হ্যাঁ, এটা সত্যি! 😮
নরওয়ের একটি শহর আছে যেখানে বিশাল আয়নার মাধ্যমে সূর্যের আলো পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি ছোট্ট গ্রাম রিউকান (Rjukan), যা পাহাড়ে ঘেরা। পাহাড়গুলো অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ছয় মাসের জন্য সূর্যের আলোকে গ্রামে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই সমস্যার সমাধান করতে ২০১৩ সালে পাহাড়ের চূড়ায় একটি বিশাল আয়না ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়, যাকে বলা হয় "কৃত্রিম সূর্য"। এই আয়নাগুলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এবং সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে গ্রামের কেন্দ্রস্থলে পাঠায়, যাতে প্রধান স্কয়ারটি আলোকিত হয় এবং বাসিন্দারা বছরের সবচেয়ে অন্ধকার সময়েও সূর্যের আলো উপভোগ করতে পারেন।
মোট ৫১ বর্গমিটার আয়তনের এই আয়নাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সূর্যের গতিপথ অনুযায়ী নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং আলো প্রতিফলিত করে।
বনের রাজা সিংহ রোদ পোহাচ্ছিল। এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে একটা ঝাঁকি দিল! লাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করল!
সিংহ যতটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হলো বেশি। বাঁদরের ভ্রুক্ষেপ নেই। সে সিংহকে ভেংচি কেটে লাফাতে লাফাতে চলে গেল।
শেয়াল পাশ থেকে পুরো ঘটনা লক্ষ্য করে সিংহকে উদ্দেশ্য করে বলল, “বনের রাজার সাথে এত্ত বড় বেয়াদবি! আর আপনি কিনা তাকে কিছুই বললেন না!”
সিংহ মৃদু হেসে বলল, বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! একটু অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে।”
কয়েকদিন পর হঠাৎ করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়ল এবং সিংহ তাকে সেখানেই এক থাপ্পড়ে শেষ করে দিল।
শেয়াল অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞাসা করল, “সেদিন বাঁদর অত অন্যায় করল, আপনি তাকে কিছুই বললেন না। অথচ আজকে সে তেমন কিছু করেনি, কিন্তু আপনি তাকে মেরে ফেললেন!"
জবাবে সিংহ বলল, “দিস ইজ পলিটিক্স! সেদিনের পর বাঁদর ভালুককে পিছন থেকে লাথি মেরেছে! হাতির শুঁড় ধরে দুলেছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নেচেছে! হায়নাকে কাতুকুতু দিয়েছে! বাঘকে খোঁচা মেরেছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে?”
“সেদিন ওরে মারলে সবাই বলত, আমি বনের রাজা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছি।"
"আজকে একটু পর দেখবে সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ, রাজা সাহেব!”
"বুঝলে তো! মাঝে মাঝে লাই দিয়ে মাথায় তুলতে হয়। যাতে শক্ত করে আছাড় দিলে কেউ কিছু মনে না করে এবং আপদ শেষ হয়ে যায় একেবারে!"
একটি অমানবিক মৃত্যুদন্ড...
১৯১৬ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর ...
পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা ঘটে, কারণ ওইদিন পৃথিবীতে প্রথম এবং শেষ কোনও হাতিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
আজ আমরা সেই কাহিনীই জানব বিস্তারিতভাবে।
ঘটনাটি আমেরিকার শহর টেনেসি শহরের কিংস্টনে ঘটেছিল।সেখানকার এক সার্কাস দলে কাজ করত 'বিগ ম্যারি' নামের এক বৃহদাকার হাতি। ওজন ছিল পাঁচ টন। ম্যারি সার্কাসে দুর্দান্ত সব কসরত দেখিয়ে মানুষকে অভিভূত করে রাখত। ম্যারিকে দেখতেই সার্কাসে ভিড় হত।এই সার্কাস দলের নাম ছিল স্পার্কস ওয়ার্ল্ড ফেমাস শো ট্র্যাভেল সার্কাস। মালিকের নাম 'চার্লি স্পার্কস'। স্পার্কসের বাবা মরিয়ম বা ম্যারি'কে চার বছর বয়সে সম্ভবতঃ দশহাজার পাউন্ডের বিনিময়ে কিনেছিলেন।
এই সার্কাস দলটির মালিক একদিন হাতিদের পুরোনো মাহুতকে অপসারণ করে নতুন কর্মচারী রেড এল্ড্রিক্স'কে নিয়োগ করেন হাতিদের দেখাশুনো করতে এবং হাতিদের নিয়ে কসরত দেখাতে।রেড হাতিদের বিষয়ে অতটা অভিজ্ঞ ছিলনা। তাছাড়া নতুন কর্মচারী হওয়ায় সে হাতিদের আচরণ, ইচ্ছে এসবও ঠিক -ঠাক বুঝতনা। একদিন খেলা চলার সময় রেড ম্যারির উপরে বসে খেলা দেখাচ্ছে।সব কিছু ঠিক-ঠাক চলছিল, ম্যারি দুই পা তুলে পেছন পায়ে ভর দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে যাচ্ছে।কিন্তু সেসময় মাহুত রেড অযথাই ম্যারির কানে লোহার শিক দিয়ে আঘাত করতে থাকে। একসময় ম্যারির মেজাজ চড়ে যায় সে রেডকে টেনে নিচে নামিয়ে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে।
ঘটনায় সমগ্র সার্কাস প্রাঙ্গণ এবং শহর জুড়ে ম্যারি বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠে। সবার এক দাবি যে হত্যাকারী হাতিকে সাজা দিতে হবে। তা নাহলে আন্দোলন থামবেনা। একটি হাতি থেকে একজন মানুষের প্রাণের মূল্য যে অনেক বেশি।কেউই চার্লি স্পার্কস-এর কোন শো দেখতে যাচ্ছিলনা এই ঘটনার প্রতিবাদে।সার্কাস দলটিই একসময় প্রায় বন্ধ হয়ে হওয়ার উপক্রম হল। সার্কাস মালিক কোনমতেই জনগণকে
বোঝতে পারছিলেন না যে রেড হত্যায় ম্যারির দোষ যতটা তার চেয়ে বেশি রেড- এর কেননা সেই অনাবশ্যক ম্যারিকে উত্তেজিত করে তুলছিল।
ম্যারি একটি অবলা প্রাণী তার দোষ নেই। কিন্তু মানুষ তা বুঝলনা।শেষে বাধ্য হয়েই সার্কাস মালিক সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যারিকে হত্যা করে জনরোষ শান্ত করা হবে।কিন্তু কিভাবে? ..
বিশালদেহী এশিয়ার এই হাতি এতই বড় ছিল যে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পন্থা নিয়েই অনেক ভাবতে হয় সবাইকে।
কেউ বলল গুলি করে মারা হোক, কেউ বলল দুটো ট্রেনের মাঝে দাঁড় করিয়ে পিষে ফেলা হোক। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দিল যে না ওতে উপযুক্ত শাস্তি হবে না, বরঞ্চ ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারা হোক। কিন্তু ওইসময় ওখানে বিদ্যুতায়িত করবার মত বিদ্যুতের অভাব ছিল।তাই পরিশেষে সিদ্ধান্ত হয় ম্যারিকে ক্রেনে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেয়া হবে। তাই বিশাল এক ক্রেন নিয়ে আসা হল। শহরের বিক্ষুব্ধ সব নাগরিককে আমন্ত্রন জানানো হল।
সবাই মেতে উঠলো ভয়ংকর এক হত্যালীলা প্রত্যক্ষ করতে। সবার চোখে তখন প্রতিশোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে।খুন করে তবেই শান্তি ফাঁসীতেই ঝোলাতে হবে খুনী হাতিটিকে, আর সেটাই হবে ওর উপযুক্ত শাস্তি! এই সভ্য মনুষ্য সমাজে ওর ঠাঁই নেই.. ঠাঁই নেই.. ঠাঁই হবেনা !!
ম্যারিকে অবশেষে বিশাল এক চেন দিয়ে ক্রেনের হুকে বাঁধা হল।ক্রেন যেই চালু করা হল মুহূর্তে ম্যারিকে এক হ্যাঁচকা টানে ২০ ফুট উপরে তুলে নিল।ম্যারি অনেক স্বাস্থ্যবান হওয়াতে মুহূর্তে ক্রেনের চেন ছিঁড়ে ২০ ফুট উপর থেকে নীচে পড়ে গেল। পড়ামাত্র ম্যারির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেল। পা ও ভেঙ্গে যায় বেচারার।গলা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তথাপি উপস্থিত সুসভ্য ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গের মনে করুণার উদ্রেক হয় না।পুনরায় ম্যারিকে ক্রেনের চেনের সাথে বাঁধা হল। থেমে গেলে চলবেনা, কোনরূপ দয়া দেখালে চলবে না এই খুনী হাতির প্রতি। শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে।
অন্তিম চেষ্টায় ম্যারি ফাঁসির চেনে ছটফট করতে করতেই প্রাণত্যাগ করল। মুহূর্তে উল্লাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত সুশিক্ষিত ব্যাক্তিবর্গ ! হ্যাঁ ! এতক্ষণে উপযুক্ত শাস্তি পেল পাপী, ঘৃণ্য জন্তুটা !! কোনও খুনী পার পাবে না।ধরাধামে আমরা মনুষ্যজাতিই যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আমরা বুদ্ধিমানও বটে। আমরাই কেবল দিতে পারি নিরপেক্ষ বিচার। জয় মনুষ্যকুলের জয় ! জয় মানবতার জয় ! মানবতা ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার জয়ধ্বনি দিতে দিতে সন্মিলিত জনতা একরাশ খুশি নিয়ে বাড়ির পথ ধরে। সার্কাসের মালিকের মনও বেশ খুশি খুশি। আবারও ডলারে ভরে উঠবে পকেট। আনন্দে দু'কলি গান গুনগুন করতে চায় বুঝি মন।
এখন প্রশ্ন হল , আসলে ওইদিন
ফাঁসীতে কে ঝুলেছিল ? ম্যারি কি সত্যি মারা গিয়েছিল ? না কি আসলে ম্যারি মারা যায়নি, ফাঁসীর চেনে ওইদিন নৃশংসভাবে ঝোলানো হয়েছিল মানবতা, দয়া- মায়া ও সভ্যতার ?..
পরমেশ্বরের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দাবী করা মনুষ্য সমাজের কাছে একটু সহানুভূতি ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা ঘটনাটির পর্যালোচনা করবার আশা করা কি অন্যায় হত ? এ প্রশ্ন তুলে দিয়ে গিয়েছিল ইতিহাসের এই মর্মস্পর্শী ঘটনাটি।
এই মর্মন্তুদ ঘটনাটির প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ আজ এই টেনেসি শহরের নাগরিকেরা মাতঙ্গকুলের রক্ষার্থে অহর্নিশ কাজ করে চলেছেন।
অবাক করা বিষয়, মানুষের মাথায়ও গজাতে পারে শিং! যান রূপকথায় দেওদানবের মত। কিন্তু সত্যিই আমাদের মানব জাতির মাঝেও এমন শিং গজানোর উদাহরন রয়েছে, তাও সেটি ১০১ বছর বয়সের বৃদ্ধা মহিলার কপালে।
পরিচিত হোন ঝাং রুইফাং এর সঙ্গে। ১০১ বছরের এক চীনা বৃদ্ধা, যিনি বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিলেন যখন তার কপাল থেকে রুপকথার গল্পের মতো কিছু জন্ম নিতে শুরু করল, যা ছিল একটি ৬ সেন্টিমিটার লম্বা এক শিং। এটি ছিল পুরোপুরি কেরাটিন দিয়ে তৈরি, ঠিক যেমন আমাদের নখ আর চুল।
শুরুতে ছিল কপালের ত্বকের এক রুক্ষ দাগ, যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আকার নিল সত্যিকারের এক শিং। আরও অবাক করা বিষয় তিনি সেই শিং কাটতেও নারাজ ছিলেন যা ডাক্তারদেরও বেশ অবাক করেছিল।
তার ছোট্ট গ্রামে ঝাং রুইফাং হয়ে উঠলেন স্থানীয় কিংবদন্তি। কেউ বলতো এটা অভিশাপ, কেউ বলতো আশীর্বাদ আর অনেকেই বিশ্বাস করতো এটি তাকে সৌভাগ্য এনে দেবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বিরল এই জেনেটিক অসুস্থতাকে বলা হয় কিউটেনিয়াস হর্ন [Cutaneous Horn] যা, অত্যন্ত বিরল (প্রতি ১ লাখে ১ জনেরও কম হয়) এবং এটি সাধারণত সূর্যালোকের প্রভাব আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত। ডাক্তাররা ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু ঝাং রুইফাং ভয় নয় আত্মবিশ্বাসকে বেছে নিয়েছিলেন।
To Read More: https://cardinalcarports.wordp....ress.com/2025/11/12/