স্ত্রী সন্তান জন্মের পর চলে গিয়েছিলেন।
প্রিম্যাচিউর, দুর্বল, নিঃশ্বাস নিতে হিমশিম খাওয়া সেই নবজাতককে বুকে নিয়ে একা পড়ে গেলেন বাবা।
কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি।
সব বিক্রি করে, হাসপাতালের এক কোণে জায়গা করে নিলেন —
দিনরাত সন্তানের পাশে, বুকের কাছে জড়িয়ে রাখতেন তাকে।
ডাক্তাররা একে বলেন “Kangaroo Care” —
যেখানে মায়ের বা বাবার ত্বকের সাথে ত্বক স্পর্শে (skin-to-skin contact)
শিশুর হার্ট রেট, তাপমাত্রা, ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্থিতিশীল হয়।
কিন্তু এই বাবার কাছে এটা ছিল শুধু চিকিৎসা নয় —
এটা ছিল ভালোবাসা, বিশ্বাস আর প্রতিদিনের প্রার্থনা।
১০ দিন ১২ ঘণ্টা পর, অবিশ্বাস্য কিছু ঘটল।
শিশুর অক্সিজেনের প্রয়োজন কমে গেল।
তাপমাত্রা স্থিতিশীল হলো।
শরীর শক্ত হতে শুরু করল।
যে শিশুকে কেউ বাঁচবে ভাবেনি — সে বেঁচে গেল।
পরে যখন মা ফিরে এলেন ক্ষমা চাইতে,
বাবা তাকে ফিরিয়ে দিলেন না —
বললেন, “আমার নয়, আমাদের সন্তানের জন্য।”
এটা কেবল ভাগ্যের চমক নয় —
এটা ভালোবাসা, বিজ্ঞান আর মানবিক সংযোগের শক্তির প্রমাণ।
বাবা,বড্ড ভালোবাসি, কখনো বলা হয়নি হয়তো জীবনেও বলা হবেনা, এ পোস্ট ও আপনি পড়বেন না হয়তো,
তবুও ভালোবাসি বাবা, সমস্ত সত্তায় অস্তিত্বে জুড়ে আমার বাবা।
শেয়ার করুন, বাবাকে জানান কতটা ভালোবাসা বাবার জন্য ❤️