ন করার ও অভিযোগ জানানোর নির্ভরযোগ্য স্থান হয়ে উঠেছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও দ্রুত হয়ে উঠছে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের সহজ এক মাধ্যম। দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন গ্রাহক পরিষেবায় জিরোসিয়াম ব্যবহার করছে। এক্স সলিউশনস লিমিটেড জিরোসিয়ামের একমাত্র পুনর্বিপণনকারী হিসেবে রয়েছে।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মেশিন লার্নিংয়ের যুগে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো চেষ্টার কোনো শেষ নেই। ডিজিটাল বিপণনের এই মহাযুদ্ধে এগিয়ে যেতে কোম্পানিগুলো ব্যবহার করছে প্রযুক্তি আর মানবিক দক্ষতার অসাধারণ মিশেল। জিরোসিয়াম এ যুগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য সফটওয়্যার।
Source: প্রথম আলো
গুগল প্লে স্টোরের ৮০ শতাংশ অ্যাপের তথ্যই মিথ্যা
***********************************************************************
অ্যাপ ব্যবহার করলে কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা ব্যবহারকারীদের জানার সুযোগ দিতে গত বছর গুগল প্লে স্টোরে তথ্য নিরাপত্তা লেবেল সুবিধা চালু করে গুগল। এ নিরাপত্তাব্যবস্থা চালুর ফলে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ জমা দেওয়ার সময়ই এসব তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয় অ্যাপ নির্মাতাদের। শুধু তা–ই নয়, ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সেগুলোও জানাতে হয়। ফলে অ্যাপ নামানোর আগেই ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্ক হতে পারেন ব্যবহারকারীরা। তবে গুগল প্লে স্টোরে থাকা প্রায় ৮০ শতাংশ অ্যাপের তথ্য সুরক্ষার তথ্যই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মজিলা।
গুগল প্লে স্টোরে থাকা বিভিন্ন অ্যাপের তথ্য সুরক্ষার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি গবেষণা চালিয়েছে মজিলা। গবেষণায় দেখা গেছে, গুগল প্লে স্টোরে থাকা বেশির ভাগ অ্যাপেরই গোপনীয়তা নীতিমালা এবং তথ্য নিরাপত্তাবিষয়ক তথ্যের মধ্যে অসংগতি রয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ অ্যাপেই মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন নির্মাতারা। ফলে অ্যাপ নামানোর সময় নিজেদের কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করা হবে বা তৃতীয় পক্ষের কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে, তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয় না।
গুগল প্লে স্টোরে থাকা জনপ্রিয় ৪০টি অ্যাপের তথ্য নিরাপত্তা লেবেল পর্যালোচনা করে মজিলা জানিয়েছে, ফেসবুক, টুইটারসহ ১৬টি অ্যাপের দেওয়া তথ্য খুবই নিম্নমানের। ইউটিউব, গুগল ম্যাপস, জিমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রামসহ ১৫টি অ্যাপের তথ্য মধ্যম মানের। ক্যান্ডি ক্র্যাশ সাগা, গুগল প্লে গেমস, সাবওয়ে সারফার্সসহ ৬টি অ্যাপের সব তথ্য সঠিক পাওয়া গেছে। আর তাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপ নামানোর আগে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে মজিলা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Source: প্রথম আলো
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অর্থের বিনিময়ে নীল টিক দিচ্ছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম
***********************************************************************
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছিলেন, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন বা গ্রাহকসেবা চালু করা হবে। মার্ক জাকারবার্গের ঘোষণার সপ্তাহ না ঘুরতেই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অর্থের বিনিময়ে নীল টিকসুবিধা চালুর কার্যক্রম শুরু করেছে মেটা। পরীক্ষামূলক এ উদ্যোগের আওতায় প্রতি মাসে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নীল টিক ব্যাজ, অ্যাকাউন্ট যাচাইকরণসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসুবিধা পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞাপনী আয় কমে যাওয়ায় ‘মেটা ভেরিফায়েড’ নামের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা। ভেরিফায়েড সুবিধা পেতে ওয়েব সংস্করণে প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলার এবং আইওএস সংস্করণে ১৫ মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হবে। এর মাধ্যমে ভেরিফায়েড ব্যাজ পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তাসুবিধাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ব্যবহারকারীর। তবে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়ায় দেশ দুটিতে বসবাসকারী অনেকেই এখনো আগের মতো বিনা মূল্যে নীল টিকসুবিধা ব্যবহার করতে পারছেন।
মেটার এক মুখপাত্র জানান, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মেটা ভেরিফায়েড কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সাত দিনের মধ্যেই সবার জন্য এ সুবিধা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে সুবিধাটি চালু করা হবে।’
সূত্র: এনডিটিভি
Source: প্রথম আলো
বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন পরিণীতি
***********************************************************************
বলিউডে যেন চলছে বিয়ের মৌসুম। আথিয়া শেঠি ও কে এল রাহুলের পর ৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন বলিউডের আলোচিত তারকা জুটি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। এরপর প্রকাশ্যে আসে স্বরা ভাস্কর ও ফাহাদ আহমেদ। কয়েক দিন আগে বিয়ে করেছেন কুমার বরুণ ও মানবী গারগু। তাই কোনো বলিউড তারকা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেই ওঠে বিয়ের প্রসঙ্গ। তাপসী পান্নুর পর বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল পরিণীতি চোপড়াকে।
কয়েক বছর ধরেই পরিণীতি চোপড়ার প্রেম নিয়ে কোনো খবর হয়নি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী নিজেও জানালেন, তিনি সিঙ্গেল। কেবল এটুকুতেই থেমে থাকেননি, বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতেও তাগাদা দেন তিনি।
পরিণীতি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনের কথা যদি বলেন আমি বিয়ে করে থিতু হতে চাই, মা হতে চাই। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি জীবনের সব ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য চাই। কারণ, পরিবার থাকলে ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন সামলানো সহজ হয়। এককথায় বলতে গেলে কাজ, পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সুখে–শান্তিতে দিন কাটাতে চাই।’
বলিউডের সাম্প্রতিক বিয়ে নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিণীতি বলেন, ‘আমাদের বন্ধু, সহকর্মীরা নতুন জীবন শুরু করছে, আমি খুবই খুশি। তাদের অনেকেই বেশ কয়েক বছর ধরে দারুণ একটা সম্পর্কে ছিল। যেদিন আমি মনের মতো কাউকে পেয়ে যাব, বিয়ে করে ফেলব।’
তবে পরিণীতি জানান, মনের মতো কাউকে এখনো পাননি তিনি। পরিণীতিকে সর্বশেষ দেখা গেছে গত বছর মুক্তি পাওয়া সুরজ বরজাতিয়ার ‘উঁচাই’ সিনেমায়। ছবিটি মোটামুটি ব্যবসায়িক সাফল্য পায়, প্রশংসিত হয় পরিণীতির অভিনয়ও।
ভক্তদের আশ্বস্ত করে পরিণীতি জানান, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে গোপন রাখবেন না, আগেই জানিয়ে দেবেন। সামনে পরিণীতি চোপড়াকে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি সিনেমায়। এর মধ্যে আছে ‘ক্যাপসুল গার্ল’, ‘ছামকিলা’।
Source: প্রথম আলো
এক নরসুন্দরের গল্প
***********************************************************************
নূরু পেশায় নরসুন্দর। সে নিজের সেলুনের নামও রেখেছে নরসুন্দর। তবে কেবল দোকানে নয়, মাঝেমধ্যে সে ভিআইপিদের বাড়িতেও চুল কাটতে যায়। অনেকেই নূরুর কাছে আসে। চুল কাটানোর চেয়ে গল্প শুনতেই তাদের আগ্রহ বেশি। নূরু গল্প বলতে ওস্তাদ। গল্পের প্রেমে পড়েই ঘর ছেড়ে নূরুর সঙ্গে পালিয়েছে সুইটি। নূরুর সেলুনে চুল কাটাতে আসে লেখক, কবি, ব্যবসায়ী, পুলিশ অফিসার, হিজড়া, মাস্তান থেকে শুরু করে নায়ক হতে চাওয়া তরুণও। তার সঙ্গে সবার ভালোবাসার সম্পর্ক।
মহল্লার এই সেলুনকে ঘিরে ঘটে নানা মজার ঘটনা। এমনই তুলে আনা হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘নরসুন্দর’-এ। আগামীকাল বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিকটি। প্রতি রবি, সোম ও মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় দেখা যাবে ‘নরসুন্দর’। এতে নূরুর ভূমিকায় আছেন সাজু খাদেম।
তারকাবহুল এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আহসান হাবীব, আরফান আহমেদ, জয়রাজ, সানজিদা প্রীতি, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। মাতিয়া বানু শুকুর রচনায় ‘নরসুন্দর’ প্রযোজনা করেছেন আফরোজা সুলতানা।
ধারাবাহিকটি প্রসঙ্গে আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের গ্রাম-সমাজের চেনাজানা গল্প এটি। তবে একটু ভিন্নভাবে, হাস্যরস মিশিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি দর্শক আনন্দ পাবেন ধারাবাহিকটি দেখে।’
Source: প্রথম আলো
ভেনিসের পর বার্লিনেও সেরা হলো তথ্যচিত্র
***********************************************************************
তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে নিকোলা ফিলিবের খ্যাতি জগৎজোড়া। প্রয়াত ফরাসি নির্মাতা আনিয়েস ভার্দা তাঁর অন্যতম প্রেরণা। প্রায় দশ বছর পর নতুন তথ্যচিত্র নিয়ে ফিরেই চমকে দিলেন ফিলিবে। সব পূর্বানুমান ভুল প্রমাণ করে, এই ফরাসি নির্মাতার তথ্যচিত্র ‘অন দ্য অ্যাডাম্যান্ট’ জিতল বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার। সেই সুবাদে গত শনিবার ৭৩তম বার্লিন উৎসবের সমাপনী দিনে ফিলিবের হাতেই ওঠে স্বর্ণ ভালুক।
গত বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণ সিংহ জিতেছিল তথ্যচিত্র ‘অল দ্য বিউটি অ্যান্ড দ্য ব্লাডশেড’। এবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতল কোনো তথ্যচিত্র।
পুরস্কারের জন্য ফিলিবোর ছবিকে বেছে নেওয়ার জন্য জুরিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি, ‘এই তথ্যচিত্রকে সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এর মধ্যে এমন সব উপকরণ আছে, যা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।’ শিক্ষা নিয়ে নির্মিত ব্যাপক প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘টু বি অ্যান্ড টু হ্যাভ’-এর ২১ বছর পর ‘অন দ্য অ্যাডাম্যান্ট’ দিয়ে বড় স্বীকৃতি পেলেন পরিচালক। তথ্যচিত্রটির গল্প প্যারিসের একটি ভাসমান ডে কেয়ার সেন্টার নিয়ে, যেখানে মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখভাল করা হয়।
কেবল তথ্যচিত্র নির্মাতার হাতে স্বর্ণ ভালুকই নয়, বার্লিন উৎসবে ছিল আরও অনেক চমক, যার মধ্যে অন্যতম মাত্র আট বছর বয়সী অভিনয়শিল্পী সোফিয়া ওতেরোর পুরস্কার জয়। অভিনয়শিল্পী বিভাগে লিঙ্গ বিভাজন রাখেনি বার্লিন কর্তৃপক্ষ, ‘টোয়েন্টি থাউজেন্ড স্পিশিজ অব বিজ’-এ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনয়শিল্পী (সিলভার বিয়ার ফর লিডিং পারফরম্যান্স) হয়েছে স্প্যানিশ অভিনেত্রী সোফিয়া। পুরস্কার জেতার পর প্রতিক্রিয়ায় সোফিয়া জানায়, সে খুবই খুশি। অভিনয়ের জন্য বাকিটা জীবন উৎসর্গ করার ইচ্ছাও সে প্রকাশ করে। ছবিটিতে ট্রান্সজেন্ডার বালিকার চরিত্র করেছে সোফিয়া। বার্লিনে প্রদর্শনের পর থেকেই অবশ্য সমালোচকেরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ‘টোয়েন্টি থাউজেন্ড স্পিশিজ অব বিজ’ সিনেমাটিকে।
স্বর্ণ ভালুক ছাড়া সেরা পরিচালকের রৌপ্য ভালুকও গেছে ফ্রান্সের ঘরে। ‘দ্য প্লাউ’-এর জন্য সেটি জিতেছেন ৭৪ বছর বয়সী নির্মাতা ফিলিপ গ্যারেল। পুরস্কারটি নিজের সন্তান ও প্রয়াত নির্মাতা জঁ-লুক গোদারকে উৎসর্গ করেন গ্যারেল। এ ছাড়া বার্লিন উৎসবে গ্রান্ড জুরি পুরস্কার জিতেছে জার্মান সিনেমা ‘আফায়ার’।
বার্লিন উৎসবে মাত্র ৩২ বছর বয়সে প্রধান জুরি হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। সমাপনী দিনে এবারের উৎসবকে ‘প্রথা ভাঙা’ বলে অবিহিত করেন এই মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে আমরা জুরিরা নিজেরাই নিজেদের প্রশ্ন করেছি—কী হলে সিনেমাকে সিনেমা বলা যায়?’ স্বর্ণ ভালুক পুরস্কারের জন্য ‘অদৃশ্য বৈশিষ্ট্য’ নির্ধারণ করেছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘কীভাবে শিল্পকর্মকে মূল্যায়ন করা হবে, কীভাবে ভাগ করা হবে, সেটা এবারের প্রথা ভাঙা উৎসব আমাদের বিস্তারিতভাবে ভাবনাচিন্তার সুযোগ করে দিয়েছে।’
১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল বার্লিন উৎসব। মহামারির নিয়মের বেড়াজাল তুলে দুই বছর পর চেনা রূপে ফিরেছে উৎসব, লালগালিচায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন তারকারা। চলতি বছর প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছিল ১৯টি সিনেমা, যেগুলোর মধ্যে মাত্র একটি ছিল তথ্যচিত্র। সেটিই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছে।
Source: প্রথম আলো